‘টলি ৯’ ব্যাঙ্কোয়েট। নিজস্ব চিত্র।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। সেই উৎসবপ্রেমী বাঙালিদের জন্য কলকাতা শহরের বুকে তৈরি হল নতুন এক ব্যাঙ্কোয়েট, ‘টলি ৯’। বিলাসবহুল, আধুনিক, অভিজাত এই ঠিকানায় যে কোনও উপলক্ষ উদ্যাপনের সুযোগ রয়েছে। বিয়ে থেকে চলচ্চিত্রের প্রচার, খেলাধুলো থেকে সামাজিক অনুষ্ঠানের উপযুক্ত হতে পারে ১,০০০ বর্গফুটের এই ব্যাঙ্কোয়েট।
অনুরাগ বসু, রনিত মিত্র, শুভ চক্রবর্তী, কে.পি মিশ্রের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘টলি ৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট বসেছিল দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকায়। ক্রিকেট তারকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রসেনজিৎ দাস, অসীমকুমার বসুর উপস্থিতিতে ‘টলি ৯’-এর সূচনাপর্ব জমকালো হয়ে উঠেছিল। ছিলেন রাকেশ মিত্র এবং প্রণব গুহও।
‘টলি ৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট। — নিজস্ব চিত্র।
সমসাময়িক স্থাপত্যশৈলীকে প্রকৃতির সঙ্গে একীভূত করার চেষ্টা করা হয়েছে ‘টলি ৯’-এ। বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে বলরুম, যেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে কর্পোরেট সভা আয়োজন করা যেতে পারে। এ ছাড়া রয়েছে জামুন লাউঞ্জ, যেখানে খোলা আকাশের নীচে যে কোনও পার্টির বন্দোবস্ত করা যায়। রয়েছে দু’টি ব্রাইডাল রুম, বিয়ের অনুষ্ঠানের সময়ে ব্যবহারের জন্য বানানো হয়েছে এই দু’টি কক্ষ। তা ছাড়াও ম্যাঙ্গো ফোরকোর্ট, সবুজে ঘেরা লন, ৪০টিরও বেশি গাড়ি পার্ক করার জন্য জায়গা। বিশ্বমানের দু’টি পিক্লবল কোর্ট বানানো হয়েছে এখানেই। এ ছাড়া, ‘টলি ৯’-এর প্রাঙ্গণে একটি মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
‘টলি ৯’-এর প্রাঙ্গন। — নিজস্ব চিত্র।
‘টলি ৯’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহরের মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য সামাজিক মঞ্চ তৈরির ভাবনা থেকে এর জন্ম। তাদের কথায়, ‘‘প্রকৃতির ছোঁয়ায় মোড়া আধুনিক বিলাসিতায় ভরা টলি ৯। কলকাতা শহরে অনুষ্ঠান আয়োজনের মানকে আরও উঁচু স্তরে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে এটি। ‘টলি ৯’ এমন ভাবেই তৈরি হয়েছে, যা একাধারে মার্জিত, সকলের জন্য সহজলভ্য এবং কলকাতার সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খেয়ে যায়।’’