ভোগের রান্নার স্বাদ বৃদ্ধির কৌশল শিখে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর ভোগ মানেই নিরামিষ। কোনও কোনও বাড়িতে কালীপুজো বা দুর্গাপুজোর সময় মাংস ভোগ নিবেদন করা হলেও সেই রান্নায় কিন্তু পেঁয়াজ-রসুন ব্যবহারের চল নেই। সামনেই লক্ষ্মীপুজো, বাঙালির তেরো পার্বণের এক পার্বণ। লক্ষ্মীর জন্য খিচুড়ি, লুচি, পায়েস— আরও কত আয়োজন! পেয়াজ-রসুন বাদে ভোগের রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতে বাজারের তালিকায় কিছু জিনিস কিন্তু রাখতেই হবে। দেখে নিন, কোন কোন উপকরণ ভুললে চলবে না।
পেঁয়াজ-রসুনের বিকল্প হিসেবে কী কী ব্যবহার করতে পারেন?
আদা
নিরামিষ হোক আমিষ রান্না, পেঁয়াজ-রসুনের বদলে আদা বাটা দিয়ে দিব্যি রান্না করা যায়। আদা ঝাঁঝে মাছ বা মাংসের গন্ধও দূর হয়। নিরামিষ যে কোনও পদে আদাবাটা দিলে তার স্বাদ বাড়ে। তাই ফুলকপির ডালনা হোক বা ধোকার ডালনা, আদা বাটা কিন্তু দিতেই হবে।
হিং
বাঙালির হেঁশেলে সেই কবে থেকে হিং দিয়ে রান্নার চল রয়েছে। অনেক নিরামিষ রান্নার স্বাদই হিং ছাড়া যেন ঠিক জমে না। সে হিংয়ের কচুরি হোক বা ছোলার ডাল— হিং এর ব্যবহার সর্বত্র। ভোগের জন্য আলুর দম রাঁধলে, ফোড়নে সামান্য হিং দিয়ে দেখবেন, রান্নার স্বাদই একেবারে বদলে যাবে।
টম্যাটো
নিরামিষ বা আমিষ দু’রকম রান্নাতেই ব্যবহার করতে পারেন টম্যাটোবাটা। মাছ-মাংসের আঁশটে গন্ধ যেমন দূর হয়, তেমনই টম্যাটোর গুণে একটা টক-মিষ্টি স্বাদ আসে তরকারিতে। তা ছাড়া নিরামিষ রান্নার গ্রেভি ঘন করতেও টম্যাটোর জুড়ি মেলা ভার।
ক্যাপসিকাম
পেঁয়াজ বা রসুন দিয়েই যে রান্নাগুলি করেন, সেগুলিতে বিকল্প হিসেবে ক্যাপসিকাম বা হলদে-লাল বেলপেপারও দিতে পারেন। পনিরের তরকারি হোক বা নবরত্ন কোর্মা, পেঁয়াজের বদলে কাজে লাগাতে পারেন ক্যাপসিকাম। খেতে কিন্তু মন্দ লাগবে না।
পেঁপেবাটা
ঝোল ঘন করতে পেঁপেবাটা ব্যবহার করতে পারেন। পাঁঠার মাংস রান্নায় অনেকেই পেঁপে ব্যবহার করেন। ভোগের মাংস রান্নাতেও পেঁপে ব্যবহারের চল রয়েছে। তাই পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে পেঁপের ব্যবহার চলতেই পারে।