আলস্টার ফ্রাই চেখে দেখেছেন কখনও? এগ, বেকন, সসেজ দিয়ে সাজানো সোডা ব্রেড-এর প্ল্যাটারটি উত্তর আয়ার্ল্যান্ডের ন্যাশনাল ডিশ। এতে রয়েছে ১১৫৯ ক্যালোরি। হবে না-ই বা কেন? এগ-বেকন-সসেজের সঙ্গে রয়েছে হোয়াইট পুডিং, মাশরুম, টোম্যাটো আর বিনস।
ইংলিশ স্টাইলে ব্রেকফাস্ট করবেন আর ফিস অ্যান্ড চিপ্স খাবেন না— এমনটা হয় নাকি! ইংল্যান্ডের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডেও এই ডিশ প্রায় সমান জনপ্রিয়। ব্যাটারে ডুবিয়ে মাছের ফিলে ভাজা, আর সঙ্গে এক গাদা চিপ্স। এক প্লেটেই পাবেন ১১০৩ ক্যালোরি।
দোনার কাবাব। স্ট্রিট ফুড হিসেবে তুরস্কের দোনার কাবাব নাম ছড়ালেও এটি এখন ঠাঁই করে নিয়েছে নামীদামি রেস্তোরাঁয়। সাধারণত ভেড়ার মাংস দিয়ে এই কাবাব তৈরি হলেও চিকেন বা বিফ-এর দোনার কাবাবও হয়। একটি লম্বা শিকে গেঁথে টোম্যাটো, পেঁয়াজ ও লঙ্কামাখানো ভেড়ার মাংস হালকা আঁচে ঝলসে নেওয়া হয়। জিভে জল এসে গেলেও এক প্লেটে রয়েছে ৯৯২ ক্যালোরি।
পুতিন। ঘন ব্রাউন গ্রেভির মধ্যে মাখামাখি করেছে রয়েছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। তার উপর গলানো চিজ ছড়ানো। এক বার ভাবুন তো এতে কতটা ক্যালোরি থাকতে পারে? কানাডার ন্যাশনাল ডিশ পুতিন আসলে এক্কেবারে কমফর্ট ফুড। কিউবেকের এই ডিশের এক প্লেটে রয়েছে ৯৮৪ ক্যালোরি।
হ্যামবার্গার আর ফ্রাই। জার্মানিতে এর আদি বাসস্থান হলেও মার্কিন মুলুকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। মাংসের প্যাটির গলানো চিজ, স্যালাড, পিকল্স, মাস্টার্ড। আর উপরে-নীচে হোয়াইট ব্রেড বান। সঙ্গে অঢেল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। একটা মাঝারি মাপের বার্গারে রয়েছে ৭০০ ক্যালোরি।
লোকো মোকো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হাওয়াইয়ের একটি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় তৈরি হয়েছিল এই ডিশ। হোয়াইট রাইসের উপর নরম মাংসের টুকরো, সঙ্গে ডিম ভাজা এবং গ্রেভি। এক প্লেটে রয়েছে ৬৫০ ক্যালোরি।