সকাল হতে না হতেই দোল উদ্যাপনে মেতে উঠেছেন মানুষজন। আগামিকালও চলবে রঙিন জলে ভরা বেলুন ছোড়া, আবির বা বাঁদুরে রং মাখামাখির পালা। এই ফাঁকে এক বার দেখে নিন দেশের কয়েকটি প্রান্তের কেমন ভাবে পালিত হয় এ উৎসব।
বসন্ত উৎসবের সময় নানা রঙের মানুষজনের ভিড়ে রাঙা হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতন। রবি ঠাকুরের গান, প্রভাতফেরি, মেলা, আবির-রঙে মাখামাখি— গোটা শহর জুড়েই অন্য মাত্রা এনে দেয় বছরের এই সময়টা। বন্ধুবান্ধব বা পরিজন নিয়ে এক বার রওনা হতেই পারেন শান্তিনিকেতনের পথে। —ফাইল চিত্র।
দেশের অন্য প্রান্তের মতো মাত্র এক দিনেই শেষ নয়। বরং সপ্তাহখানেক ধরে বৃন্দাবনে পালিত হয় হোলি বা রাসলীলা। বৃন্দাবনের বিধবা মহিলারাও যোগ দেন রঙিন এই উৎসবে। রাসলীলার পাশাপাশি চলে নানা অনুষ্ঠানও। ছবি: এএফপি।
লাঠমার হোলির টানে উত্তরপ্রদেশে ভিড় জমান বহু উৎসাহী। শুধুমাত্র আবির বা রঙে মাখামাখি হয়ে হোলি খেলা নয়, বরং লাঠির ঘায়ে হোলি খেলা। কথিত আছে, গোপীনীদের উত্যক্ত করতে যেতেন কৃষ্ণের নন্দগাঁও থেকে বরসানায় যেতেন পুরুষেরা। তাঁদের লাঠিপেটা করে তাড়াতেন গোপীনীরা। মথুরা, বরসানা, নন্দগাঁওয়ের মতো জায়গায় এখনও সে ভাবেই হোলি উদ্যাপিত হয়। মহিলাদের লাঠির আঘাত থেকে বাঁচতে ঢালের আড়ালে চলে যান পুরুষেরা। ছবি: পিটিআই।
হোলির দিনে নয়। বরং তার পরের দিন পঞ্জাবের হোলা মহল্লায় পালিত হয় হোলি। প্রথা মেনে আনন্দপুর সাহিবে চলে তিন দিনের উৎসব। মার্শাল আর্ট, খানাপিনা, কীর্তন, চলে সব কিছুই। ছবি: অমৃত দেহরের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।
দক্ষিণ ভারতের খুব কম জায়গাতেই হাম্পির মতো হোলির উৎসব চোখে পড়বে। দেশীয় মানুষদের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় করেন বিদেশি পর্যটকেরাও। নাচাগানার পাশাপাশি চলে রঙের খেলাও। ছবি: সংগৃহীত।
একের পর এক মানুষের কাঁধে ভর করে উপরে উঠে যাচ্ছেন নায়ক। পাশের ব্যালকনি থেকে নায়িকার চোখে তাঁর দিকে। আর নায়িকাকে ইমপ্রেস করতে এক ঘায়েই নায়ক ভাঙলেন মাখনের হাঁড়ি। মুম্বই অলিতে গলিতে এমন পরিচিত ছবিই দেখা যায় হোলির সময়। হোলি খেলতে এক বার যেতেই পারেন মুম্বই। ছবি: সংগৃহীত।