নেটদুনিয়ার নিয়মকানুন

কাউকে না জেনে আঘাত করার পাশাপাশি ইন্টারনেটে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। কাউকে না জেনে আঘাত করার পাশাপাশি ইন্টারনেটে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রশ্ন: সোশ্যাল মিডিয়ায় কী পোস্ট করা উচিত?

Advertisement

উত্তর: কোনও ঘটনা নিয়ে নিজের স্বাধীন মত, ছবি, কোনও রসিকতা প্রকাশ করা যেতেই পারে। সংবিধানের বাক্‌স্বাধীনতা সোশ্যাল মিডিয়াতেও স্বীকৃত।

Advertisement

প্র: সোশ্যাল মিডিয়ায় কী পোস্ট করা যায় না?

উ: বিভিন্ন ধর্ম, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ঘটাতে পারে, এমন কিছু বক্তব্য পোস্ট করা যায় না। কোনও গুজব ছড়ানো যায় না। কাউকে হুমকি দেওয়া যায় না। রসিকতা বা বাকস্বাধীনতা থাকলেও কোনও ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তিবিশেষের মানহানি করা যায় না।

প্র: গুজব থেকে দূরে থাকবেন কী ভাবে?

উ: সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট ‘শেয়ার’ করার আগে বিষয়টি সম্পর্কে যাচাই করে নিন। কোনও খবর নিয়ে প্রচলিত সংবাদমাধ্যম বা সরকারি কোনও তথ্য রয়েছে কি না, তা জেনে নিন। না জেনেশুনে কোনও কিছু ছড়ানো উচিত নয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্র: যৌনতা সম্পর্কিত পোস্ট সম্পর্কে কী করা উচিত?

উ: কখনওই কোনও শিশু বা নাবালকের সম্পর্কে যৌনগন্ধী পোস্ট করা উচিত নয়। কোনও সাবালক বা সাবালিকার সম্পর্কেও এ ধরনের পোস্ট বেআইনি।

প্র: সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট সম্পর্কে আপত্তি থাকলে কী করা যেতে পারে?

উ: ফেসবুক, টুইটারের নিজস্ব নজরদারি ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে জানানো যেতে পারে। এ ছাড়া, কলকাতা পুলিশ ও সিআইডির থানাতেও অভিযোগ জানানো যেতে পারে।

প্র: সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে আইন কী রয়েছে?

রাজ্যের সাইবার সংক্রান্ত মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলছেন, গুজব ছড়ালে, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক, বিভেদমূলক বার্তা ছড়ালে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা হতে পারে। অশ্লীলতা বা শিশু-পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত প্রচার করলে ‘পকসো’ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও মামলা হতে পারে। দাঙ্গায় উস্কানি দিতে পারে এমন ‘পোস্ট’-এর জন্য জামিনঅযোগ্য ধারাতেও মামলা সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু যিনি প্রথমে গুজব বা উস্কানিমূলক ছবি দিয়েছেন তিনিই নন, যাঁরা সেগুলি বুঝে কিংবা না-বুঝে ‘শেয়ার’ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা হতে পারে।

নাবালকদের জন্য


প্র: কেউ যদি পাসওয়ার্ড চায়?
উ: বাবা-মা ছাড়া কাউকে পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না।

প্র: কেউ বন্ধু হতে চাইলে?
উ: যার সঙ্গে কখনও মুখোমুখি দেখা হয়নি, তার বন্ধুত্বের অনুরোধ উপেক্ষা করাই শ্রেয়।

প্র: আপত্তিকর মেসেজ, পোস্ট পেলে কী করা উচিত?
উ: প্রথমেই মা-বাবাকে জানাতে হবে। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপেও বিষয়টি ‘রিপোর্ট’ করতে হবে।

প্র: কেউ যদি পাসপোর্ট নম্বর, ঠিকানা, ফোন নম্বর চায়?
উ: ব্যক্তিগত তথ্য কখনওই পোস্ট করা উচিত নয়। লোকেশন সেটিং অপশন ব্যবহার না করাই নিরাপদ।

প্র: কেমন ভাষা হওয়া উচিত?
উ: আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়। কেউ যদি উস্কানিমূলক কথা বলে, তার উত্তর দেওয়া অনুচিত।

প্র: কী ছবি পোস্ট করা যায়?
উ: গ্রুপ ছবির ক্ষেত্রে বাকিদের অনুমতি নেওয়া জরুরি। নিজের ছবি পোস্ট করার সময় ‘পিকচার গার্ড’-প্রযুক্তি। না -বুঝে কোনও ছবি শেয়ার করা নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন