স্বপ্নের সিঁড়ি এখন বাস্তবে

অন্দরসজ্জাকে আকর্ষক করতে নজর দিন সিঁড়ির নকশার দিকেঅন্দরসজ্জাকে আকর্ষক করতে নজর দিন সিঁড়ির নকশার দিকে

Advertisement

পিয়ালী দাস

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:১০
Share:

ছবি: আশিস সাহা

সিঁড়ি শুধুমাত্র দুটো তলার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজই করে না। বাড়ির অন্যতম স্থাপত্যের অংশও বটে। সে কারণেই হোম ইন্টিরিয়র বা অন্দর সজ্জায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সিঁড়ি। যার সঠিক নির্বাচন আপনার স্বপ্নের নীড়ের চেহারাটাই বদলে দিতে পারে। সিঁড়ি কত রকম হতে পারে, এখনকার ট্রেন্ড কী, দেখে নেওয়া যাক...

Advertisement

বর্তমানে চিরাচরিত কাঠ, মেটালের পাশাপাশি কাচের সিঁড়িও ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া হোম ইন্টিরিয়রে বেশ ইন স্টেনলেস স্টিল, টাইটেনিয়ামের ব্যবহার। যা সিঁড়িতে দিয়ে থাকে মসৃণতার পরশ এবং আধুনিকতার ছোঁয়া।

Advertisement

সিঁড়ির আধুনিক প্যাটার্ন

ফ্রসটেড গ্লাস স্টেয়ার হাল ফ্যাশনে বেশ মানানসই। এটা দেখতে যেমন সুন্দর এবং স্বচ্ছ, তেমনই ন্যাচারাল লাইট ধরে রাখতে সক্ষম। এ ছাড়া ট্র্যাডিশনাল লোহার সিঁড়ি তো আছেই। গৃহ স্থাপত্যে যার কদর এতটুকুও কমেনি। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, সিঁড়ির গঠন যেন ঘরের পরিসর অনুযায়ী হয়। ছোট জায়গায় সোজা কিংবা এল শেপের সিঁড়িই মানানসই। অন্য দিকে বাঁকানো সিঁড়ি আবার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক। সিঁড়ির নকশায় নতুনত্ব এবং বৈচিত্রের ছোঁয়া আনতে ট্রাই করতে পারেন ভার্টিব্রা স্টেয়ারকেস। শিরদাঁড়ার হাড়ের মতো দেখতে এই সিঁড়ি আপনার বাড়ির অন্দরের চেহারাটাই বদলে দিতে পারে। কার্ভড স্টেয়ারকেসও বেশ দর্শনীয়। যার সঙ্গে হাতলের ব্যবহার ঘরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুচারু কাঠ এবং পাথরের সংমিশ্রণে তৈরি ফ্লোটিং স্টেয়ারকেসও অন্দরসজ্জায় জায়গা করে নিচ্ছে।

বর্তমান সময়ে স্পেস ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আজকাল ক’জনেরই বা বিশাল আয়তনের নিজস্ব বাড়ি আছে। তাই সঠিক পরিকল্পনায় আপনার ছোট বাড়িতেও বের করে নিতে পারেন সিঁড়ি লাগোয়া প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য স্পেস। সে কারণেই সিঁড়ির সঠিক স্থান এবং নকশা নির্বাচন খুবই জরুরি। এর সঙ্গে সৃজনশীল ভাবনা যোগ হলে তো কথাই নেই।

স্পেস ম্যানেজমেন্ট

কাজে লাগান সিঁড়ির লাগোয়া স্পেস। সিঁড়ির কোণের জায়গা এখন স্টোরেজ বা পরিত্যক্ত নো ম্যান’স ল্যান্ড হিসেবে পড়ে থাকার দিন শেষ। ঘরের মাঝখান থেকে কিংবা যে কোনও প্রান্ত থেকেই উঠে যেতে পারে সিঁড়ি। যেমন সিঁড়ির লাগোয়া অংশে ছোট ছোট বক্স তাক তৈরি করে বানানো যেতে পারে একটা মিনি লাইব্রেরি।

একই ভাবে সিঁড়ি ও তার সংযুক্ত দেওয়ালের মধ্যবর্তী স্পেসে আপনি তৈরি করে ফেলতে পারেন অবসর যাপনের ক্ষুদ্র পরিসর। সেখানে একটি ম্যাট্রেসের উপর কিছু রঙিন ফ্র্যাব্রিকের কুশন দিয়ে সাজিয়ে রাখলেও দেখতে ভাল লাগবে। এখানে বসে চা-স্ন্যাক্স সহযোগে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া যেতেই পারে কিংবা পছন্দের বইটা গোগ্রাসে গিলে ফেলতেও পারেন।

সিঁড়ির লাগোয়া অংশে সহজেই গড়ে তুলতে পারেন আপনার প্রিয় পোষ্যের ঘর। এই স্পেসকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন বাথরুমও।

নজরে রাখুন

• সিঁড়ির নকশা যেমনই হোক না কেন, প্রত্যেকটা ধাপ একই রকম না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

• সিঁড়ির শেষ ধাপ বা ল্যান্ডিং হতে হবে চওড়া। ওঠা-নামার সুবিধার জন্য সিঁড়ির প্রতিটা ধাপে ১৫টির বেশি সিঁড়ি না থাকাই ভাল।

•সিঁড়ির ধাপ যাতে পিছল না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

• ঘরের যে প্রান্ত থেকেই সিঁড়ি উঠুক না কেন, পর্যাপ্ত সূর্যালোক যেন প্রবেশ করে।

• সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং সৌন্দর্যের কারণে সিঁড়িগুলো মুড়ে ফেলতে পারেন বাহারি কার্পেট দিয়ে। এতে দুর্ঘটনা এড়ানোও সম্ভব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন