চ্যাটজিপিটিকে ‘প্লিজ’ বললে কী ক্ষতি হবে? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মন ভাল লাগছে না, খোশগল্প জুড়ে দিলেন চ্যাটজিপিটির সঙ্গে। জরুরি কোনও তথ্য চাই, চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে তার সঙ্গে জুড়ে দিলেন ‘প্লিজ’। আবার কাজ হয়ে গেলে ধন্যবাদ জানাতেও ভুললেন না। এমন সহবত মানুষের সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে ঠিক আছে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এত সহবত দেখানো কি ঠিক? আখেরে ক্ষতি হচ্ছে না তো?
দৈনন্দিন জীবনে অনেক দিন আগেই নাক গলিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যন্ত্র-নির্ভর প্রযুক্তি ক্রমেই সম্পৃক্ত হয়ে চলেছে চারপাশের পরিমণ্ডলে। রোজের খাওয়া-পরা, ছোটখাটো সমস্যা থেকে বড়সড় জটিলতা— সবেরই সমাধান করতে এগিয়ে এসেছে যান্ত্রিক বুদ্ধি। আর সেখান থেকেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত চ্যাটজিপিটির। কিন্তু তারও সীমাবদ্ধতা আছে। সামান্য ভুলে বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
চ্যাটজিপিটি, মেটা এআই, জেমিনাই বা যে কোনও চ্যাটবটে ‘প্লিজ’, ‘সরি’ বা ‘থ্যাঙ্ক ইউ’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করা ঠিক নয়। ওপেন এআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পেশাদারের মতো আচরণ করাই ভাল। কাজের কথাই বলা উচিত। যতটুকু কাজ, ততটুকুই কথা। এর বেশি নয়। প্রশ্ন যেমন হবে, কম কথায় উত্তর দেবে চ্যাটবট। যদি এর সঙ্গে সহবত দেখাতে যান,তা হলেই মুশকিল।
সমস্যাটা কোথায়?
আসল সমস্যাটা চ্যাটজিপিটির অ্যালগরিদ্মের। তার মধ্যে যেমন ডেটা ভরা আছে, সে তেমন ভাবেই জবাব দেবে। ‘প্লিজ’, বা ‘থ্যাঙ্ক ইউ’-এর মতো শব্দ মানুষ তাদের কথা বলার সময়ে ব্যবহার করে, যন্ত্রের অ্যালগরিদ্মে তা নেই। যদিও এমন কথা লিখলে, চ্যাটবট ঝটপট সৌজন্য ফিরিয়ে দেয়, কিন্তু সেটুকু করতে তাদের বিস্তর খরচ হয়। সিইও স্যাম জানিয়েছেন, চ্যাটজিপিটির সিস্টেম যে ভাবে চলে তাতে সৌজন্যমূলক শব্দের প্রত্যুত্তর দিতে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচও হয়, অনেক বেশি ডেটা খরচ হয়। জানা গিয়েছে, একটি ‘প্লিজ’ বা থ্যাঙ্ক ইউ’ এর প্রত্যুত্তরে সহবত দেখাতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করতে হয়।
আসলে সহবত দেখিয়ে কথা বলবে কেবল চ্যাটবটই। জবাবে মানুষকে সহবত দেখাতে বারণই করছেন স্যাম। চ্যাটবট কাজের কথারই উত্তর দেবে। তার বেশি বিনয় দেখাতে গেলে ক্ষতিই হবে। এর পরে হয়তো এই সব শব্দ ব্লকই করে দেওয়া হবে চ্যাটজিপিটি বা অন্য এআই পরিসরে।