পুরুলিয়া হাসপাতালে রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসা পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য পরিদর্শনে এসে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট হলেন না রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দুই প্রতিনিধি।
রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের অবস্থা কেমন বৃহস্পতিবার তা খতিয়ে দেখতে আসেন উপ-স্বাস্থ্য অধিকর্তা সন্দীপ সান্যাল ও ঝুম ওঝা। বহির্বিভাগ খোলার আগে হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। সদ্যোজাত শিশুমৃত্যু নিয়ে বার বার এখানে অভিযোগ ওঠে। পরিদর্শকেরা প্রথমেই তাঁরা প্রসূতি বিভাগ, লেবার রুম ও শিশু বিভাগ ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে স্ত্রীরোগ ও জরুরি বিভাগে তাঁরা যান। নার্সদের কাছে তাঁরা সমস্যা নিয়ে জানতে চান। রোগীদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন। ওয়ার্ডে ব্যবহারের পর ওষুধ ও বর্জ্য কোথায় ফেলা হয় তাও তাঁরা ঘুরে দেখেন। রোগীরা যে শৌচাগার ব্যবহার করেন, তার হাল কেমন তাও তাঁরা দেখেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, জানলা দিয়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা বাইরে বর্জ্য ফেলছেন। বাথরুমের অবস্থাও ভাল নয়। বাইরের নর্দমা অত্যন্ত অপরিষ্কার। নর্দমার জমা জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই বিষয়গুলি পরিদর্শকদের যে মোটেই সন্তুষ্ট করেনি তা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি ও হাসপাতাল সুপার নীলাঞ্জনা সেনের সঙ্গে বৈঠক তাঁরা জানান বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি বিভাগের উন্নতি জন্য কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বৈঠকে বসে সংশ্নিষ্ট বিভাগে যে যে জায়গায় উন্নতি করা দরকার, তা কতটা এগোল সেই মর্মে পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে।
পরিদর্শক দলের প্রতিনিধিরা অবশ্য এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেছেন, “রাজ্য সরকার পুরুলিয়া-সহ রাজ্যের ছয়টি হাসপাতালের পরিষেবার মানোন্নয়ন ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে কারণেই পরিদর্শন। তবে নিকাশী, শৌচাগার-সহ যে সব জায়গা অপরিচ্ছন্ন রয়েছে, তা সাফসুতরো রাখার ব্যাপারে আরও নজর দেওয়া হচ্ছে।”