Relationship Tips

মেয়েদের ৫টি গোপন কথা বিয়ের আগেই জেনে নেওয়া ভাল, তেমন কথা কি ছেলেদেরও থাকে?

বিয়ের আগে একে অপরকে ভাল ভাবে জানতে কিছু কথোপকথন আবশ্যিক। কোন কোন প্রশ্নগুলি সঙ্গীকে বিয়ের আগে করতে হবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩০
Share:

জীবনসঙ্গীর ভাল-মন্দের সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যিক। ছবি: শাটারস্টক।

বিবাহ জীবনের অন্যতম বড় একটি সিদ্ধান্ত। আর সিদ্ধান্তটি এমনই যেখানে নিজের পাশাপাশি জড়িয়ে থাকে অন্য এক জন মানুষের ভবিষ্যৎও। কাজেই বিবাহের সিদ্ধান্ত যদি নিয়েই ফেলেন তা হলে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর ভাল-মন্দের সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যিক। যদি সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় তবে প্রাক আলাপচারিতার সুযোগ এমনিতেই কিছু কমই মেলে। যাঁরা সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে বিবাহের দিকে এগোন তাঁদেরও মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, বিয়ের আগে ও পরের সম্পর্কের ব্যাকরণটা কিন্তু খানিকটা হলেও বদলে যায়। কোনও মানুষের সঙ্গে রোজ কয়েক ঘণ্টার আলাপ আর এক ছাদের তলায় দিনের পর দিন একসঙ্গে কাটানোর মধ্যে অনেক ফারাক আছে! কাজেই বিয়ের আগে একে অপরকে ভাল ভাবে জানতে কিছু কথোপকথন আবশ্যিক। কোন কোন প্রশ্নগুলি সঙ্গীকে বিয়ের আগে করতে হবে?

Advertisement

১) বিবাহের সঙ্গে সঙ্গে সন্তান নিতে হবে, এই ধারণা বড্ড সেকেলে। কাজেই সন্তানধারণ নিয়ে ভাবি জীবনসঙ্গীর কী মতামত, তা আগে থেকেই জেনে নিন। অসম্মতি থাকলে আলোচনা করুন। যৌন সম্পর্কে জড়ানোর আগে সঙ্গী যৌনবাহিত রোগের পরীক্ষা করিয়ে নিতে চান কি না, সেই বিষয়ও খোলাখুলি কথা বলুন।

২) বিয়ের আগে আলোচনা করুন সঙ্গীর অর্থনৈতিক দিক নিয়ে। এখন ছেলে-মেয়ে দু’জনেই সমান ভাবে সংসার খরচের দায়িত্বভার বহন করে। দাম্পত্য জীবনে পরস্পরের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

Advertisement

বিয়ের আগে ও পরের সম্পর্কের ব্যাকরণটা কিন্তু খানিকটা হলেও বদলে যায়। ছবি: শাটারস্টক।

৩) বিয়ে হওয়া মানেই কিন্তু যৌনতায় সম্মতির চিহ্ন নয়। কাজেই যৌনজীবন নিয়ে আগেভাগেই আলোচনা করা উচিত। যদি বিবাহের আগে যৌনতার অভিজ্ঞতা না থাকে, তা হলে তো এই আলোচনা অবশ্যই প্রয়োজন। সুস্থ যৌনজীবন সুস্থ দাম্পত্যের চাবিকাঠি, কাজেই এই বিষয় কথা বলতে গিয়ে সঙ্কোচবোধ করলে চলবে না।

৪) বিয়েতে দু’জন মানুষ ছাড়াও জড়িয়ে থাকে দু’টি পরিবার। দু’জনের পরিবারের সঙ্গে দু’জনের কেমন রসায়ন তা-ও আগে থেকে জেনে নেওয়া ভাল। নিজের পাশাপাশি পরিবারের কিছু চাহিদা থাকে সেই সম্পর্কে আগে থেকেই সঙ্গীকে ধারণা দিয়ে রাখুন।

৫) কী ভাবে আপনি কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখবেন সে বিষয় সঙ্গীর সঙ্গে আগেভাগেই আলোচনা করে নিন। অনেক সময়ে কর্মক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় কাটাতে হয়, পারিবারিক জীবনে খুব বেশি সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। আপনার ক্ষেত্রে এমনটা হলেও আগে থেকে খোলসা করে নিন। সঙ্গীর বিষয়টাও জেনে নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement