চুলের বৃদ্ধি বজায় রাখতে মেনে চলুন বিশেষ কিছু কৌশল। ছবি: শাটারস্টক।
চেহারায় সৌন্দর্য যোগ করে চুল। তা কেবল সুন্দরই করে না, চেহারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যক্তিত্বও তৈরি করে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষ তাই চুলের যত্ন নিতে চান সকলেই। কেবল চুল ঝরা বা শুষ্ক চুল রুখে দেওয়ার উপায় জানাই শেষ কথা নয়, সুন্দর চুল পেতে হলে জানতে হয় সহজে চুল বাড়ানোর পদ্ধতিও।
‘‘অনেকেরই অভিযোগ থাকে, ঠিক মতো চুল বাড়ছে না। রাপুনজেলের মতো একঢাল লম্বা চুল যে হতেই হবে, তা নয়, অনেকেই ছোট চুল পছন্দ করেন। কিন্তু চুলের আকার যেমনই হোক, স্বাভাবিক হারে তার বৃদ্ধিও প্রয়োজন। চুল একটা সময়ের পর আর না বাড়লে তা চুলের অস্বাস্থ্যকেই ইঙ্গিত করে।’’ জানালেন রূপ বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা।
তাই ছোট চুল হোক বা বড়, চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব জরুরি। বিশেষ করে যাঁরা একঢাল লম্বা চুল পছন্দ করেন, তাঁদের জন্যও এই সব কৌশল অত্যন্ত কার্যকর।
আরও পড়ুন: ডাবল চিন থেকে গালে-ঘাড়ে ভারী মেদ? এই বিশেষ ক’টা উপায়ে ঝরিয়ে ফেলুন তা
চুলের বৃদ্ধিতে শ্যাম্পুর সঙ্গে তেলেও মন দিতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
তেল: বিশেষজ্ঞদের মতে, আজকাল অনেকেই চুলে তেল দেন না, প্রায় রোজই শ্যাম্পু করেন। কন্ডিশনার-সহ শ্যাম্পু চুলের জন্য উপকারী। কিন্তু শ্যাম্পুর সঙ্গে তেলেও মন দিতে হবে বইকি! সপ্তাহে দু’দিন নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। বালিশে যাতে তেল না লাগে, সে ভাবে মাথায় কাপড় বা নরম তোয়ালে জড়িয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে ও চুল সহজে ভাঙবে না। তেল থেকে যেটুকু খাবার চুল পায়, তাও মিলবে।
রাসায়নিক নয়: চুলের বৃদ্ধি বজায় রাখতে হলে শ্যাম্পুর দিকে নজর দিন। সিলিকন, সালফাইটমুক্ত কম ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু চুলের জন্য ভাল। অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত শ্যাম্পু স্টাইল ও ফ্যাশনে সাহায্য করলেও তা আদতে চুলের গোড়ার ক্ষতি করে ও বৃদ্ধি আটকায়।চুল খুব বেশি ঘষাও ভাল নয়। শ্যাম্পুর সময় প্রয়োজনের বেশি চুল ঘষবেন না ও কখনওই গরম জল দেবেন না চুলে।
কন্ডিশনার: কন্ডিশনারের ক্ষেত্রেও বাছাইয়ের বিষয়ে খুব সাবধান হতে হবে। রাসায়নিকমুক্ত ও প্রাকৃতিক তেল যেমন বাবাসু, নারকেলযুক্ত তেল, মধু ইত্যাদি সমৃদ্ধ কন্ডিশনার বাছুন।
আরও পড়ুন: বিয়ের রীতিতে গায়ে হলুদের চল কেন এল জানেন?
চেষ্টা করুন সিল্কের ওয়াড় ব্যবহার করতে।
বালিশ: চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় এ সবেও নজর দিতে হবে। চুল নিজেই প্রাকৃতিক উপায়ে তেল তৈরি করে তার গোড়াকে ভাল রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু একটানা সুতি, পলিয়েস্টার বা রেয়নের ওয়াড়ে শুলে চুলের তেল শুষে নেয় তারা। তাই চেষ্টা করুন সিল্কের ওয়াড় ব্যবহার করতে। ঘুমনোর সময় চুল বেঁধে নিন। এটা বালিশের সঙ্গে ঘষা খাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
না বলুন: চুলের বাড়বাড়ন্ত স্বাভাবিক রাখতে গেলে কিছু বিষয় এড়াতেই হবে। খুব বেশি হিট নেওয়া চলবে না। এমন কিছু স্টাইলে চুল কাটা, যেখানে প্রচুর কুচো চুল বাদ পড়ে (মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ, ক্রিয়েটিভ কাট ইত্যাদি) এড়াতে হবে তা-ও। এতে চুলের গোছা পাতলা হয় ও সামঞ্জস্য আসা খুবই সময়সাপেক্ষ বিষয় হয়ে ওঠে।