বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ে চিকিত্সা শিবির। —নিজস্ব চিত্র।
শিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হল মেদিনীপুর শহরে। শহরের গোলকুয়াচক উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে এ দিন সকালে পথচলতি শিশুদের মধ্যে চকোলেট-বেলুন বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় সাড়াও পড়ে। শহর কংগ্রেসের উদ্যোগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ফল বিতরণ করা হয়। ছিলেন শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান। অন্য দিকে, বিজেপির উদ্যোগে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শীতের টুপি এবং চকোলেট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি, নার্সদের সংবর্ধিতও করা হয়। ছিলেন অনয় মাইতি।
এ দিন শিশুদের চিকিত্সা শিবিরের আয়োজন করেছিল কর্নেলগোলা আলোর দিশারী ক্লাব। শিশুদের চকোলেট, বিস্কুট দেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। ক্লাব সম্পাদক সৌরভ বসু জানান, বহু গরিব পরিবার শিশুদের সব সময় ভাল চিকিত্সকদের কাছে নিয়ে যেতে পারেন না। ছিলেন পুরপ্রধান প্রণব বসু-সহ বিশিষ্টরা।
শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ে দাঁত নিয়ে এক সচেতনতা শিবির হয়। উদ্যোক্তা ‘ন্যাশনাল ডেন্টিস্টস্ অ্যান্ড ডেন্টাল স্টুডেন্ট ফেডারেশন’। দাঁত পরীক্ষা ছাড়াও মজবুত ও সুন্দর দাঁতের জন্য কী করা উচিত তা ছাত্রীদের বোঝানো হয়। রেলশহরেও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিশু দিবস পালিত হয়। এ দিন খড়্গপুরের অতুলমণি প্রাথমিক স্কুলে নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের তরফে কবিতা, গল্পে ভরা ‘হাতে খড়ি’ নামে একটি পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ছিলেন প্রধান শিক্ষক প্রণবকুমার দে, প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষিকা রাখি দে ও স্কুলের সম্পাদক অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। দেবলপুর হোলিবার্ড স্কুলে খুদে শিল্পীদের নিয়ে বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়। পরে স্কুলেই দাঁতের পরিচর্যা নিয়ে শিবির হয়। শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকেরাও দন্ত পরীক্ষা করান। নেহরুর জন্মদিবস উপলক্ষে প্রয়াত শিল্পী ও ভাস্কর ধীমান পালের স্মরণে স্মারক বক্তৃতা আয়োজন করে ‘গোমস’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।