আদালত চত্বরে ধৃত। —নিজস্ব চিত্র।
এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই চিকিৎসক শতদন পাখিরাকে গ্রেফতার করা হয় বৃহস্পতিবার। শুক্রবার তাঁকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতকে চার দিন সিবিআইয়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়ে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি পাঠিয়েছেন।
সিবিআই আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী আশিষ মুখোপাধ্যায় জানান, ২০১৩ সালের গোড়া থেকে ওই চিকিৎসক পাণ্ডবেশ্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরি করছেন। আইনজীবীর দাবি, তিনি জাল শংসাপত্র দাখিল করে এই চাকরিতে ঢুকেছিলেন। তিনি আরও জানান, ওই চিকিৎসকের কাছে ২০১১ সালে চিনের বেজিং থেকে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশের একটি শংসাপত্র ছিল। সেটি নিয়ে তিনি ভারতে চিকিৎসা করার জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী ন্যাশানাল বোর্ড অব এগজামিনেশনের শংসাপত্র পেতে পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু দু’বার পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারেননি। তবে কিছু দিন পরেই তিনি ন্যাশনাল বোর্ড অব এগজামিনেশন থেকে কৃতকার্য হওয়ার একটি ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে পাণ্ডবেশ্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চাকরিতে ঢোকেন বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার সিবিআই ইনস্পেক্টর এ কে পাণ্ডের নেতৃত্বে একটি দল প্রথমে পাণ্ডবেশ্বরে অভিযানে যায়। সেখানে ওই চিকিৎসককে না পেয়ে তাঁর আসানসোলের মুর্গাসোল এলাকার বাড়িতে যান তাঁরা। তাঁকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে ফের পাণ্ডবেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে ওই যুবক নিজের বাঁ হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু সিবিআই অফিসারদের তৎপরতায় তিনি সফল হননি। পাণ্ডবেশ্বর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা দেশে এ রকম একাধিক ভুয়ো চিকিৎসকের সন্ধান মিলেছে। দেশ জুড়ে তল্লাশি শুরু হয়েছে।