National News

পরীক্ষা দিতে হলে কোয়রান্টিনে থাকতেই হবে, জানাল ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়

এত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও করোনার সংক্রমণ এড়ানো সহজ নয় বলেও মনে করছেন বহু পড়ুয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ ২১:৫৪
Share:

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই কড়াকড়িতে ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের একাংশ। পিটিআইয়ের তোলা প্রতীকী ছবি।

ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে হলে হস্টেলে ১৪ কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। এমনটাই নিদান দিল ওড়িশার এক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। যে সমস্ত পড়ুয়া হস্টেলে কোয়রান্টিনে থাকতে পারবেন না, তাঁদেরকে বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিনে থাকতে হবে নিজের বাড়িতেই। সেই প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। এই নিয়ম মেনে না চললে ফাইনাল পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র মিলবে না। করোনার মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কড়া নির্দেশিকা জারি করলেও তা নিয়ে ক্ষুব্ধ বহু পড়ুয়া।

Advertisement

শনিবার বুরলা শহরের বীর সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (ভিএসএসইউটি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ফাইনাল সেমেস্টারের পড়ুয়াদের জন্যই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। আগামী জুলাইতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। সেই জন্য পড়ুয়াদের ১৮, ১৯ এবং ২০ তারিখের মধ্যে ক্যাম্পাসে পৌঁছতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই সংক্রান্ত একটি নোটিসও জারি করেছেন ভিএসএসইউটি-র রেজিস্ট্রার। তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘জুলাইতে পরীক্ষার আগে ফাইনাল সেমেস্টারের পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসেই কোয়রান্টিনে থাকতে হবে।’’ নির্ধারিত সময়ের আগে পড়ুয়ারা হস্টেলে ঢোকার অনুমতি পাবেন না বলেও জানানো হয়েছে ওই নোটিসে। পাশাপাশি, পরীক্ষায় বসতে ইচ্ছুকরা যদি আগামী ২০ জুনের মধ্যে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে না পারেন, তা হলে তাঁদের ১৪ দিনের হোম কোয়রান্টিনে থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের সকলকেই বাধ্যতামূলক ভাবে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তাতে রেজিস্ট্রেশনের করে জানাতে হবে যে, তাঁদের করোনা-সংক্রমণ হয়নি। পড়ুয়াদের মধ্যে যাতে করোনার সংক্রমণ না ঘটে, সে জন্য হস্টেল থেকে বাইরে বেরনোর বিষয়েও কড়াকড়ি শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া ছাড়া কখনই হস্টেলের বাইরে বেরতে পারবেন না পড়ুয়ারা, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই নোটিসে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সাধু ছাড়া ৫৫ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য আপাতত বন্ধ অমরনাথ যাত্রা

আরও পড়ুন: কোভিড রোগীদের ফেরাতে পারবে না দিল্লির হাসপাতাল, কড়া বার্তা কেজরীবালের

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই কড়াকড়িতে একেবারেই সন্তুষ্ট নন পড়ুয়াদের একাংশ। করোনাকে রুখতে এই উদ্যোগ মেনে নিয়েও ওই নোটিসকে ‘অদ্ভুত’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি, এত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও করোনার সংক্রমণ এড়ানো সহজ নয় বলেও মনে করছেন অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘একটি হস্টেলে ফাইনাল সেমেস্টারের প্রায় ১২০-১৩০ জন রয়েছে। প্রত্যেককেই নিজেদের রুম কারও সঙ্গে শেয়ার করতে হয়। এমনকি, হটস্পট থেকে আসা অনেক পড়ুয়ার সঙ্গেও সেই রুম শেয়ার করতে হয়। একই ডাইনিং টেবিলে বসে খেতে হয়।’’ বিশ্ববিদ্যালের সহ-উপাচার্য অটল চৌধুরি বলেন, ‘‘হস্টেলে কোয়রান্টিনে থাকা সম্ভব কি না, তা নিয়ে কয়েক জন পড়ুয়া উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কোয়রান্টিন সার্টিফিকেট দাখিল করা নিয়েও তাঁরা চিন্তিত। এ নিয়ে আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন এবং অন্যান্য আধিকারিকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন