প্রৌঢ়ার জরায়ু পেয়ে মা হলেন তরুণী

সেই ছেলেবেলা থেকেই জানতেন তাঁর পক্ষে ‘মা’ হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তাঁর জরায়ু নেই। কিন্তু তা বলে দমে যাননি। হয়তো সে জেদের কাছেই হার মানল ‘অক্ষমতা’। অন্যের জরায়ু শরীরে প্রতিস্থাপন করে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিলেন সুইডেনের এক মহিলা। বিশ্বে এমন ঘটনা এই প্রথম। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মাতামাতি করতে চাননি ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৮
Share:

সেই ছেলেবেলা থেকেই জানতেন তাঁর পক্ষে ‘মা’ হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তাঁর জরায়ু নেই। কিন্তু তা বলে দমে যাননি। হয়তো সে জেদের কাছেই হার মানল ‘অক্ষমতা’। অন্যের জরায়ু শরীরে প্রতিস্থাপন করে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিলেন সুইডেনের এক মহিলা। বিশ্বে এমন ঘটনা এই প্রথম। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মাতামাতি করতে চাননি ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী। পরিচিতি, ঠিকানা সব কিছু গোপন রেখেই তাই সোমবার সংবাদ সংস্থা এপি-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

ওই মহিলার বয়ানে, “১৫ বছর বয়সে জানলাম, আমার জরায়ু নেই। তাই মা হতে পারব না।” তা হলে অসাধ্য-সাধন হল কী ভাবে? এ জন্য বন্ধুর মাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সদ্যোজাতের বাবা। ৬১ বছরের ওই প্রৌঢ়াই তাঁর জরায়ু দান করেছিলেন ওই তরুণীকে। আর তারই জেরে সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী।

দম্পতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন, সুইডেনের গোথেনবার্গ ও স্টকহলম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ম্যাটস ব্র্যানস্ট্রমকেও। তাঁরই উদ্যোগে গত বছর জরায়ু প্রতিস্থাপিত হয় ওই তরুণীর দেহে। তবে শুধু তাঁরই নয়, আরও আট জনের শরীরে জরায়ু প্রতিস্থাপন করেন তিনি। যদিও প্রথম সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এই তরুণীই।

Advertisement

তাঁর অবশ্য দাবি, “প্রথম হয়েছি সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু আমাদের দেখে বাকিরাও উৎসাহ পাবেন, তা ভেবেই ভাল লাগছে।”

বাস্তবিক। এমন বেনজির ঘটনা দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বইকী। তা মনে রাখতেই শিশুর নাম ‘ভিনসেন্ট’ রেখেছেন ওই দম্পতি। যার অর্থ ‘জয়’। এ-ও ঠিক করে রেখেছেন, ছেলে বড় হলে তাকে তার জন্মবৃত্তান্ত শোনাবেন। তাকে পেতে ঠিক কতটা প্রতিবন্ধকতা পেরোতে হয়েছিল, সে কথা ভিনসেন্টকে সাগ্রহে জানাতে চান ওই দম্পতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement