পুজোর আনন্দ, ঘোরাঘুরি, রাত জেগে আড্ডা— এ সবের পালা আপাতত শেষ। উৎসবের মরসুম চললেও দুর্গাপুজোর মতো বেদম হুল্লোড় বাঙালির জীবনে খুব কম আসে। এ বার কাজে ফেরার পালা। তাই এত দিনের ক্লান্তি সরাতে এ বার ঘুমের শরন নিতেই হয়। নইলে ডার্ক সার্কল, ওবেসিটি কোনও সমস্যাই ছেড়ে কথা বলবে না কিন্তু!
তবে ঘুমোব বললেই তো ঘুমোনো যায় না। বরং জীবনযাত্রার পরিবর্তন অনেকের জীবন থেকেই সুখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন (হু)-এর মতে, প্রতি দশ জনে ছ’জন মানুষকেই কোনও না কোনও সময় ঘুমের ওষুধ নিতে হয়েছে।
কিন্তু জানেন কি, ওষুধ ছাড়াও সাধের ঘুমকে সহজেই নামিয়ে আনা যায় চোখের পাতায়। তার জন্য অবলম্বন করতে হবে কিছু নিয়ম। জানেন সে সব কী কী?
আরও পড়ুন: পুজোর পর এ সব উপায়ে চা খেয়ে ঝরিয়ে ফেলুন বাড়তি মেদ
কথায় বলে সঠিক বালিশ না কি ভাল ঘুমের মন্ত্র। বালিশ বানান এমন ভাবে যাতে ঘাড় বালিশের উপর সোজাসুজি থাকতে পারে, কাত না হয়ে যায়। কাঁধকে সাপোর্ট দিতে পারে এমন বালিশ বানান। বালিশে কার্পাস তুলো হলে ভাল হয়। একান্তই না পারলে ফোমের ভাল বালিশ বানান। তবে স্পঞ্জের বালিশ ব্যবহার না করাই ভাল। তোষকের ক্ষেত্রেও স্পঞ্জ না ব্যবহার করে নারকেল ছোবড়ার গদি বা ভাল মানের তুলোর গদি ব্যবহার করুন। অনেকেই সামান্যতম আলোতেও ঘুমোতে পারেন না। এ দিকে রাতে সম্পূর্ণ অন্ধকার ঘরে ঘুমোনোও খুব একটা সুবিধার নয়। নাইট ল্যাম্পের মৃদু আলোও ঘুমোতে অসুবিধা হলে চোখে রাখুন আই মাস্ক।
আরও পড়ুন: মনের অসুখের দাওয়াই কী কী জানেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
আই মাস্ক ব্যবহার রুখে দেবে চোখে বাড়তি আলো আসার সম্ভাবনা। ছবি: শাটারস্টক।
ঘুমের আগে চিনি ছাড়া গ্রিন টি খান। চা মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে, তাই অনেকেরই ধারণা ঘুমনোর আগে চা-কফি থেকে দূরে থাকাই ভাল। সাধারণ চায়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটলেও চিনি ছাড়া গ্রিন টি শরীরকে টক্সিনমুক্ত করে ঘুম আনতে সাহায্য করে। সুগন্ধ ঘুম আনে। তাই ঘুমের আগে ঘরে স্প্রে করুন ‘স্লিপ স্প্রে’। নানা ফুলের গন্ধ মেলানো এমন স্প্রে যে কোনও অনলাইন শপ বা নামী দোকানে সহজেই পাবেন। ঘুম আনতে হাতের কাছে রাখুন হালকা কোনও গানের সিডি বা গল্পের বই। পড়ার নেশা থাকলে বই পড়তে পড়তে এক সময় ঘুম আসবে। নতুবা সিডি প্লেয়ারে চালিয়ে রাখুন হালকা কোনও মিউজিক। যা শরীর ও মস্তিষ্ককে সহজেই শান্ত করে ঘুম পাড়াবে। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা না থাকলে ঘুমের আগে সেরে ফেলুন গরম জলের হালকা স্নান। ঘুম এতে ভাল হতে বাধ্য।
(গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy