এ বারের উৎসবে হাতে বানানো রাখি। ছবি: এআই।
রাত পোহালেই রাখি। ঘরে ছোটরা অপেক্ষা করছে। অফিস থেকে ফেরার পথে দোকান থেকে রাখির গোছা কিনে দিলেই কি দায়িত্ব শেষ? কিন্তু যতটুকু সময় বাকি, তার মধ্যেই কিন্তু নিজে হাতে রাখি বানিয়ে নেওয়া যায়। শিশুদের সঙ্গে বসে রাখি বানালে তাদের মুখের হাসি আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। পাশাপাশি, উৎসব উদ্যাপনের মাধ্যমে নানা কিছু শেখানোও যাবে নিজের সন্তানকে।
কেন দোকানের চেয়ে নিজে হাতে রাখি বানানোর জন্য উৎসাহিত করা উচিত শিশুদের?
১. রাখি বানানো আবেগ ও কল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে শেখার অনুশীলন। শিশুদের ভাবনাচিন্তা করার ক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলবে। আর সেই ভাবনাকে নিজের হাতে বাস্তবায়িত করার আনন্দও এনে দেবে এই অনুশীলন। শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য এই পন্থা কাজে আসতে পারে।
রাখিবন্ধন উৎসব। ছবি: সংগৃহীত।
২. হাতে বানানো রাখি হয়ে ওঠে ভালবাসা, পরিশ্রম, যত্ন দিয়ে গাঁথা একটি উপহার। এই অনুভূতি শিশুদের মধ্যে জাগিয়ে তোলার জন্য রাখি বানানো এক সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। অনুভূতি-আবেগকে আত্মস্থ করতে শিখবে তারা ধীরে ধীরে।
৩. ভাই-বোনের সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে উঠতে পারে। শিশুদের বন্ধুত্বও মজবুত হতে পারে। ফলে উৎসবের প্রাক্-মুহূর্তে হলেও সম্পর্কগুলিকে আরও জোরদার করে তোলার জন্য রাখি বানানোর এই পর্ব উপকারী হতে পারে। এর ফলে শিশুর মধ্যে একাকিত্বের সমস্যাও কমবে।
৪. শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এই প্রক্রিয়ায় তারা দেখবে, কী ভাবে এই গোটা জিনিস তারা নিজে হাতে তৈরি করে ফেলছে। আপনার সন্তান যখন তাদের ভাই-বোন বা বন্ধুর হাতে রাখি পরাবে, তখন এক প্রকার সাফল্যের স্বাদ পেতে পারে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব প্রয়োজন। হাতেকলমে কাজ শেখার সুযোগও থাকবে সে ক্ষেত্রে।
৫. দোকানে কেনা রাখি সাধারণত বেশি দিন রাখেন না কেউ। কিন্তু হাতে বানানো উপহার যত্ন করে রেখে দেওয়ার রেয়াজ রয়েছে এখনও। হাতে তৈরি রাখি ব্যক্তিগত। তাই বহু বছর পরেও ভাই-বোনের বন্ধনের মধুর স্মৃতি হিসেবে থেকে যেতে পারে।