দূষণের হাত থেকে পোষ্যকে বাঁচাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
কালীপুজোয় বাজি ফাটানোয় কড়াকড়ি থাকলেও, নিয়ম ভাঙার অভিযোগ ওঠেই। এই বছরেও ব্যতিক্রম হয়নি। কালীপুজোর পরে বাতাসে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে দূষণের মাত্রা। সামনেই আসছে শীতকাল। এমন মরসুমে বাতাসে ভাসমান দূষিত কণার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। দূষিত পরিবেশের সংস্পর্শে বেশি থাকলে মানুষের মতোই পোষ্যের স্বাস্থ্যের উপরেও তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সেই ক্ষতি এড়াতে কী করা প্রয়োজন?
পশুরোগ চিকিৎসকেরা কয়েকটি পরামর্শ দিচ্ছেন পোষ্যদের সুস্থ রাখার।
১। পোষ্য সারমেয়দের খোলা জায়গায় শরীরচর্চা করান অনেকেই। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর। খোলা হাওয়ায় হাঁটালে তাদের শরীরের পাশাপাশি মেজাজও ভাল থাকে। তবে পশুরোগ চিকিৎসকদের পরামর্শ বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়লে, বেশিক্ষণ সারমেয়কে বাইরে নিয়ে গিয়ে শরীরচর্চা না করানোই ভাল। হাঁটানো যেতে পারে, তবে যে সময় দূষণ কম থাকবে তখন।
২। ঘরের ভিতরের পরিবেশেও নজর দেওয়া দরকার। ধূপ, ধুনোর ধোঁয়া, সুগন্ধী মোম অনেকেই ঘরের ভিতর জ্বালিয়ে রাখেন। তবে এগুলি কিন্তু পোষ্যের ক্ষেত্রে কষ্টের কারণ হতে পারে। ধোঁয়া থেকে তাকে সরিয়ে রাখতে হবে। স্নানঘর, রান্নাঘরে এক্সজ়স্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলেই ধোঁয়া, গ্যাস, গন্ধ বেরিয়ে যাবে।
৩। সারা দিনে পোষ্য যাতে পর্যাপ্ত জল খায় তা নিশ্চিত করতে হবে। দূষণের প্রভাব পুরোপুরি এড়ানো না গেলেও, জল খেলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য জল খাওয়া জরুরি। শীতের দিনে জল তেষ্টা তুলনামূলক কম পায়। সেই জন্য পোষ্যের ডায়েটেও তরল খাবার রাখা দরকার।
৪। বাতাস পরিশোধনের জন্য বা়ড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার যন্ত্র রাখা যেতে পারে। একইসঙ্গে পোষ্যকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে এমন সাবান, শ্যাম্পু, পাউডারের ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।
পশুরোগ চিকিৎসকেরা সতর্ক করছেন, বায়ুদূষণেপ প্রভাবে পোষ্যেরও হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। কোনও কারণে পোষ্যের শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়াতে হবে, ইনহেলার দিতে হবে।