Mutual Fund

কেন বিনিয়োগ করছেন ভেবেই নামুন লগ্নিতে

প্রত্যেক বিনিয়োগেরই তো একটা উদ্দেশ্য থাকে।জানুন কোন রাস্তায় হেঁটে আপনার ইচ্ছা পূরণ করে ফান্ড সংস্থাগুলি।

Advertisement

শৈবাল বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৫৫
Share:

প্রতীকী চিত্র

বিনিয়োগের উদ্দেশ্য ভিত্তিক শ্রেণি:

Advertisement

প্রত্যেক বিনিয়োগেরই তো একটা উদ্দেশ্য থাকে। কেন বিনিয়োগ করছেন? সেটাই হল আসল মূল প্রশ্ন। আর সেই উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ড গুলি নানান রাস্তায় আপনার টাকা বিনিয়োগ করে থাকে। আপনি এখন জানেন ফান্ডগুলো কোথায় কোথায় আপনার টাকা বিনিয়োগ করে থাকে। এবার জানুন কোন রাস্তায় হেঁটে আপনার ইচ্ছা পূরণ করে ফান্ড সংস্থাগুলি।

গ্রোথ ফান্ডস:

Advertisement

এই স্কিমগুলোতে মূলত শেয়ারে টাকা লগ্নি করা হয়, মূলধন বাড়ানোর লক্ষ্যে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের উদ্দেশ্য থাকলে এই ফান্ড বেছে নেওয়া ভাল। মূলত সেই ধরনের সংস্থার শেয়ারে টাকা ঢালা হয় যাদের শেয়ারের দাম বেশি, এবং সংস্থাগুলি নিয়মিত বিনিয়োগ করে নিজেদের বহর বাড়িয়ে চলেছে। সংস্থার বহর বাড়লে শেয়ারের মূল দাম বা বুক ভ্যালুও বাড়ে,আর বাজারের দামও বাড়ে। তবে এই ফান্ডে ঝুঁকি একটু বেশি। কারণ, এই সংস্থাদের নিয়ে শেয়ার বাজারের আহ্লাদের শেষ থাকে না। তাই বাজারে এই সব শেয়ারের দাম অনেক সময়ই যা হওয়া উচিত তার একটু উপরে থাকে।

ইনকাম ফান্ডস:

এই ফান্ডের মূল লক্ষ্য হল নিয়মিত আয়ের সংস্থান করা। টাকা বিনিয়োগ করা হয় সেই সব ক্ষেত্রে যেখান থেকে নিয়মিত আয় আসবে। যেমন, বন্ড, ডিবেঞ্চার্স ইত্যাদি। এই ফান্ডের লক্ষ্য মূলধন সুরক্ষিত রাখা এবং নিয়মিত রিটার্ন ঘরে আনা।

লিকুইড ফান্ডস:

এই স্কিমে টি বিল, সিপি-র মতো স্বল্পমেয়াদী বা ক্ষুদ্রমেয়াদী মাধ্যমগুলোতে টাকা লগ্নি করা হয়। হাতে নগদ টাকা আছে। হয়ত এক মাস বাদে তা লাগবে। এই এক মাস বা আরও কম সময়ে টাকাটা ফেলে না রেখে তা খাটিয়ে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত হল এই ফান্ড।

ট্যাক্স সেভিং ফান্ডস (ইএলএসএস):

আয়করের আওতায় থাকা প্রতিটি বেতনভোগী মানুষই ইক্যুইটি নির্ভর এই ফান্ডগুলির কথা জানেন। ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী এই বিনিয়োগে কর ছাড়ের সুবিধা মেলে। বেশি ঝুঁকির এই ফান্ডে ঠিক মতো টাকা রাখতে পারলে রিটার্নও মেলে ভালই ।

ক্যাপিটাল প্রোটেকশন ফান্ডস:

বিনিয়োগ করবেন কিন্তু বিনিয়োগের টাকা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে চান? তাহলে এই ফান্ড আদর্শ। এই ফান্ডের টাকা ইক্যুইটি মার্কেট এবং নির্দিষ্ট আয়ের মাধ্যমে ভাগাভাগি করে লগ্নি করা হয়। এমন ভাবে বিনিয়োগের উদ্দেশ্য মূলধন সুরক্ষিত রাখা।

ফিক্সড ম্যাচিওরিটি ফান্ডস:

আপনি ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রাখেন। এটা অনেকটা সেরকমই। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ম্যাচিওর করে। সেই নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনার টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে ফিরবে। এই ফান্ডের টাকা মূলত নানান ঋণপত্রে বিনিয়োগ করা হয়।

পেনশন ফান্ডস:

এই ফান্ডগুলো সুদীর্ঘ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখে বিনিয়োগ করা হয়। মূলত বিনিয়োগকারী কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পরে নিয়মিত আয়ের সংস্থান করার উদ্দেশ্যে ইক্যুইটি এবং ডেট মার্কেটে ভাগ করে লগ্নি করা হয়। ইক্যুইটির অংশে ঝুঁকি ও রিটার্ন দুই-ই বেশি। ডেট মার্কেটে ঝুঁকি কম,রিটার্নের পরিমাণ কম হলেও নিয়মিত। নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিনিয়োগকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কতটা নিয়মিত আয়ের সংস্থানের জন্য গচ্ছিত রাখবেন, আর তহবিলের কতটা এক লপ্তে তুলে নেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন