parenting tips

বাড়ির কাজ করলে মায়ের থেকে হাতখরচা পেতেন! কন্যা পলককে বড় করতে আর কী কী করেন শ্বেতা?

অর্থাভাব থেকে বিবাহবিচ্ছেদ— অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারির জীবনে নানা বাধা এসেছে। কিন্তু সন্তানদের ভাল ভাবে বড় করে তুলতে তিনি কোনও খামতি রাখতে চাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১৯:২৬
Share:

কন্যা পলক তিওয়ারির সঙ্গে শ্বেতা তিওয়ারি। ছবি: সংগৃহীত।

মেয়ে পলক এবং ছেলে রেহাংশকে একাই বড় করে তুলেছেন অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। অতীতে দু’বার বিবাহবিচ্ছেদর সাক্ষী থেকেছেন শ্বেতা। কিন্তু তার প্রভাব যেন সন্তানদের উপরে না পড়ে, তার জন্য পরিশ্রম করেন তিনি। সম্প্রতি সন্তানদের বড় করে তোলা প্রসঙ্গে নানা কথা জানিয়েছেন শ্বেতা।

Advertisement

পলক ইতিমধ্যেই বলিউডে পা রেখেছেন। ২০২৩ সালে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিতে দর্শক পলককে দেখেছেন। শ্বেতা জানিয়েছেন মা হিসেবে তিনি কড়া, কিন্তু অযৌক্তিক নন। কিন্তু পলক যখন বড় হচ্ছেন, তখন মেয়ের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করে দিয়েছিলেন শ্বেতা। অর্থাৎ, রাতে মেয়ে কখন বাড়িতে ফিরবে সেই সময় শ্বেতা নির্ধারণ করে দিতেন। শ্বেতা বলেন, ‘‘আমি ওকে যেখানে ইচ্ছে যেতে দিতাম না। রাতে যদি বলে ১টায় বাড়ি ফিরবে, তা হলে সেই সময়ের মধ্যে ওকে বাড়িতে ফিরতে হত।’’

ছোটরা বড় হওয়ার সময়ে অভিভাবকদের একটু কড়া হওয়ার প্রয়োজন বলেই মনে করেন শ্বেতা। কারণ বাবা-মায়েরা কড়া হলে, সন্তানও ভাল-খারাপের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবে। যেমন শ্বেতা নাকি পলকের বন্ধু এবং তাদের অভিভাবকদের ঠিকানা এবং ফোন নম্বর নিজের কাছে লিখে রাখতেন। তবে প্রয়োজন ছাড়া তাঁদের ফোন করে মেয়েকে কখনও লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলেননি শ্বেতা।

Advertisement

অল্প বয়সে মা হয়েছিলেন শ্বেতা। পাশাপাশি ছিল বিবিহবিচ্ছেদ। তাই ‘কঠিন’ সমাজে সন্তানকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য কোনও খামতি রাখতে চাননি শ্বেতা। তাই মেয়েকে স্কুলে মোবাইল ফোন কিনে দেননি শ্বেতা। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘ওর প্রথম ফোন কলেজে। ১৬ বছর বয়সে ওকে প্রথম মেকআপের সরঞ্জাম কিনে দিই।’’ শ্বেতা আরও জানান, স্কুলের নাটক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানেও তিনি মেয়েকে বিনা রূপটানেই পাঠাতেন। আর রূপটানের প্রয়োজন হলে সেটা বাড়ি থেকেই পলককে করে বেরোতে হত।

শ্বেতা জানিয়েছেন, খুবই সামান্য হাতখরচা তিনি মেয়েকে দিতেন। তার বেশি টাকার প্রয়োজন হলে, পলককে বাড়িতে নানা কাজ করতে হত। শ্বেতার কথায়, ‘‘যেমন বাথরুম পরিষ্কার করলে ১ হাজার টাকা। অন্য কোনও কাজ করলে আরও ১ হাজার টাকা। আমি ওকে সব সময়েই এই ভাবে অতিরিক্ত টাকা দিতাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement