প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
জাতীয় সড়কে ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা গেল। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের তরফে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। যদিও এর সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি তৃণমূলের।
জাতীয় সড়কে সেই প্ল্যাকার্ড। — নিজস্ব চিত্র।
ঘন কুয়াশার কারণে তাহেরপুরে নামতে পারল না মোদীর কপ্টার। পিটিআই জানিয়েছে, তাঁর কপ্টার ফিরে এসেছে দমদম বিমানবন্দরে। মনে করা হচ্ছে, সড়কপথে তাহেরপুরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী সভাস্থলে পৌঁছোনোর আগেই বিশৃঙ্খলা দেখা দিল। চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে দেখা গেল কর্মী-সমর্থকদের একাংশকে। মঞ্চ থেকে সকলকে বসতে অনুরোধ করা হয়।
তাহেরপুরের সভাস্থলে বিশৃঙ্খলা। — নিজস্ব চিত্র।
সূত্রের খবর, তাহেরপুরের আকাশে দেখা গিয়েছে মোদীর কপ্টার।
সুকান্তের কটাক্ষ, চাকরি চুরি হয়েছে রাজ্যে। নেতাদের জেলে যেতে হবে। ব্যবস্থা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘মোদী সরকার বিকশিত ভারত করার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিকশিত না হলে ভারত বিকশিত হবে না। ২০২৬ সালে সেই পশ্চিমবঙ্গ তৈরির চেষ্টা করছি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।’’
সভায় বক্তৃতা করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ২ কোটি লোককে চাকরি দিয়েছেন। আপনাদের পরিচিত কেউ চাকরি পেয়েছে? চাকরি পেয়েছে তৃণমূলের লোকজন। চুরি করে চাকরি পেয়েছে।’’
কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে চেপে তাহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তাহেরপুরের সভায় পৌঁছে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভাস্থলে ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ। হেলিপ্যাডে যেখানে নামবেন প্রধানমন্ত্রী, সেখানেও রয়েছে ভিড়।
তাহেরপুরের সভাস্থলে জমায়েত। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে চেপে তাহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
শনিবার সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের তরফে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
ছ’বছর আগে তাহেরপুরের মাঠে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সিএএ (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন) পাস করিয়ে উদ্বাস্তুদের স্থায়ী নাগরিকত্বের পথ পরিষ্কার করবেন। প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। এ বার ফের রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর আবহে তাহেরপুরে মোদী।
তাহেরপুরের নেতাজি পার্ক ময়দানে মোদীর সভাস্থল। সেখানে ৩,২০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের জাতীয় সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার অংশকে চার লেন করে তোলার কাজ শেষ হয়েছে। সেই অংশেরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শনিবার মোদীর হাতে হবে। পাশাপাশিই বারাসত থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার অংশকে চার লেন করে তোলার কাজের শিলান্যাস করবেন তিনি।