ঘরবাড়ি পরিষ্কারের উপর নির্ভর করে শিশুর স্বাস্থ্য। ছবি: শাটারস্টক।
বাড়িতে খুদে সদস্য থাকলে এমনিতেই নানা সতর্কতা মেনে চলতে হয়। তাদের শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতেই বেশ কিছু নিয়ম-কানুনও মেনে চলতে হয় অভিভাবকদের। তার মধ্যে ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখার অভ্যাস অন্যতম।
ঘরের ভিতর বা চারপাশে নোংরা-আবর্জনা জমলে সেখান থেকেও রোগ-জীবাণু ছড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র মতে, ভারতীয় শিশুদের অসুখের এক তৃতীয়াংশই ঘরবাড়ির আবর্জনা থেকে ছড়ায়। তাই শিশুদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার দিকটিও এড়িয়ে গেলে চলবে না।
কিন্তু জানেন কি, বাড়ি পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত কোন কোন ভুল করি? অভিভাবকদের সেই সব ভুলের মাসুল গুনতে হয় শিশুদের। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তুলনামূলক কম হওয়ায় এই সব নোংরা থেকে খুব তাড়াতাড়ি অসুখে পড়ে তারা। আপনারও এমন কোনও ভুলের জন্যই অসুস্থ হয়ে পড়ছে না তো সন্তান?
আরও পড়ুন: রোজ অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা? ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকুন এই সব উপায়ে
সুতির কাপড় ব্যবহার করুন পরিষ্কারের কাজে।
সিন্থেটিক ফাইবার বা ফেদার ডাস্টার দিয়ে ঘরদোর ঝাড়ামোছা করান? এই ধরনের কাপড়ে বানানো ঝাড়ন দেখতে খুব আকরষক হয় কিন্তু এতে ঘরের ধুলো সম্পূর্ণ যায় না। এরা মূলত এক জায়গার ধুলো সরিয়ে দিলেও মাটিতে আঁকড়ে থাকা ধুলোর কণারা এতে খুব একটা যায় না। তাই এই ধরনের ঝাড়ন ব্যবহার বন্ধ করে সুতির কাপড়ের ঝাড়ন বা মাইক্রোফাইবারের ঝাড়ন ব্যবহার করুন। ঘরের প্রতিটি কণার দিকে আপনার তীক্ষ্ণ নজর। ঘরের চারপাশও পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেন যথাসাধ্য। কিন্তু এর পরেও কোনও ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো? আচ্ছা রান্নাঘরের সব কোণা পরিষ্কার রাখলেও কাটাকুটি করার জন্য চপিং বোর্ডটা প্রতি দিন পরিষ্কার করেন কি? এই ভুল আমরা অনেকে করি। চপিং বোর্ড ভাল করে না ধুলে সেখান থেকেই অসুখ ছড়ায়। আর দিনের পর দিন চপিং বোর্ড শুধুমাত্র ঝেড়েটেড়ে নিয়েই কাজ চালিয়ে যান অনেকেই। এই অভ্যাস বদলান। ছোট ছোট ভুল এড়িয়ে চলুন। কেবলমাত্র বেসিন বা সিঙ্ক পরিষ্কার করলেই ঘরকে জীবাণুমুক্ত রাখা যায় না। কলের মাথা, দরজা-জানালার হাতলও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। বাড়িতে থাকা ডাস্টবিনের মুখ অবশ্যই চাপা রাখবেন। শুধু তা-ই নয়, ব্যবহৃত ডাস্টবিনকেও দিন তিনেক অন্তর পরিষ্কার করুন। অনেকেই রান্না শেষ হওয়ার পরেও অনেক ক্ষণ তরিতরকারির খোসা ছড়িয়ে রাখেন। এতে মাছির উপদ্রব বাড়ে ও তার মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। বাসনপত্র শুধু ধুয়ে উপুড় করে রাখলেই হয় না, বরং তা ভাল করে মুছেও নিন। কেবলমাত্র জলে সব নোংরা যায় না। পরিষ্কার কাপড়ে তাই মুছেও রাখুন বাসন।
আরও পড়ুন: একটা সময়ের পর আর ওজন কমছে না কিছুতেই? এই সব কৌশলেই করুন বাজিমাত
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই সব তথ্য আগে জানতেন?
বেসিনের সঙ্গে পরিষ্কার রাখুন কলের মাথাও।
যে কাপড় দিয়ে ঘরবাড়ি পরিষ্কারের কাজ করেন, ন্যাকড়া বা ন্যাতা জাতীয় যে কাপড় রান্নাঘরের নানা কাজে লাগে, সেই সব কাপড় সব সময় পরিষ্কার রাখুন। কেচে কড়া রোদে দিন সে সব। সূর্যালোকে অনেক জীবাণু মরে যায়। নিজের হাত থেকেও কিন্তু অসুখ ছড়ায়। যে হাতে বাসন ধুলেন তা কোনও ক্রমে পরিষ্কার করেই কাউকে খেতে দেওয়া বা হাত ভাল করে না মুছেই কোনও খাবারের বয়ামে হাত দেওয়া— তাড়াহুড়োর জীবনে এ সব খুব সাধারণ অভ্যাস। সে সব ঝুঁকি এড়াতে গ্লাভস ব্যবহার করুন।
(শুরু হয়েছে আমাদের নতুন বিভাগ 'HELLO DOCTOR'। এ বারের বিষয় ‘ব্রণর সমস্যা’। এ বিষয়ে আপনার প্রশ্ন পাঠান query@abpdigital.in এই মেল আইডি তে। উত্তর দেবেন ত্বক বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষ।)