smiley

অনেক ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করেন? সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এ সব

দীর্ঘ সময় একই জায়গায় বসে কাজ করতে বাধ্য হলে মেনে তাই মেনে চলুন এই সব কৌশল। চিকিৎসকদের মতে, এ সব করতে পারলেই কাটবে বিপদ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:০৮
Share:

একটানা বসে কাজ করলে শরীর বাঁচাতে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছবি: শাটারস্টক।

আধুনিক জীবনযাপন ও পরিবর্তিত অভ্যাসের জেরে যে সমস্ত সমস্যা নিয়ে আমরা প্রায়ই আতঙ্কে থাকি, তার অন্যতম এক জায়গায় বসে দীর্ঘ ক্ষণ কাজ। বেশির ভাগ অফিসেই আজকাল কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয় কর্মীদের। একটানা সাত-আট ঘণ্টা একই জায়গায় বসে কাজ করার জন্য কোমর, পিঠে হাড়ের সমস্যা তো আসেই, সঙ্গে যোগ হয় স্নায়ুর নানা অসুখও।

Advertisement

অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের মতে, এই দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকার হাত ধরেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, মেদবাহুল্য, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা হানা দেয় শরীরে। তবে জীবিকা ছেড়ে দেওয়া তো সম্ভব নয়, আবার একটানা বসে থাকলে তা শরীরের জন্যও ভাল নয়।

তবে কিছু অভ্যাস আয়ত্তে আনলে পারলে একটানা বসে কাজ করলেও এই সব শারীরিক ক্ষতি থেকে বাঁচা যায়। দীর্ঘ সময় একই জায়গায় বসে কাজ করতে বাধ্য হলে মেনে তাই মেনে চলুন এই সব কৌশল।

Advertisement

আরও পড়ুন: এই সব ফল ফ্রিজে রাখছেন? এমন ভুল আর করবেন না

দীর্ঘ সময় একই জায়গায় বসে থাকবেন না। মাঝে মাঝে সম্ভব হলে চেয়ার বদলান। প্রতি দু’ঘণ্টায় কয়েক পা হেঁটে নিন বা ফাঁকা কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে কুড়ি-তিরিশ বার স্পট জগিং করে নিন। এতে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। অস্থি সংযোগস্থলও আরাম পাবে। অফিস যদি এক তলায় না হয়, তা হলে যত বার ওঠানামা করবেন প্রতি বার সিঁড়ি ব্যবহার করুন। অনেক উপর তলায় অফিস হলেও একটা নির্দিষ্ট তলা পর্যন্ত লিফটে এসে বাকি তিন-চার তলা ওঠানামা করতে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। যাঁদের অফিস একাধিক তলের নয়, তাঁরা চেষ্টা করুন কোনও এক ফাঁকে একটু বেড়িয়ে অফিসের চার পাশে জোরে হেঁটে নিতে।

আরও পড়ুন: এই সব উপসর্গ দেখলেই সাবধান হোন! অ্যাপেনডিসাইটিস নয় তো?

হাতের কাছে রাখুন হলুদ রঙের স্মাইলি বল। কাজের মাঝে মাঝে ১৫-৩০ সেকেণ্ড সেই বলে চাপ দিন। আঙুলের হাড় ও পেশির ক্ষেত্রে খুব কাজে আসবে। প্রতি দিন আধ ঘণ্টা হাঁটুন, এবং অবশ্যই সেই হাঁটার গতি যেন দ্রুত হয়। ফ্রি হ্যান্ড, স্ট্রেচিং, কোমর-হাঁটুর ভাঁজ ইত্যাদি সাধারণ ব্যায়ামগুলো করুন রোজ। ঘন ঘন চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবশ্যই গ্রিন টি খান। প্রতি ছ’মাসে রক্তপরীক্ষা করে দেখে নিন শরীরে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা দেখে নিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন