sexual problem

‘মেসেজ’-এ নিরন্তর যৌন সংলাপ, শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কি কমে যাচ্ছে এর ফলে?

এই ‘সেক্সটিং’ কি মানসিক স্বাস্থ্য বা যৌন স্বাস্থ্যের জন্য আদৌ নিরাপদ? আলবের্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যা বিভাগের গবেষণা বলছে, একেবারেই নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২১ ১৮:১৮
Share:

মোবাইল ফোন-নির্ভর যৌন কথাবার্তা সম্পর্কে সাবধান করছেন বহু মনোবিদ। ছবি: সংগৃহীত

ফোনে ‘মেসেজ’ আকারে লিখে পরস্পরকে যৌন কথা বলা। নতুন পরিভাষায় যাকে বলে ‘সেক্সটিং’। প্রযুক্তির উন্নতি এবং স্মার্টফোনের ব্যবহার বিপুল পরিমাণে বাড়ায়, এই ‘সেক্সটিং’ এখন পরিচিত একটি শব্দ। প্রেমের সম্পর্কে থাকা ২ জনের মধ্যে এমন কথাবার্তা একেবারেই বিরল নয়।

Advertisement

কিন্তু এই ‘সেক্সটিং’ কি মানসিক স্বাস্থ্য বা যৌন স্বাস্থ্যের জন্য আদৌ নিরাপদ? আলবের্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যা বিভাগের গবেষণা বলছে, একেবারেই নয়।

হালে এক সমীক্ষা চালানো হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। বেছে নেওয়া হয়েছিল এমন ৬১৫ জনকে, যাঁরা নিয়মিত ‘সেক্সটিং’ করেন। দেখা গিয়েছে, লিখে লিখে নিজেদের যৌন কল্পনার কথা তাঁরা যত বেশি পরিমাণে বলেন, শারীরিক সম্পর্কের প্রতি ততই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন তাঁরা।

Advertisement

কী ধরনের কথা তাঁরা বলেন? পরিসংখ্যান বলছে, সাধারণত এই সব মানুষ সাধারণত উল্টো দিকের মানুষটির কাছে জানতে চান, তিনি কী পরে আছেন? এটা দিয়েই এই ‘সেক্সটিং’ শুরু হয়। যত দিন কাটে, সেই কথা থেকে ক্রমে ক্রমে পুরোদস্তুর ‘যৌন কল্পনা’ বা ‘সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি’ বহিঃপ্রকাশের চেহারা নেয়।

ঠিক কী কী সমস্যা হয় পরিবর্তী ক্ষেত্রে?

  • দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ‘সেক্সটিং’ করেন, তাঁরা সাধারণত নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে সংশয়ে ভোগেন।
  • নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি তাঁদের বিশ্বাসে ঘাটতি থাকে।
  • যৌন সম্পর্ক থেকে তাঁদের আনন্দের মাত্রা ক্রমে কমতে থাকে।
  • দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ‘সেক্সটিং’ করেন, তাঁরা নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে সময় কাটানোর সময় বেশি মাত্রায় মোবাইল ফোনের দিকে নজর দেন। প্রযুক্তি বার বার তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ে, সম্পর্কের মজা নষ্ট করে দেয়।

কেন এমন হয়? এর ব্যাখা দিতে গিয়ে আলবের্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, যাঁরা খুব বেশি ‘সেক্সটিং’ করেন, তাঁরা বেশি মাত্রায় যৌন সম্পর্কটি নিয়ে ভাবতে থাকেন। ফলে সম্পর্কের অন্য দিকগুলো তাঁদের দৃষ্টির বাইরে পড়ে থাকে। ফলে যত্নের অভাবে সেগুলি নষ্ট হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন