break up

ব্রেক আপ? মন খারাপ কাটিয়ে উঠুন ৬ উপায়ে

আগে শান্ত হোন। অহেতুক হতাশায় না ডুবে বরং আনন্দ দেয় এমন কিছু করুন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ ১৬:৫২
Share:

ব্রেক আপ? ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রতীকী চিত্র।

সময় দিন নিজেকে

Advertisement

না। একেবারেই তাড়াহুড়ো নয়। সম্পর্ক শেষ মানেই একাকীত্ব ভুলতে নতুন মানুষের খোঁজ শুরু— বিষয়টা এত সহজ নয় কিন্তু। বরং নিজের সঙ্গে বসুন। কী চাইছেন সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। এই সময়ে এমনিতেই মন-মেজাজ নিজের আয়ত্তে থাকে না, তাই আগে শান্ত হোন। অহেতুক হতাশায় না ডুবে বরং আনন্দ দেয় এমন কিছু করুন। এই সুযোগে তৈরি করতে পারেন নতুন কোনও শখ।

আগের ভুল শুধরে নিন

Advertisement

একহাতে কিন্তু তালি বাজে না। খুব ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, সম্পর্কটা ভাঙল কেন? আপনার দিক থেকে কোনও সমস্যা ছিল কি? তা হলে আজই সে সবের একটা তালিকা করুন। পারতপক্ষে সে সব যেন আর চলার পথে থাবা বসাতে না পারে, সে দিকে যত্নবান হওয়া জরুরি। হতেই পারে, নিজের কোনও ভুল নিয়ে আক্ষেপ আছে নিজেরও। তা হলে স্বভাব থেকে আজই সরুক সেই অযাচিত ভুল।

হতাশা যেন ঘিরে না ধরে। ফাইল চিত্র।

বোঝাপড়াকে গুরুত্ব

দু’-এক দিনের আলাপ থেকেই প্রেম কিংবা লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট— হুড়োহুড়ি অনেক সময় ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বোঝাপড়াকে। কাজেই সঙ্গী বাছতে মনের সঙ্গে মাথাকেও গুরুত্ব দিন। এতে ভুল বোঝার আশঙ্কা কমে। আবেগ আর যুক্তির মিশেলই কিন্তু একটা ভাল সম্পর্কের বুনোট তৈরি করতে পারে। কাজেই এ বার নতুন করে ভাবুন সব।

আরও পড়ুন : বাড়িতে বসেই কী ভাবে পেডিকিওর করবেন, জানেন?

ম্যাট্রিমনিয়ালে আলাপ, প্রথম দেখা? ভুলেও এগুলো করবেন না

পুরনো প্রেম নিয়ে দোষারোপ? নো নেভার!

সম্পর্ক ভাঙলেই সোশ্যাল সাইটে গিয়ে তেড়ে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে গাল পাড়েন? চিকিৎসকদের মতে, এ সব কিন্তু হতাশার লক্ষ্মণ। এ অভ্যাস ত্যাগ করুন আজই। যে কোনও বিষয়েই তিক্ততা বাড়তে না দেওয়াই ভাল। তার চেয়ে চেষ্টা করুন প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বটুকু রাখতে। এতে মন ভাল থাকে। একান্তই তা না পারলে এড়িয়ে চলুন। কিন্তু ঝগড়া-দোষারোপ এ সব কখনওই নয়।

মন ভাল রাখে এমন জায়গায় ঘুরে আসুন। ফাইল চিত্র

বেড়াতে যান

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, মন ভাল করার সবচেয়ে উপযুক্ত দাওয়াই বেড়ানো। সম্পর্কের ক্লান্তি থেকে বেরতে ব্যাগ গোছান, টিকিট কাটুন, ঘুরে আসুন দূরে কিংবা কাছে। চেনা পরিবেশ থেকে একটু আলাদা থাকুন ক’দিন। মনকে দিন তার নিজস্ব খোরাক। এতে হতাশা কমবে। ঝরঝরে হবেন।

হঠকারিতা থেকে দূরে

এ সমস্যা এই প্রজন্মে বেশি। কিছু হল, কি হল না, দুমদাম সিদ্ধান্ত। না। এ বার একটু সামলে। সম্পর্ক হোক বা পরীক্ষার রেজাল্ট, জীবনের চেয়ে বড় কিন্তু কিছুই নয়। অভিভাবকের চরম ধমকের পরেও জীবনের বাঁকে বাঁকে বিস্ময় লুকনো থাকে। তাই যে কোনও ছোটখাটো বিষয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মূর্খামি থেকে দূরে থাকুন। সামলাতে না পারলে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement