বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই উৎসব বাঙালির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত। বাঙালির সমস্ত আবেগ, অনুভূতি, ভালবাসা সব কিছু এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত। আর কলকাতার মানুষ এই উৎসবকে সব থেকে ভাল ভাবে উদযাপন করে। এই পুজো বাঙালির মননের সঙ্গে এমন ভাবে যুক্ত যে, পুজো শুরুর এক মাস আগে থেকে শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। জাতি-ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে মহানগরীর আনন্দে গা ভাসিয়ে দেয় সব্বাই। যে এই উৎসবের স্বাদ পায়নি, সে কখনও ভাবতেও পারবে না এই উৎসবের বিস্তৃতি কতটা।
ষষ্ঠী থেকে দশমী এই পাঁচ দিন ধরে চলে এই উৎসব। আর প্রতিটা বাঙালি নিজের মতো করে অংশগ্রহণ করে এই পুজোয়। বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে পরিবারের নানান সদস্যরা একত্রিত হয় এই সময়। পাঁচ দিনের এই উৎসবে মিশে থাকে একরাশ ইমোশন ও নস্টালজিয়া। আর এর সঙ্গে মিলে মিশে যায় কলকাতার খাবার। যার মধ্যে প্রথমেই আসে বাঙালির প্রিয় মাছ ভাত।
যখন ভারতের অন্যান্য সমস্ত শহরে নবরাত্রির জন্য টানা উপোস চলে, তখন সিটি অব জয়-এ চলে লুচি, মাংস, বিরিয়ানি, চাউমিন এবং সঙ্গে আরও অন্যান্য খাবারের টানা আস্বাদন। পাঁচ দিন ধরে বাঙালি প্যান্ডেলে, প্যান্ডেলে ঘোরে, ঠাকুর দেখে, নিজেকে নতুন করে খুঁজে পায়। এই উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল পুজোর ভোগ, অর্থাৎ খিচুড়ি। যার স্বাদ এক এক জায়গায় এক এক রকম। সেই সঙ্গে তো কষা মাংস, কাঠি রোল, ফুচকার এসমস্ত রয়েছেই। এগুলির স্বাদ যেন কোনও দিনও ফুরোবে না।
বাঙালি এমনিতেই খেতে ভালবাসে। এবং দুর্গাপুজো বাঙালি জীবনের সেই সময় যেখানে তারা শুধু বিভিন্ন ধরনের বিচিত্র খাবার খাওয়াই নয় বরং সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক বন্ধনে ঘিরে থাকেন। সকালের দিকে পুজোর আড্ডা থেকে বিকেলে এক সঙ্গে পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়া, দুপুরের মধ্যে অষ্টমীর আরতি থেকে সারা রাত ধরে প্যান্ডেল হপিং, এসব তো বাঙালির কাছে অন্যতম মূল বিষয়।
আর শুধু খাওয়াই নয়, এই খাওয়ার সঙ্গে মাথায় রাখতে গ্যাস, হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি বিষয়গুলিও। কিন্তু পুজোর সময় কি অত কিছু ভাবলে চলে! পলিক্রলের সঙ্গে এ বার পুজোয় মন খুলে খান। পলিক্রল এই পুজোয় নিয়ে এসেছে ফুডি চ্যাম্প কনটেস্ট। যা চলবে পুজোর পাঁচ দিন ধরে। পুজোর ট্রিভিয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিন এবং বিজেতাদের জন্য থাকছে স্যামসাং J8 মোবাইল, অ্যামাজন ভাউচার।
পলিক্রলের সঙ্গে পুজো হয়ে উঠুক আরও সুন্দর।