খুদেকে নিয়ে ঠাকুর দেখার আনন্দ যেন মাটি না হয়। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। চারিদিকে সাজ সাজ রব। শরতের বাতাসে পুজোর গন্ধ। উৎসব-আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙালি। রাস্তাঘাটের জনসমুদ্র বলে দিচ্ছে, আমজনতার উত্তেজনা তুঙ্গে। এ বছর মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে হয়েছে ঠাকুর দেখার পালা। পুজো মানেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখা। হাঁটাহাঁটি। ভিড় ঠেলে এগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আনন্দ কচিকাঁচাদের মধ্যেই বেশি। তবে বাড়ির খুদে সদস্যটিকে ঠাকুর দেখাতে নিয়ে গেলেই হল না, এই ভিড়ে তাকে সুস্থ রাখাটাও জরুরি। শিশুকে সঙ্গে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
১) বাচ্চাকে নিয়ে পুজো পরিক্রমায় বেরোলে ব্যাগে একটা জলের বোতল অবশ্যই রাখুন। শরৎকাল হলেও বেশ গরম রয়েছে। তার উপর এমন ভিড়। ফলে জলতেষ্টা পাওয়া স্বাভাবিক। জল সঙ্গে রাখলে সুবিধা। কোথাও একটু দাঁড়িয়ে জল খাইয়ে দিতে পারবেন। শুধু জল নয়, শিশুর জন্য কিছু শুকনো খাবারও সঙ্গে রাখুন। উৎসবের সময় বাইরের খাবার মানেই তেল-মশলার ছড়াছড়ি। বাচ্চাকে সে সব না খাওয়ানোই ভাল। তার চেয়ে বিস্কুট, কেক বা তার পছন্দের কিছু খাবার ব্যাগে রাখতে পারেন। কাজে লেগে যাবে।
২) আবহাওয়া দফতর বলছে, পুজোয় বৃষ্টিতে ভাসবে শহর থেকে শহরতলি। বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে বেরোচ্ছেন যখন, সঙ্গে একটা ছাতা রাখতে ভুলবেন না যেন। বৃষ্টি হলে অন্তত শিশুর একটা স্বস্তির আশ্রয় হবে।
৩) পুজোয় ভ্যাপসা গরমই থাকবে। তাই শিশুকে সুতির হালকা পোশাক পরান। খুব বেশি ভারী জামাকাপড় ঠাকুর দেখার সময়ে না পরানোই ভাল। শিশুর পরার জন্য অতিরিক্ত একটি জামা সঙ্গে রাখুন। ঘামে ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে জামা বদলে দিন। বৃষ্টি হলেও জামা কাজে লাগবে। ভিজে জামাকাপড়ে শিশুকে বেশি ক্ষণ রাখবেন না।
৪) সব জায়গায় হাত ধোয়ার জল পাবেন না, তাই সঙ্গে জলের বোতল, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, তোয়ালে রাখতে হবে। সঙ্গে অবশ্যই ওআরএস রাখবেন।
৫) এক বছরের নীচে বয়স হলে একেবারেই ভিড়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। শিশুকে নিয়ে বেরোতে হলে ভিড় এড়িয়েই চলতে হবে।