Parenting Tips

রবিবারের ছুটির পর সোমবার স্কুলে যেতে চায় না শিশু? বকাঝকার বদলে কী ভাবে ওকে উৎসাহ দেবেন?

সপ্তাহান্তের ছুটি আরামে কাটিয়ে বা উপভোগ করে সোমবার কাজে ফেরার কথা ভাবলেই যে আতঙ্ক হয়, তারই পোশাকি নাম ‘মনডে ব্লুজ়'। বড়দের মতো ছোটরাও ভোগে। স্কুলে যেতে চায় না। কী ভাবে শাসন না করেই শিশুকে বোঝাবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৫
Share:

সোমবার নিজে থেকেই স্কুলে যেতে চাইবে শিশু, কৌশল শিখে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।

শনিবার আর রবিবার যেন বড্ড তাড়াতাড়ি কেটে যায়! আবার সোমবার চলে আসে। ঘুম থেকে উঠে অফিসে যেতে হবে ভাবলেই মেজাজটা বিগড়ে যায়। শুধু ছোটরা কেন ছুটির পর দিনটা কাজ করার ইচ্ছা হয় না বড়দেরও। আলস্য যেন চেপে বসে। অনেক মা-বাবাই বলেন, রবিবারের ছুটি কাটিয়ে সোমবার স্কুলে যাওয়ার সময়ে বায়না জোড়ে শিশু। সপ্তাহান্তে ছুটির মেজাজ যেন কাটতেই চায় না। কেউ শরীর খারাপের বাহানা দেয়, তো কেউ স্কুলে যাওয়ার নাম শুনলেই কান্নাকাটি শুরু করে। বকাবকি করলে জেদ আরও বাড়ে। তা হলে উপায়? কী ভাবে স্কুলে যাওয়ায় উৎসাহ দেবেন সন্তানকে?

Advertisement

সপ্তাহান্তের ছুটি আরামে কাটিয়ে বা উপভোগ করে সোমবার কাজে ফেরার কথা ভাবলেই যে আতঙ্ক হয়, তারই পোশাকি নাম ‘মনডে ব্লুজ'। জেনে নিন, এটি কাটিয়ে ওঠার উপায় কী।

বাড়ির পরিবেশ শান্ত রাখুন

Advertisement

মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের মত, রবিবার রাত থেকেই তার প্রস্তুতি জরুরি। রাতে হোক বা সোমবার সকাল থেকেই যদি বাড়ির পরিবেশ অশান্ত থাকে, ঝগড়া-ঝামেলা চলতে থাকে বা শিশুর উপর চিৎকার-চেঁচামেচি করেন, তা হলে কিন্তু ওদের ভয় আর উদ্বেগ বাড়বে। বড়দেরও দেখাতে হবে, ছুটি ভাল কাটিয়ে পরদিন কাজে যাওয়ার জন্য তাঁরাও কতটা উৎসাহী। সপ্তাহের শুরুতে কেমন উদ্যম থাকা জরুরি, তা শিশুকে বোঝাতে পারলে ওরাও উৎসাহ পাবে। আর বড়রাই যদি বিমর্ষ হয়ে থাকেন, তা হলে ছোটরাও অনুরূপ আচরণ করবে।

রাত জেগে পার্টি নয়

অনেক বাড়িতেই রবিবার সন্ধ্যা বা রাতে পার্টি থাকে। শীতের সময়ে নানা অনুষ্ঠান লেগেই থাকবে। আনন্দ যতই করুন, শিশুর জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করতেই হবে। বাড়িতে অনুষ্ঠান মানেই শিশু যেন বেশি রাত পর্যন্ত জেগে না থাকে। তাড়াতাড়ি রাতের খাওয়া সেরে তাদের ঘুম পাড়াতেই হবে। বেশি রাত জাগলে শিশুর ক্লান্তি বাড়বে, পরদিন স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছা থাকবে না।

ছুটির দিনে বেশি টিভি-মোবাইল নয়

ছুটির দিনে শিশুকে বাইরে খেলাধুলা করালে ভাল হয়। যত বেশি সময় প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে পারবে, ততই তাদের মন ভাল থাকবে। বাড়িতে সারা ক্ষণ বসে টিভি দেখলে বা মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করলে মনের উপর চাপ আরও বাড়বে। আলস্য ভাবও বেড়ে যাবে। ছুটির দিনে ছবি আঁকা, গাছপালার যত্ন নেওয়া, বই পড়ার অভ্যাসও করাতে পারেন।

স্কুলে যাওয়ার আগে বকাবকি নয়

কখনওই স্কুলে যাওয়ার আগে অন্য কারও সঙ্গে শিশুর তুলনা টেনে কথা বলবেন না। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা পূরণের চাপ, বকাবকি, শাস্তির ভয় শিশুমনে গভীর রেখাপাত করতে পারে। এতে শিশুর আপনার প্রতিও বিরূপ মনোভাব তৈরি হবে। আরও বেশি জেদি হয়ে উঠবে। বকুনির ভয়ে মিথ্যাও বলতে শুরু করবে। বরং স্কুলে গিয়ে সারা দিন সে কী কী ভাল কাজ করতে পারে, বন্ধুদের সাহায্য করতে পারে, তা বোঝান। এতে লাভ হয় বেশি।

পছন্দের টিফিন গুছিয়ে দিন

প্রতি সোমবার শিশুর পছন্দের কোনও না কোনও খাবার টিফিন বাক্সে গুছিয়ে দিন। পারলে বন্ধুদের জন্যও খাবার দিন। বলুন, সোমবার সকলে মিলে ভাগ করে খেতে। এতে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ ও ইচ্ছা দুটোই বাড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement