সুচিত্রা-স্মরণে সঙ্গীতের সন্ধ্যায় নয়া উপস্থাপনা

এর পরে ‘গানের ছবি ছবির গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিল্পী মনীষা বসু তাঁর নিজস্ব ভাবনায় দুই পর্বে মোট ১৯টি গান পরিবেশন করেন। প্রথম পর্বে শিল্পী পরিবেশন করেন পূজা, প্রেম, প্রকৃতি এবং বিচিত্র পর্যায়ের ১০টি গান। 

Advertisement

কাশীনাথ রায়

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

শিল্পী মনীষা বসু

কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী ও শিক্ষাগুরু সুচিত্রা মিত্রের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সম্প্রতি জি ডি বিড়লা সভাঘরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রবি ভৈরবী। একক সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শিল্পীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মনীষা বসু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রারম্ভিক ভাষণে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে রবীন্দ্রনাথের গানের প্রসারে তাঁর অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

Advertisement

এর পরে ‘গানের ছবি ছবির গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিল্পী মনীষা বসু তাঁর নিজস্ব ভাবনায় দুই পর্বে মোট ১৯টি গান পরিবেশন করেন। প্রথম পর্বে শিল্পী পরিবেশন করেন পূজা, প্রেম, প্রকৃতি এবং বিচিত্র পর্যায়ের ১০টি গান।

প্রথম গান ‘রাত্রি এসে যেথায় মেশে’। পরে একে একে পরিবেশিত হয় ‘আকাশে দুই হাতে’, ‘আকাশে আজ’, ‘আমি শ্রাবণ আকাশে’, ‘একদা তুমি প্রিয়ে’, ‘ও যে মানে না মানা’, ‘সঘন গহন রাত্রি’, ‘ছুটির বাঁশি বাজল’, ‘কৃষ্ণকলি’ এবং শেষ গান ‘খাঁচার পাখি’। ইতিমধ্যেই নানা প্রখ্যাত শিল্পীর কণ্ঠে বহুশ্রুত এই গানগুলির ভাবনা অনুকরণ করে মনীষা তাঁর গানের রূপময় জগৎ তৈরির চেষ্টা করেছেন। আংশিক ভাবে তা সফল হলেও কোনও কোনও জায়গায় যেন সূক্ষ্মতার অভাব ছিল বলে মনে হয়েছে। এ ছাড়া সঠিক লয় নির্বাচনের অভাবেও ‘গানের ছবি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি মনে তেমন কোনও রেশ রাখতে পারেনি।

Advertisement

দ্বিতীয় পর্বে পরিবেশিত হয় ‘ছবির গান’— অর্থাৎ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকারদের চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত রবীন্দ্রসঙ্গীত এই পর্বে পরিবেশিত হয় শিল্পীর কণ্ঠে। শিল্পীর নির্বাচনে ছিল ‘বাজে করুণ সুরে’ (‘তিন কন্যা’), ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি’ (‘মেঘে ঢাকা তারা’), ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ ও ‘তরী আমার’ (‘পারমিতার একদিন’), ‘আমার মুক্তি’ (‘অতিথি’), ‘যারা বিহান বেলায়’ (‘চিত্রকর’), ‘আমায় বোলো না গাহিতে’ (‘শঙ্খচিল’), ‘এ পরবাসে’ (‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’) এবং ‘যখন পড়বে না মোর’ (‘আলো’)।

প্রসঙ্গত, ছায়াছবিতে গানগুলির প্রয়োগ আমাদের মনে যে অনুভূতির সঞ্চার করে, ছবির বাইরে তা যথাযথ ভাবে অনুভব করা সম্ভব নয়। এই পর্বে নানা প্রাসঙ্গিক তথ্যকে ভাষ্যসূত্রে গ্রথিত করেন সুজয় সোম এবং অনুজা শেঠ সোম। শিল্পীর কণ্ঠ সে দিন পূর্ণ মাত্রায় স্ববশে না থাকলেও, তাঁর পরিবেশনে আন্তরিকতার অভাব ছিল না। যন্ত্রানুষঙ্গও ছিল যথাযথ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দেবাশিস বসু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন