Fashion

খালি গায়েই রূপ খুলবে জামদানির সাজে

অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে শর্বরী দত্ত রাঙিয়ে দিলেন তাঁর চেতনার রঙে।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ১১:১৪
Share:

জামদানি শাড়িতে অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।

বিশ্বায়নের ঘেরাটোপে নিয়ম ভাঙার মন্ত্র দিতে চান তিনি।শর্বরী দত্ত। দুর্গাপুজো তাঁর কাছে শুধু আর বাঙালির পুজো নেই। তাই এই ভারতীয় উৎসবে সকলে মন খুলে রঙিন হয়ে সাজুক। এটাই তাঁর ইচ্ছে।

Advertisement

শর্বরী দত্ত মনে করেন না ফ্যাশনের কোন আলাদা টিপস হতে পারে। ‘‘যে যার মুড অনুযায়ী আজকাল পোশাক পরে। যেমন, আইটি সেক্টরের কমবয়সি ছেলে বলেন,তিনি সাদা বা প্যাস্টেল শেডের মধ্যে কিছু পরবেন, অন্য দিকে ষাট বছরের একজন বলেন, তিনি লাল রঙের পঞ্জাবিই চান।’’বললেন শর্বরী।

ছেলেদের জন্য পোশাক তৈরি করে আসছেন বহু বছর। গ্রিক পুরাণ থেকে বাংলার লোকশিল্প তাঁর ফ্যাব্রিকের পরতে পরতে। কিন্তু মেয়েরা? ‘‘অনেকদিন ধরেই অভিযোগ শুনছিলাম, আমি নাকি মেয়েদের ভালবাসি না! তাই শূন্য দিয়ে শুরু করলাম মেয়েদের পোশাক। পুজোয় আসছে।’’যোগ করলেন শর্বরী।

Advertisement

আরও পড়ুন: অনিদ্রায় ভোগেন? এ সব মানলে ওষুধ ছাড়াই ঘুম আসবে সহজে​

শূন্য থেকেই তাঁর মেয়েদের পোশাকের পূর্ণতার শুরু।

শর্বরী উপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে পোশাক পরানোয় বিশ্বাস করেন না। তিনি বললেন, ‘‘আজকের সময়ে সবাই জানে কেমন করে সাজতে হয়। কী কোন সময়ে পড়তে হয়। মেয়েরা নানা রকমের কাজ করে। স্কুটি চালায়, সবসময় তো আর শাড়ি পরা সম্ভব হয় না। তাই বলব, পুজোতে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষ দেশীয় পোশাক পরলেই ভাল’।

আরও পড়ুন: পুজোর পর এ সব উপায়ে চা খেয়ে ঝরিয়ে ফেলুন বাড়তি মেদ

শাড়ির ক্ষেত্রে যেমন নানা রকমের ড্রেপিং চলছে। সেই প্রসঙ্গ উঠতে শর্বরী বললেন, ‘‘কেউ লেগিনসের সঙ্গে শাড়ি পরে সেক্সি পা হাইলাইট করতে চাইছেন। তাঁরা চাইলে পায়ের একটা অংশ খালি রেখে খালি পা ও দেখাতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ব্লাউজ দিয়েও দারুণ একটা শাড়ি পরতে পারেন, যে ভাবে অর্পিতাকে সাজানো হয়েছে।’’

অর্পিতাকে শর্বরীদি পরিয়েছেন বেনারসি আর ইক্কতের বাহারি বুনটের সিল্ক।ইক্কত আর বেনারসির এই যুগলবন্দি নির্মাণ করেছে এক রাজকীয় মেজাজ। অর্পিতার কাঁচা হলুদ শরীরে এই শাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে সন্ধিপুজোর সব প্রদীপ। শাড়ির তেজ এতটাই আলোকিত যে ব্লাউজের আর কোনও প্রয়োজন হয়নি। খালি গায়ের এই ভরাট শাড়ি পুজোর আবহাওয়ায় এক অন্য ছবি তৈরি করবে।শাড়িকে গুরুত্ব দিতেই সাবেকি খোঁপা ঘন কাজল আর লাল রঙের ঠোঁট এঁকে দিলেন মেক আপ আর্টিস্ট অনিরুদ্ধ চাকলাদার। তাঁর হাতেই যেন আবেদনের সব মায়া।

শর্বরী জানেন আজকের মেয়েরা শুধু শাড়িতে সন্তুষ্ট নয়। তাই রাজ ঘরানার জৌলুসে অর্পিতাকে লেহেঙ্গা-চোলিতে সাজিয়ে দিলেন তিনি। অর্পিতার স্নিগ্ধতার সঙ্গে মিলে গেল শর্বরী দত্তের নান্দনিকতা। পায়ের নূপুরে রোমাঞ্চের শেষ কথা। আসলে পোশাককে গল্পে নিয়ে গিয়ে ফেলেন শর্বরী দত্ত। সে দশভুজার শাড়ি হোক বা দীপ কাট স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে জমকালো ঘাগড়া।

অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় শর্বরী দত্ত-র ‘শূন্য’ তে এসে বললেন,‘‘মনে হচ্ছে স্বপ্নপুরীতে এসেছি। চারিদিকে ফ্যাব্রিকের রোশনাই।’’ অর্পিতা উঠে পড়লেন প্রসেনজিতের জন্য। কিন্তু অর্পিতা কী নেবেন? জ্যাকেট? কুর্তা? নাকি পঞ্জাবি? কুর্তার হাতার কাজ দেখে চমকে উঠলেন তিনি।বললেন, ‘‘দু’ হাতে দু’রকমের কাজ! সব তোমার মাথা থেকে কী করে বেরয়?’’শর্বরী হাসেন।

‘‘বুম্বার পছন্দ কিন্তু আমার করা জামদানী সাজ’’—হাসলেন শর্বরী।

বাঙালি পুরুষকে তো তিনিই সাজতে শিখিয়েছেন! এ বার মেয়েদের জন্য

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন