আজ বিশ্ব এডস দিবস। সারা বিশ্বজুড়ে ১ ডিসেম্বর এই দিনটা পালিত হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে প্রচার সত্ত্বেও আজও এডস নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে অজানা ভয়। যে ভয়ের জন্ম ভ্রান্ত কিছু ধারণা থেকে। জেনে নিন এমনই কিছু ভ্রান্ত ধারণা।
এইচআইভি পজিটিভ মানেই অবাধারিত মৃত্যু: চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন আধুনিক চিকিত্সা ও সাবধানতার মাধ্যমে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।
কারও এইচআইভি ইনফেকশন রয়েছে কিনা মুখ দেখে বোঝা যায়: এই ইনফেকশনের সাধারণত কোনও লক্ষণ থাকে না। তাই দেখে বোঝা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
হেটরোসেক্সুয়ালদের এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ে চিন্তার প্রয়োজন নেই: যদিও আমরা জানি সমকামীদের মধ্যেই এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। সারা বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্তদের ৭৮ শতাংশ সমকামী ও ২৪ শতাংশ হেটরোসেক্সুয়াল। তাই শুধু সমকামীরাই আক্রান্ত হতে পারে এই ধারণা একেবারেই ভুল।
এইচআইভি পজিটিভ হলে সুস্থ সন্তানের জন্ম সম্ভব নয়: যদিও চিকিত্সকরা এমন কোনও গ্যারান্টি দিতে পারেন না সন্তানের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াবে না। কিন্তু চিকিত্সকরা এও বলেন যে এইচআইভি পজিটিভরাও সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারেন।
এইচআইভি পজিটিভ হলেই এইডস হবে: এইচআইভি ইনফেকশন থেকে এইডস হয় ঠিকই। কিন্তু এর কোনও মানে নেই যে এইচআইভি পজিটিভ হলেই এইডস হবে।
আধুনিক চিকিত্সা পদ্ধতিতে এইচআইভি পজিটিভ কোনও বড় সমস্যা নয়: চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন এই ভুল ধারণার ফলে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অসুরক্ষিত যৌন মিলনের প্রবণতা বাড়ছে। যার ফলে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
পিআরইপি নিলে আর কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই: প্রি এক্সপোজার প্রফিলেক্সিস এক ধরনের মেডিকেশন যা এইচআইভি ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়া রুখতে পারে। তবে পিআরইপি মিলনের সময় এইচআইভি সংক্রমণ রুখতে পারে এমন কোনও প্রমাণ পাননি বিজ্ঞানীরা।
এইচআইভি টেস্ট নেগেটিভ এলে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই: সদ্য এইচআইভি-তে আক্রান্ত হলে তা পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। অন্তত তিন মাস লাগে ধরা পড়তে। তাই এইচআইভি নেগেটিভ মানেই কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই তার কোনও মানে নেই।
যদি দুজন পার্টনারের এইচআইভি পজিটিভ হয় তা হলে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই: সব এইচআইভি স্ট্রেইন এক রকম হয় না। এক সঙ্গে একাধিক স্ট্রেইনে আক্রান্ত হলে জটিলতা বাড়ে। যাকে বলা হয় সুপারইনফেকশন।