সমবেত পরিবেশনায় শিল্পীরা।
গত অগস্টে সুচিত্রা মিত্রর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে রবিতীর্থপ্রাক্তনী নিবেদন করেছিল ‘সুচিত্রা’। ভাষ্য রচনায় অমিত দাশগুপ্ত। কিছু গান, কিছু পাঠ নিয়ে আঁকা হল সুচিত্রা মিত্রের জীবন। শ্রোতারা অনেকেই সুচিত্রা মিত্রকে চেনেন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। সে দিন তাঁরা পরিচিত হলেন— সামাজিক, রাজনৈতিক, মানবদরদি আর এক সুচিত্রা মিত্রর সঙ্গে। এই ব্যক্তি সুচিত্রা মিত্রকে সম্পূর্ণ রূপে পাওয়া এক পরম প্রাপ্তি।
কখনও ছিল কণিকা-সুচিত্রা, হেমন্ত-সুচিত্রার সম্পর্কের কথা, কখনও দ্বিজেন চৌধুরীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘রবিতীর্থ’ গঠনের কথা। কখনও সংগ্রামী সুচিত্রার কথা, যিনি আর্তের উদ্ধারে গেয়ে ওঠেন ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’। সামনে আসে অসুস্থ দেবব্রত বিশ্বাসের সঙ্গে মঞ্চে গিয়ে ওঠার কথা, কখনও বা রাজেশ্বরী দত্তর সঙ্গে বিবিসি স্টুডিয়োর প্রসঙ্গ। এক জীবনে একা হাতে সংসার, ছাত্রছাত্রী তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব ও প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর দায়িত্ব পালন করেন সুচিত্রা।
সে দিনের অনুষ্ঠানে সমবেত গান পরিচালনায় ছিলেন অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ্য ছাত্র হিসেবে শিল্পীর শেখানো পথেই চলেন অগ্নিভ, যা সে দিনের সমবেত গানে বারবার প্রকাশ পেল। তাঁর গাওয়া ‘আমি তারেই খুঁজে বেড়াই’ গানের লয় নির্বাচন মুগ্ধ করে। প্রমিতা মল্লিক আজও স্বমহিমায়। শিল্পীর শিক্ষা, বোধ সব মিশে যায় তাঁর গানে। আমরা উপহার পাই ‘গহন রাতে শ্রাবণধারা’।
রাজশ্রী ভট্টাচার্য সে দিনের সন্ধ্যা সম্পূর্ণ করলেন তাঁর গান দিয়ে। ‘ছায়া ঘনাইছে’ গানের মিত ব্যবহার বা ‘এ পরবাসে’ গানের অলঙ্করণ মুগ্ধ করে। বারবার প্রমাণিত হয়, তিনি প্রকৃত শিক্ষিত শিল্পী। সুদেষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘বাল্মীকি প্রতিভা’র গানে মন ভরে যায়। সুচিত্রা মিত্রর গায়কি ও গানের নাটকীয়তা সুদেষ্ণার গানে ফুটে ওঠে।
গানের সঙ্গে এক ভাবে চলে পাঠ ও আবৃত্তি। প্রণতি ঠাকুর, কোরক বসু তাঁদের অনুশীলিত কণ্ঠে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। যন্ত্র-সহযোগিতায় ছিলেন সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, অম্লান হালদার, সৌরভ চক্রবর্তী। এঁদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের মাত্রা বাড়ে, সম্পূর্ণতা পায়। সুচিত্রা মিত্রের সম্পূর্ণ জীবন শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরার জন্য রবিতীর্থ প্রাক্তনীদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।
অনুষ্ঠান
শিল্পীবৃন্দ।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে