Bizarre

অসম বিয়েতে মত ছিল না পরিবারের, তবু চার হাত এক হল ‘মৃত’ পাত্র-পাত্রীর

গুজরাতের এই বিয়ের ঘটনা গভীর বেদনার এক আখ্যান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সুরাত শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৯
Share:

ভালবাসার করুণ কাহিনি। ছবি- ইনস্টাগ্রাম।

অসম বিয়েতে মত দেয়নি দুই পরিবার। তাই ২০২২ সালে অগস্ট মাসে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন গুজরাটের তাপির বাসিন্দা গণেশ এবং রঞ্জনা। এমন ঘটনা নতুন নয়। একবিংশ শতাব্দীতেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কান পাতলেই শোনা যায় ফুল হয়ে ফুটে ওঠার আগেই এমন অসম প্রেম ঝরে যাওয়ার কাহিনি। কখনও পাত্র-পাত্রীর ভিন্‌ ধর্মের বিয়ে মেনে নিতে পারে না দুই পরিবার। আবার কখনও ভিন্ন বর্ণে, ভিন্ন বিত্তের বিয়েতে আপত্তি থাকে। কখনও পরিবারের মধ্যে কারও সঙ্গে সম্পর্ক হলেও অশান্তি তুঙ্গে ওঠে। ঘটনার প্রেক্ষিত যেমনই হোক, এই অশান্তির আগুনে সব চেয়ে বেশি পুড়তে হয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া দুই পাত্র-পাত্রীকে।

Advertisement

শুরুর দিকে এমনটাই হয়েছিল গণেশ এবং রঞ্জনার সঙ্গে। তবে শেষটা কিন্তু একেবারেই ছকে বাঁধা গল্পের মতো হল না। যে পরিবারের মানুষজন এক দিন এই বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিলেন, সেই মানুষগুলিই আবার হইহই করে তাঁদের বিয়ের আয়োজনে লেগে পড়লেন। মৃত্যুর ৬ মাস পর নিয়ম মেনে, ঘটা করে তাঁদের বিয়েও হল, কিন্তু রক্তমাংসের গণেশ এবং রঞ্জনা নয়, তাঁদের আদলে বানানো মূর্তির।

রঞ্জনার দাদু ভীমসিংহ পাদভী বলেন, “দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেম করেছিল নাতনি। তাই আমরা এই বিয়েতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু বেঁচে থাকতে ওদের চার হাত এক করে দিতে পারলাম না, তাই এই ভাবেই ওদের শেষ ইচ্ছেকে পরিণতি দিলাম। পরপারে যেন শান্তিতে একসঙ্গে থাকতে পারে ওদের বিদেহী আত্মা।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন