Parenting Tips

কোন কোন ভুলে ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু? বাবা-মায়েদের জন্য রইল কিছু পরামর্শ

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় নানা রকম অসুখবিসুখ লেগেই থাকে। মরসুম বদলের সময়ে তা আরও বাড়ে। তবে রোজের কিছু ভুলেও শিশু ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। কী কী ভুল হচ্ছে, তা জেনে রাখা ভাল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৭
Share:

কেন বারে বারে অসুস্থ হচ্ছে শিশু? ছবি: ফ্রিপিক।

আজ দৌড়োদৌড়ি করছে, তো কালই জ্বরে পড়ছে শিশু। কখনও ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি, আবার কখনও ঘন ঘন পেটের গোলমাল ভোগাচ্ছে। মরসুম বদলে নানা সংক্রামক ব্যাধি লেগেই রয়েছে। শিশুর শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে আজকাল বড়ই চিন্তা করেন বাবা-মায়েরা। অনেকেই বলেন, সন্তানের শরীর একেবারেই ভাল যায় না। এর জন্য স্কুলও কামাই করতে হয় মাঝেমধ্যেই। এ দিকে খাওয়াদাওয়ায় কোনও রকম ত্রুটিই হচ্ছে না। ওষুধপত্রও চলে আসছে প্রয়োজন মতোই। তা-ও কেন এত অসুস্থতা? কেন ঘন ঘন এত ভুগছে শিশু?

Advertisement

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় নানা রকম অসুখবিসুখ লেগেই থাকে। মরসুম বদলের সময়ে তা আরও বাড়ে। তবে রোজের কিছু ভুলেও শিশু ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। কী কী ভুল হচ্ছে, তা জেনে রাখা ভাল।

হাত-পা ভাল করে ধোয় তো শিশু?

Advertisement

স্কুল থেকে ফিরে বা বাইরে খেলাধূলা করে এসে হাত ও পা ভাল করে সাবান দিয়ে ধোয় তো শিশু? অসুস্থ হওয়ার এটি অন্যতম বড় কারণ। পরিবেশে এখন দূষণের পাল্লা ভারী। তাতে ভর করে নানা রকম জীবাণুর দৌরাত্ম্য বাড়ছে। লোকজনের হাঁচি-কাশি, শ্বাসবায়ুর মাধ্যমেও এই সব জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। কাজেই বাইরে থেকে এলে সবচেয়ে আগে হাত স্যানিটাইজ় করতে হবে ভাল করে। প্রয়োজনে শিশুর কাছে স্যানিটাইজ়ার দিয়ে রাখুন। স্কুলে টিফিন খাওয়ার আগে সেটি দিয়ে কী ভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে, শিখিয়ে দিন।

অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার

‘টয়লেট ট্রেনিং’ বা শৌচাগার ব্যবহারের শিক্ষা নিয়ে অজ্ঞতা বা উদাসীনতা যথেষ্টই রয়েছে। শৌচাগারে গিয়ে নিজেকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি কী ভাবে তা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে তা শেখাও জরুরি। অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার নানা রোগের আঁতুড়ঘর। সাধারণত গণশৌচাগার ব্যবহারের প্রথম অভিজ্ঞতা হয় স্কুলে। সরকারি, বেসরকারি প্রায় সব স্কুলেই ওয়াশরুমের সংখ্যা ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের তুলনায় কম। ঠিক ভাবে তা নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দ্রুত নোংরা হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায় প্রায়শই। আর সেখান থেকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) বা মূত্রনালির সংক্রমণ হয়।

তাই ছোটদের শেখাতে হবে, কী ভাবে টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে হবে, কমোডে বসার আগে টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে বসতে হবে। পরিষ্কার থাকলেও টয়লেট সিটে স্যানিটাইজ়ার স্প্রে করে বসা ভাল। টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে। স্কুলে সাবানের ব্যবস্থা না থাকলে সঙ্গে সোপ পেপার অবশ্যই রাখতে হবে।

খোলা খাবার নয়

স্কুলে হোক বা বাড়িতে, দীর্ঘ সময় ধরে খুলে রাখা খাবার একেবারেই খাবে না। টিফিন বাক্স সব সময়ে বন্ধ করে রাখতে হবে। মাটিতে পড়ে যাওয়া খাবার তা সে যতই পছন্দের হোক না কেন, কখনওই তুলে খাওয়া ঠিক নয়। শিশুকে কাঁচা স্যালাড দিলে সেই সব সব্জি বা ফল ভাল করে ধুয়ে দিতে হবে। যদি ফল বা দই দেন, তা হলে সেগুলি খাওয়ার সময়ও বলে দিন। খালি পেটে ফল বা দই যেন না খায় শিশু।

মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি

শিশুরা এই বিষয়ে সচেতন নয়। তাদের শেখাতে হবে, হাঁচি বা কাশি হলে মুখ ঢেকে রাখা দরকার। সঙ্গে সব সময়ে রুমাল রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শিশু যেন বারে বারে মুখে বা নাকে হাত না দেয়। এর থেকেও জীবাণু খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

জাঙ্ক ফুডে না

লোভ যতই হোক, বাইরের কোনও খাবারই দেওয়া যাবে না শিশুকে। যতই বায়না করুক না কেন, রাস্তা থেকে চিপ্‌স, আইসক্রিম বা শরবত কিনে খাওয়াবেন না। এর থেকেই ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ দ্রুত ঘটে।

শিশু জল খাচ্ছে তো?

শিশুকে পর্যাপ্ত জল খাওয়াতে হবে। শরীরে জলশূন্যতা হলেই ঠিক মতো প্রস্রাব হবে না, শিশুর মধ্যে আলস্য দেখা দেবে, বমি ভাব থাকবে, জিভ-ঠোঁট-গালের ভিতরের চামড়া শুকিয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement