চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে ‘গাফিলতি’র তদন্ত

পেটে ব্যথা নিয়ে কয়েকটি পরীক্ষা করানোর জন্য আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক অরুণিমা সেন ঘোষ। পরীক্ষার সময়ে ওটি-তেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় অরুণিমার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৪ ০৩:০৮
Share:

পেটে ব্যথা নিয়ে কয়েকটি পরীক্ষা করানোর জন্য আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক অরুণিমা সেন ঘোষ। পরীক্ষার সময়ে ওটি-তেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় অরুণিমার।

Advertisement

গত ৫ মার্চের এই ঘটনার পরে অরুণিমার স্বামী সোমরাজ সেন সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর, মেডিক্যাল কাউন্সিল ও রোগীদের সঠিক চিকিৎসা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে ওই পরিবার।

সোমরাজ জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে পেটে ব্যথার চিকিৎসা চলছিল অরুণিমার। চিকিৎসক সমীর রায়ের পরামর্শে জরায়ু কিউরেট করা ও ডাই দিয়ে ল্যাপ্রোস্কোপির জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই চিকিৎসক নিজেই ওই পরীক্ষা করছিলেন। পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট পরেই বলা হয় অরুণিমার অবস্থার অবনতি হয়েছে। পরে বলা হয়, হৃদ্যন্ত্র কাজ না করায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, চিকিৎসক ও হাসপাতালের গাফিলতিতেই এমন হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়ে মৃতার ময়না-তদন্ত করানো হয়েছে। ভিসেরা পরীক্ষাও করানো হবে। মৃতার চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিও পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার স্নেহপ্রিয় চৌধুরী বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে, তাই আমরা আর কিছু বলতে পারব না।” একই উত্তর অভিযুক্ত চিকিৎসক সমীর রায়েরও। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement