বন্ধ পড়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি। —নিজস্ব চিত্র।
এনসেফ্যালাইটিস উত্তরবঙ্গ দাপালেও এখনও ঘুম ভাঙেনি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় বছর খানেক জ্বরে আক্রান্ত কোনও রোগী দীর্ঘদিন এখানে চিকিৎসার জন্য আসেননি। তাই মেয়াদ ফুরোনোর পরেও আর আনা হয়নি এনসেফ্যালাইটিস রোগ নির্ণয়ের কিট। এমনকী দু’মাস আগেই কিটের মেয়াদ ফুরোলেও তা কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে মাত্র দিন দু’য়েক আগে। সুপার মহম্মদ আব্দুর রসিদও বলেন, “জ্বরে আক্রান্ত রোগী না আসার কারণেই দীর্ঘদিন পড়ে থেকে এনসেফ্যালাইটিস নির্ণয়ের কিটগুলির মেয়াদ ফুরিয়েছে।”
সেই সঙ্গে মালদহ শহরে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতেও এনসেফ্যালাইটিস পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। ফলে এনসেফ্যালাইটিস এই জেলায় ছড়ালে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের অন্যত্র যেতে হবে। বছর খানেক আগে এনসেফ্যালাইটিস রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রায় একশো কিট আনা হয় এই হাসপাতালে। কিন্তু দিন দু’য়েক আগে পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে রিপোর্ট পাঠানোর সময়ে নজরে পড়ে কিটগুলির মেয়াদ ফুরিয়েছে দু’মাস আগেই। কিটের অভাবে এখানে চিকনগুনিয়া বা ডেঙ্গি পরীক্ষারও ব্যবস্থা নেই। শুধু ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা হচ্ছে।
গত তিন মাস ধরে কর্মীর অভাবে বন্ধ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষাগারও। তবে প্রয়োজনে মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষাগারে রোগ জীবাণুর পরীক্ষানিরীক্ষা করা সম্ভব বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
তবে এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন,“জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন না বলে এনসেফ্যালাইটিস, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গির কিট আনা হবে না, এ কেমন কথা?” এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী অবশ্য বলেন, “দ্রুত সমস্ত কিট আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”