মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুই শতাধিক চিকিত্সক। অথচ বেশির ভাগ চিকিত্সক সপ্তাহে মাত্র দু’দিন কাজ করে জেলা ছেড়ে চলে যান। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধরাজ্যের স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফাঁকিবাজ শিক্ষক চিকিত্সকদের বেতন ও ছুটি কাটার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার সকালে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখতে গিয়ে সুশান্তবাবু বলেন, “মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে সমস্ত শিক্ষক চিকিত্সকরা কাজ না করে বেতন তুলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে যে সব শিক্ষক চিকিত্সকরা কাজ করবেন না, তাঁদের বেতন কাটা হবে। ছুটি কাটা হবে। অধ্যক্ষকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ওই বৈঠকে জেলা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীও হাজির ছিলেন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভবন নির্মাণ সহ নানা অসমাপ্ত কাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য নবনিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন অধিকর্তা। প্রসঙ্গত মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া তিন মাসের মধ্যে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে।
২১ জুলাই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মেডিক্যাল কলেজে অস্ত্রোপচার কম করার যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন, তা এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তার নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়।