মিউনাসের নাটক ‘অবচেতন’। ঠিক ভূতের গল্প নয়, আবার কাল্পনিকও নয়। শুরু থেকে শেষ- শিহরণ জাগানো সওয়া ঘন্টার ব্যবধানে বিভিন্ন চরিত্রকে এক পোড়ো বাড়িতে তুলে এনেছেন নাট্যকার উৎসব দাস। বেশ কিছু দিন অন্তরালে থাকলেও উৎসব দাস নিজের এই নাটকে নির্দেশকের ভূমিকা পালন করছেন। শুরু থেকেই সেই পোড়ো বাড়িতে বিভিন্ন চরিত্রকে তিনি তুলে এনেছেন। তাঁরা কী কোনও অতৃপ্ত আত্মা? নাকি কোনও ছলনা? নাটকের শেষেও দর্শকদের মোহ কাটেনি। ঝড় বৃষ্টির রাতে গাড়ি বিগড়ে যাওয়াতেই সমরেশ ওই বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিলেন। শুরুতেই হোঁচট, কে যেন বলে উঠলেন, ‘যাঁরা মরে বেঁচে আছেন, তাঁরাই তো মানুষ। আর যাঁরা বেঁচে মরে আছেন তাঁরা সব অমানুষ...’। এরপর বিভিন্ন চরিত্রের আগমন।
শরীর হিম হওয়া শেষ দৃশ্যে সমরেশের সামনে তাঁর গাড়ির ড্রাইভার দাঁড়িয়ে। চিৎকার করে সে বলছে, ‘তাড়াতাড়ি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসুন স্যার। ১৮ বছর আগে একটি বাচ্চা ছেলে সমেত এই পরিবারের সকলেই সুইসাইড করেছিল।’ নাট্যকার যে ভাবে নাটকটিকে সাজিয়েছেন, অভিনয়ে তা এক বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নে দর্শকদের কাছেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। তবে কয়েক জনের অভিনয় ততটা জোরালো নয়। মঞ্চে প্রকৃত ভূতের বাড়ির কৃত্বিত্ব পাবেন অজিত রায়। আলো বাবলু সরকারের। আবহে অনিমেষ মুখোপাধ্যায়।