হাসপাতাল-বর্জ্যে নাজেহাল রোগীরা

হাসপাতাল চত্বরে খোলা জায়গায় আবর্জনা পড়ে থেকে দূষণ ছড়ালেও কর্তৃপক্ষের কোনও হুঁশই নেই। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের মহিলা বিভাগের কাছে খোলা চত্বরে হাসপাতালের নানা বর্জ্য পড়ে থাকায় কুকুর-বিড়ালেরা গোটা চত্বর নোংরা করছে। শুধু তাই নয়, এ সব আর্বজনা নিকাশি নালার মধ্যে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। ফলে একটু বৃষ্টিতেই হাটু জল জমে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৪ ০২:২২
Share:

রাস্তার ধারেই ছড়িয়ে আবর্জনা।—নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতাল চত্বরে খোলা জায়গায় আবর্জনা পড়ে থেকে দূষণ ছড়ালেও কর্তৃপক্ষের কোনও হুঁশই নেই।

Advertisement

উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের মহিলা বিভাগের কাছে খোলা চত্বরে হাসপাতালের নানা বর্জ্য পড়ে থাকায় কুকুর-বিড়ালেরা গোটা চত্বর নোংরা করছে। শুধু তাই নয়, এ সব আর্বজনা নিকাশি নালার মধ্যে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। ফলে একটু বৃষ্টিতেই হাটু জল জমে। তখন হাসপাতালে ঢোকার মুখে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের বর্জ্য পচা গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তন্ময় পাল নামে এক রোগীর আত্মীয় বলেন, “হাসপাতালে ঢোকার মুুখে এত দুর্গন্ধ যে ঢুকতেই ইচ্ছা করে না। কিন্তু বাধ্য হয়ে আসতে হয়। নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর মতো সাধ্য নেই।” মাঝেমধ্যে রোগীর ভিড়ে হাসপাতালে শয্যা পাওয়া যায় না। তখন মোঝেয় ঠাঁই হয় রোগীদের। আর চার দিকে নোংরা থাকার ফলে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যায় বলে অভিযোগ আত্মীয়দের।

এক সাফাই-কর্মীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, হাসপাতালের বর্জ্য, আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। তাই তাঁরা রাস্তার পাশেই তা জমা করে রাখেন। পরে গাড়ি এসে নোংরা নিয়ে যায়। গাড়ি কখন আসে প্রশ্ন করায় তাঁর উত্তর, এটা সুপার ভাল বলতে পারবেন। রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা প্রবীর রায় বলেন, “আগে এ ভাবেই বর্জ্য রাখা হত। কিন্তু আমরা চিন্তাভাবনা করছি নির্দিষ্ট স্থানে তা রাখার।” হাসপাতাল সুপার সুদীপ কাঁড়ার বলেন, “আমরা ডাম্প তৈরি করেছি। যে বর্জ্য পড়ে রয়েছে তা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করছি।”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন