নুসরত।ছবি: সোমনাথ রায়; মেকআপ: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস; স্টাইলিং: চিকি গোয়েঙ্কা; শাড়ি ও ব্লাউজ়: বিশ্ব বাই পিঙ্কি সিংহ, নয়না জৈন, শাড়ি ড্রেপড: ডলি জৈন;
‘সোনা’! দু’টি অক্ষরেই লুকিয়ে রয়েছে অনেক স্বপ্নকথা, সঞ্চয়ের ইতিহাস। সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে সোনা কেনা হলেও অজান্তেই কখন যেন তা সঞ্চয়ের খাতায় ঢুকে পড়ে! আর এই সঞ্চয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম জমতে থাকে। দিদিমার হাত থেকে মায়ের হাত ঘুরে যখন মেয়ের হাতে আসে, তখন সেটির উত্তরাধিকার হিসেবে তিনিও ভাবেন নিজের কন্যা বা পুত্রবধূর কথাই, যার সঙ্গে মিশে যায় মায়ের ভালবাসা, বিশ্বাস আর আশীর্বাদ। সোনা এ ভাবেই আমাদের জীবনের নানা অনুষঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।
যে কোনও শুভকাজেও সোনা দেওয়ার রেওয়াজ বাঙালির। সন্তানের প্রথম মুখ দেখা থেকে যার শুরু! সবচেয়ে বড় কথা, সোনা ছাড়া বাঙালি বিয়েও যেন অসম্পূর্ণ! হিরে, প্ল্যাটিনাম বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাগ বসালেও বাঙালি বিয়ের সাবেক সাজ হিসেবে সোনা এখনও স্বমহিমায়। লাবণ্যময়ী নুসরতেরও বিয়ে ঘিরে অনেক স্বপ্ন। তাঁরও মত, সোনার গয়না ছাড়া বিয়ে নৈব নৈব চ। মায়ের সোনার গয়না থেকেই নুসরত বেছে নেবেন বিয়ের গয়না। সঙ্গে থাকবে নিজের পছন্দ মতো অলঙ্কারও। কেমন হতে পারে তাঁর বিয়ের সাজ? বিয়ের সন্ধেয় মেরুন ঘেঁষা বেনারসির সঙ্গে গয়না হবে পরিমিত। কিন্তু তাতে থাকবে সূক্ষ্ম কারুকাজ। তাই বাছলেন মিনাকারি লম্বা রানি হার ও ঝোলা দুল, হাতেও একই কাজের কাঁকন আর আগে-পিছে চুড়ি। কিন্তু নায়িকা বলে কথা! চমক তো থাকবেই। চাঁপাকলির মতো দু’জোড়া আঙুলে রতনচূড়, সঙ্গতে সুশোভিত নখ!
আবার গিনি হার ও একই ডিজ়াইনের দুলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান স্টাইলে পরা গোলাপি শাড়িতে নায়িকা কার প্রতীক্ষায়! হলুদরঙা শাড়ির সঙ্গে ফুলের মিনাকারি কারুকাজের নেকপিস। একই কাজের দুল ও আঙুল জোড়া আংটি তৈরি করেছে নিজস্বতা। আর কমলারঙা জর্জেটের সঙ্গে লহরী হারের মধ্যে ফুলের লকেট, সুখী হৃদয়ের সুখের গানের সঙ্গী।
সুখী মানুষের কথা বলে যেমন সোনা। তেমনই দুঃখের সময়েও সোনা কখনও কখনও কাজে আসে। আর সেই দুঃসময়কে জয় করার শক্তিও মেলে যেন সোনা থেকেই। যে সোনা বেঁধে রেখেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে, যার দ্যুতিতে উজ্জ্বল স্বর্ণসম আনন্দ, পরম্পরায় সেই সোনাই যেন হোক সতত সুখের...
সোনার গয়না:পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স; লোকেশন:
রেডব্রিক রেসিডেন্সি, শরৎ বসু রোড