‘ব্যাগ’-এর ভার কমান

চোখের নীচে আইব্যাগ নিয়ে চিন্তিত? আর ভাববেন না। জেনে নিন ভার কমানোর উপায়! চোখের নীচে আইব্যাগ নিয়ে চিন্তিত? আর ভাববেন না। জেনে নিন ভার কমানোর উপায়!

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ০৭:২০
Share:

চোখের নীচ ফুলে থাকতে পারে নানা কারণে। বয়সজনিত কারণ, ঘুমের ঘাটতি, দীর্ঘক্ষণ কান্নাকাটি আবার নিয়মিত মদ্যপানও কিন্তু মুখে এই ছাপটি রেখে যায়। আসলে চোখের চারপাশের ত্বক যেমন পাতলা, তেমনই স্পর্শকাতর। তাই স্ট্রেস, ঘুমের অভাব ইত্যাদি কারণে আহত হয় ত্বক এবং তার ফলে অতিরিক্ত ফ্লুইড চোখের নীচে জমা হয়ে তৈরি হয় আই ব্যাগ। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর থেকে মুক্তিও সম্ভব।

Advertisement

ঘুম থেকে উঠে দেখলেন চোখের নীচে একব্যাগ দুঃখ জমেছে। তখন টি-ব্যাগ (গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি) নিয়ে গরম জলে মিনিটখানেক ভিজিয়ে, তা ফ্রিজে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য। তার পর শুয়ে, চোখের উপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট টি-ব্যাগ রেখে, ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।

চোখের নীচে ডার্ক সার্কলের মতো আই ব্যাগের ওষুধ হিসেবেও শসা ও আলুর উপকারিতা কিন্তু প্রশ্নাতীত। দুটো শসার স্লাইস ফ্রিজে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা করে, চোখের উপর ২৫ মিনিট মতো রেখে দিন। ফোলাভাব কমবে, শসার ঠান্ডাভাব ত্বকেও আরাম দেবে। আলুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদানের কারণে এটিও খুব কার্যকরী। গোল-গোল দুটো পাতলা আলুর পিস কেটে চোখের উপর মিনিট কুড়ি দিয়ে রাখুন।

Advertisement

যদি পাফি আইজ় আপনার নিত্যকার সঙ্গী হয়, তা হলে কিন্তু অন্য ওষুধ লাগবে। দুটো কটন বল নিয়ে ঠান্ডা দুধে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তার পর তা চোখের উপর রাখুন। মিনিট কুড়ি পর ঠান্ডা জলে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত কয়েক দিন করলে, রোজকার এই সমস্যা আপনাকে বিব্রত করবে না।

আমন্ড অয়েল উপকার দেয় আই ব্যাগ হঠাতে তো বটেই, চোখের নীচে ডার্ক সার্কল হলেও। এই তেলের মধ্যে থাকা ভিটামিন কিন্তু ত্বকে পুষ্টিও জোগায়। চোখের নীচে দু’-তিন ফোঁটা ফেলে, ওই অংশ আপনার রিং ফিঙ্গার দিয়ে হালকা করে মাসাজ করুন। মাসাজ করার সময় কিন্তু মোটেই চাপ দেবেন না। মাসাজের ফলে চোখের চারপাশে রক্ত চলাচল সচল থাকে এবং চোখের নীচে জমে থাকা ফ্লুইডের পরিমাণও কমতে থাকে।

যদি চোখের নীচে কোনও কিছু অ্যাপ্লাই করতে আপনার আপত্তি থাকে, তা হলে একটা অন্য পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। একগ্লাস বরফঠান্ডা জল নিন। তার মধ্যে চারটি চামচ ডুবিয়ে রাখুন অল্প কিছুক্ষণ। সেই ঠান্ডা চামচ চোখের নীচে রাখুন। কিছুক্ষণ পর সেটি সরিয়ে অন্য চামচ জোড়া রাখুন। খানিকক্ষণ এ ভাবে করে গেলে চোখের ফোলাভাব কমবে। চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিলেও কিন্তু পাফিনেস কমে।

এ সবের সঙ্গে আরও কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন:

প্রচুর জল খাবেন, যাতে শরীর থেকে দূষিত টক্সিন বেরিয়ে যায়। l সোডিয়াম আছে, এমন জিনিস বেশি খাবেন না। অতিরিক্ত সোডিয়ামের কারণে কিন্তু শরীরের বিভিন্ন অংশে জল জমে।

খুব বেশিক্ষণ মাথা নিচু করে থাকবেন না।

নিয়মিত কিছুক্ষণ এক্সারসাইজ করুন, যাতে শরীরে রক্ত চলাচল যথাযথ হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন