Bathroom Rituals

কমোডে বসে ফোন ঘাঁটছেন? ‘ক্রস কন্টামিনেশন’-এর মতো বিপদ ডেকে আনছেন কিন্তু

স্নানঘরে বসে এই কাজগুলি সেরে ফেলতে পারলে সময় হয়তো খানিকটা বাঁচিয়ে ফেলা যায়, কিন্তু এই অভ্যাস শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:২০
Share:

ফোন নিয়ে বাথরুমে যাচ্ছেন? ছবি: সংগৃহীত।

হাতে সময় কম। ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। বিশেষ করে সকালে কাজে বেরোনোর আগে গোটা দেশ-দুনিয়ার হাল জেনে নেওয়া, সমাজমাধ্যমে নতুন কী এল তাতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া ইত্যাদির জন্য সব সময়ের সঙ্গী হচ্ছে মোবাইল। ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত হাতে বন্দি মুঠোফোন। হাতে ফোন নিয়েই শৌচালয়ে প্রবেশ করেন অনেকে। জরুরি কথা থেকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা— সবই চলে কমোডে বসে। স্নানঘরে বসে এই কাজগুলি সেরে ফেলতে পারলে সময় হয়তো খানিকটা বাঁচিয়ে ফেলা যায়, কিন্তু এই অভ্যাস শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। এখান থেকেই প্যাথোজেন সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়াও শৌচাগারে ফোন নিয়ে গেলে ‘ক্রস কন্টামিনেশন’-এর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

Advertisement

ক্রস কন্টামিনেশন কী?

মোবাইলের টাচস্ক্রিনে হাত দিয়ে কমোডের ফ্লাশে হাত দেওয়া কিংবা ফ্লাশ করার পর হাত না ধুয়ে মোবাইল, শৌচাগারের অন্যত্র স্পর্শ করার ফলে ওই জায়গাগুলিতে ব্যাক্টেরিয়া থেকে যায়। ফলে পরে আবার যিনি শৌচাগারের দরজায় বা ফ্ল্যাশ স্পর্শ করেন, তাঁর হাতে জীবাণু লেগে যায়। এই ভাবে ক্রমে সংক্রমণ ঘটতে থাকে।

Advertisement

নিয়মিত ফোন স্যানিটাইজ় করলেও কি সমস্যার সমাধান হতে পারে?

অনেকে মনে করেন, প্রতিদিনের ব্যবহারের জিনিস যেমন জীবাণুমুক্ত করতে হয়, তেমন ভাবেই নিয়মিত ফোন জীবাণুমুক্ত বা স্যানিটাইজ় করে নিতে পারলে বোধ হয় সংক্রমণ কিছুটা হলেও এড়ানো যেতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবের মতো বৈদ্যুতিন যন্ত্রগুলি পরিষ্কার করা যথেষ্ট ঝক্কির। স্যানিটাইজ়ারের সংস্পর্শে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া, ফোন হাতে স্নানঘরে ঢুকলে নিজেদের অজান্তেই অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। কমোডের উপর বেশি ক্ষণ বসে থাকলেও কিন্তু শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন, শৌচাগারে কাটানো সময়টুকু তাঁদের ব্যক্তিগত সময়। কিন্তু ফোন হাতে শৌচালয়ে গেলে মস্তিষ্ক বিরতি পায় না। উল্টে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন