Terrorism

জিহাদ-জ্বরে জর্জরিত আফ্রিকা! খিলাফৎ তৈরির নেশায় ‘অন্ধকার মহাদেশ’ জুড়ে সন্ত্রাসের জাল বিছোচ্ছে নিষ্ঠুর ‘দায়েশ’

পশ্চিম এশিয়া থেকে ধীরে ধীরে আফ্রিকায় সংগঠন মজবুত করছে কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট’ ওরফে দায়েশ। ফলে ঘন ঘন গণহত্যার নিষ্ঠুরতা প্রত্যক্ষ করছে ‘অন্ধকার মহাদেশ’।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৮
Share:
০১ ২০

ঘাড়ে চেপেছে ‘খিলাফৎ’-এর ভূত! সেই ভূতের উপদ্রবে জিহাদ-জ্বরে কাবু আফ্রিকা। এই আবহে ‘অন্ধকার মহাদেশ’ জুড়ে সন্ত্রাসের জাল বিছোচ্ছে ‘দায়েশ’-এর কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী। দুনিয়া যাকে চেনে আইসিস (পড়ুন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) নামে। ফলে সহারা-কালাহারির মরু অঞ্চল থেকে শুরু করে নীল নদের অববাহিকা, বিচ্ছিন্নতাবাদের আঁচে একাধিক দেশ রক্তাক্ত হওয়ার আশঙ্কাকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। বিষয়টি চিন্তা বাড়িয়েছে ‘বৈশ্বিক দক্ষিণ’-এর (পড়ুন গ্লোবাল সাউথ) নেতার আসন পেতে চাওয়া ভারতেরও।

০২ ২০

২০১৯ সালে সিরিয়ায় ড্রোন হামলা চালিয়ে আইসিসের শীর্ষনেতা আবু বকর আল-বাগদাদিকে নিকেশ করে মার্কিন ফৌজ। দায়েশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন কায়লা মুলার’। বাগদাদির মৃত্যুর পর পশ্চিম এশিয়ায় দ্রুত জমি হারায় ওই কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন। বিশ্লেষকদের দাবি, এই অবস্থায় ‘জিহাদি আদর্শ’ এবং সন্ত্রাসবাদকে টিকিয়ে রাখতে আফ্রিকাকে পাখির চোখ করেন আইসিসের পরবর্তী নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই ‘অন্ধকার মহাদেশ’টির স্থানীয় বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছে দায়েশ। তাঁদের মনে গেঁথে দিতে চাইছে খিলাফতের অলীক স্বপ্ন।

Advertisement
০৩ ২০

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাগদাদির মৃত্যুর পর সংগঠনের গঠনতন্ত্রে বড় বদল আনে আইসিস। কট্টরপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদের বিষ ছড়িয়ে দিতে একটি ‘রিমোট ম্যানেজমেন্ট মডেল’কে আঁকড়ে ধরে তারা। শুধু তা-ই নয়, ইসলামীয় সাম্রাজ্য তৈরির বদলে বর্তমানে জঙ্গিদের একটি বিশ্বব্যাপী ফ্যাঞ্চাইজ়ি হিসাবে কাজ করছে দায়েশ। ‘আল-নাবা’ নামের তাদের নিজস্ব একটি গণমাধ্যম রয়েছে। এর মাধ্যমে দিব্যি আদর্শগত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আইসিস। ফলে সদস্য সংগ্রহ এবং ধর্মের নামে গণহত্যার পরিকল্পনায় তেমন সমস্যা হচ্ছে না তাদের।

০৪ ২০

দায়েশ নেতৃত্বের এ-হেন সিদ্ধান্তের জেরে সন্ত্রাসী সংগঠনটি ডালপালা ছড়াতে সক্ষম হয়েছে। ভৌগোলিক দিক দিয়ে পুনর্জন্ম হয়েছে তাদের। একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যেতে পারে। ২০১৭ সালে ইসলামিক স্টেটের অধিকাংশ জঙ্গি হামলা ইরাক এবং সিরিয়ায় কেন্দ্রীভূত ছিল। বর্তমানে ৯০-এর বেশি কর্মকাণ্ড আফ্রিকা মহাদেশে কোনও না কোনও প্রান্তে সংগঠিত করছে দায়েশ। ফলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সংজ্ঞা এবং অবস্থান বদলাচ্ছে, বলছেন তদন্তকারীরা।

০৫ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা অবশ্য আফ্রিকায় ইসলামিক স্টেটের সাফল্যকে দুর্ঘটনা হিসাবে দেখতে নারাজ। তাঁদের দাবি, স্থানীয় রাজনীতি, আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি, ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং খনিজ সম্পদ সেখানে দায়েশকে পা জমাতে সাহায্য করেছে। গত ছ’বছরে ‘অন্ধকার মহাদেশ’টিতে একটি নিজস্ব বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার আরব মরুতে জন্ম হওয়া আইসিস।

০৬ ২০

আফ্রিকার সাহেল এবং লেক চাদ আববাহিকাকে দায়েশের শক্ত ঘাঁটি বলা যেতে পারে। ওই এলাকায় সক্রিয় আছে বোকো হারাম নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী, যাদের আনুগত্য পাচ্ছে আইসিস। অঞ্চলটিকে কেন্দ্র করে ‘ইসলামিক স্টেট ইন ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স’ বা আইএসডব্লিউএপি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। গত কয়েক বছরে বোকো হারামের নিষ্ঠুরতায় বহু বার রক্তে ভিজেছে সাহেল এবং লেক চাদ অববাহিকার মাটি। সেখানকার বিস্তীর্ণ এলাকায় সমান্তরাল সরকার চালানোর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

০৭ ২০

পশ্চিম আফ্রিকায় বিকল্প শাসন ব্যবস্থা চালাতে মাঝেমধ্যেই তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রামগুলি থেকে কর আদায় করে থাকে বোকো হারাম। পাশাপাশি, এলাকাগুলিতে শরিয়া আইন চালু রেখেছে তারা। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড়প্রমাণ অভিযোগ থাকায় স্থানীয় যুব সম্প্রদায়কে পাশে পেতে দায়েশ সমর্থিত সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীটির তেমন কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আবার পিছিয়ে পড়া এলাকায় কিছু পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের ‘রবিনহুড’ ছবি তুলে ধরতে পেরেছে এই সন্ত্রাসী সংগঠন।

০৮ ২০

বোকো হারামের পাশাপাশি মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারে ডালপালা ছড়াতে সক্ষম হয়েছে ‘ইসলামিক স্টেট ইন দ্য গ্রেটার সহারা’ বা আইএসজিএস নামের জঙ্গি গোষ্ঠী। নিষ্ঠুরতার নিরিখে পূর্ববর্তী সংগঠনটির তুলনায় এদের কুখ্যাতি আরও বেশি। মূলত, কৃষক এবং পশুপালকদের মধ্যে আইএসজিএসের সর্বাধিক প্রভাব রয়েছে। জীবিকা ছেড়ে তাদের বড় অংশই বর্তমানে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠনটিতে নাম লেখাচ্ছেন।

০৯ ২০

উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার পাঁচ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে সাহেল এলাকা। এর এক দিকে রয়েছে সহারা মরুভূমি। অপর অংশ সুদানের সবুজ ঘাসের বন বা সাভানার অন্তর্গত। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের ‘হটস্পট’ বললে অত্যুক্তি হবে না। এখানকার মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারে গণতান্ত্রিক সরকার স্থায়ী ভাবে শাসন চালাতে পারেনি। বার বার ক্ষমতা দখল করেছে ফৌজ। আর একে কেন্দ্র করে বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে খুব একটা দেরি হয়েনি। ফলে বছরের পর বছর ধরে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি থাকায় অরাজকতার সুযোগ নিয়ে সেখানে ঢোকার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে দায়েশ।

১০ ২০

২১ শতকে আফ্রিকা থেকে ধীরে ধীরে পাত্তারি গোটাতে বাধ্য হয় একাধিক ইউরোপীয় দেশ। সংশ্লিষ্ট মহাদেশটিতে একটা সময়ে সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য ছিল ফ্রান্সের। ফলে বুরকিনা ফাসো এবং মালিতে বিরাট ফৌজ মোতায়েন রাখার সুযোগ পেয়েছিল প্যারিস। কিন্তু, ২০২৩ সালের পর সেই অধিকার হারায় ফ্রান্স। অন্য দিকে রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ। দায়েশকে নিয়ে এই দুই দেশের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমি দেশগুলির মতো কঠোর মনোভাব নেই।

১১ ২০

আফ্রিকার সাহেল এলাকা থেকে ফরাসি এবং ইউরোপীয় বাহিনী বহিষ্কৃত হতেই সেখানে ঢোকে মস্কোর ভাড়াটে বাহিনী ‘ওয়াগনার গ্রুপ’। সংশ্লিষ্ট ফৌজের মূল নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে। ‘অন্ধকার মহাদেশ’টিতে মোতায়েনের ক্ষেত্রে অবশ্য তাদের নতুন নাম হয়েছে ‘আফ্রিকান কোর’। সাহেল এলাকায় ক্রেমলিনের ভাড়াটে সৈন্যদল পশ্চিমি শক্তিগুলির বিরুদ্ধে একটা ঢাল হিসাবে কাজ করছে। ফলে তাদের পিছনে থেকে সংগঠনকে মজবুত করার কাজ ভাল ভাবেই চালিয়ে যেতে পারছে দায়েশ।

১২ ২০

দক্ষিণ-পূর্ব এবং মধ্য আফ্রিকায় আবার সক্রিয় রয়েছে ‘ইসলামিক স্টেট মোজ়াম্বিক’ বা আইএসএম। সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীটির উত্থানে রীতিমতো আতঙ্কিত উত্তর মোজ়াম্বিকের ডেলগাডো প্রদেশের বাসিন্দারা। কারণ, ওই এলাকায় রয়েছে লক্ষ কোটি ডলারের বিপুল প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার। গত কয়েক বছরে একাধিক বার তা দখল করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে আইএসএম। কিন্তু মোজ়াম্বিকের ফৌজ যুদ্ধে নামলে বাধ্য হয়ে পিছু হটতে হয় তাদের। তার পরেও অবশ্য লাগাতার হিংসা চালিয়ে গিয়েছে তারা।

১৩ ২০

দায়েশের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ‘অ্যালায়েড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ বা এডিএফ সক্রিয় রয়েছে ‘ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো’ বা ডিপিআরে। মধ্য আফ্রিকার দেশটিকে একাধিক বার গণহত্যা চালিয়েছে তারা। আফ্রিকায় আইসিসের এ-হেন উত্থানের নেপথ্যে আর্থিক স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে বড় কারণ হিসাবে দেখছেন গোয়েন্দাকর্তারা। তাঁদের কথায়, যুদ্ধভিত্তিক একটি অর্থনীতি গড়ে তুলেছে দায়েশ, যা বেশ লাভজনক এবং আকর্ষণীয়।

১৪ ২০

পশ্চিমি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, আইসিসের অর্থ রোজগারের একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীটি স্থানীয় গ্রামবাসী, কৃষক, ব্যবসায়ী এবং পণ্য পরিবহণকারীদের থেকে মোটা অঙ্কের তোলা আদায় করে থাকে। একে অবশ্য ‘নিরাপত্তা কর ব্যবস্থা’র (সিকিউরিটি ট্যাক্স) নাম দিয়েছে আফ্রিকার দায়েশ সমর্থিত গোষ্ঠীগুলি।

১৫ ২০

এ ছাড়া মুক্তিপণের নামে বিদেশি মুদ্রা হস্তগত করার প্রবণতা রয়েছে আফ্রিকার আইসিস জঙ্গি সংগঠনগুলির। এর জন্য পর্যটনের উদ্দেশ্যে আসা বিদেশিদের প্রায়ই অপহরণ করে থাকে তারা। পাশাপাশি, দেশের নামীদামি হোটেলে হানা দেওয়ার ঝুঁকি নিতেও দেখা গিয়েছে তাদের।

১৬ ২০

অর্থ রোজগারের সর্বশেষ পদ্ধতি হল সোনা, গবাদি পশু এবং অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান। এ ছাড়া সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েক বার হাতিয়ার লুট করতে সক্ষম হয়েছে আফ্রিকার আইসিস সমর্থিত জঙ্গিরা। ‘অন্ধকার মহাদেশ’টিতে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেলেও এ ব্যাপারে নীরব আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ। উল্টে বাণিজ্যযুদ্ধ এবং রাশিয়ার ও চিনকে ঠেকাতেই বেশি ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে ওয়াশিংটনের শরীরী ভাষায়।

১৭ ২০

গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামের একটি জিহাদি গোষ্ঠী। বর্তমানে দামাস্কাসে সরকার তৈরি করেছে তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনটির সঙ্গে দায়েশের কোনও যোগ না থাকলেও আর এক কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আল কায়দা’র সম্পর্ক রয়েছে। তাদের থেকে আলাদা হয়েই পৃথক সংস্থা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এইচটিএস।

১৮ ২০

এ বছরের মে মাসে পশ্চিম এশিয়া সফরের সময়ে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটা সময়ে তাঁর মাথার দাম কয়েক লক্ষ ডলার ধার্য করেছিল আমেরিকা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই জায়গা থেকে সরে যাওয়ায় আইসিসের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে।

১৯ ২০

বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ে যাওয়ার রাস্তা থেকে বর্তমানে ধীরে ধীরে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি বিশ্ব। কারণ, কোটি কোটি ডলার খরচ করেও এর উপরে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ পায়নি তারা। এ ক্ষেত্রে তাদের সাফল্যকে তাৎক্ষণিক এবং ক্ষণস্থায়ী বলা যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, তাদের সামরিক অভিযান বিভিন্ন সমস্যাকে আরও জটিল করেছে।

২০ ২০

তবে সমগ্র আফ্রিকা জুড়ে দায়েশের নেতৃত্বে ‘খিলাফৎ’ গড়ে উঠবে, এই ধারণাও কষ্টকল্পিত। সংশ্লিষ্ট মহাদেশটির বিরল খনিজের উপরে নজর রয়েছে চিন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের। নাইজ়েরিয়ার সঙ্গে খনিজ তেল নিয়ে নতুন চুক্তি করতে চলেছে ভারত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এগুলি অনুঘটকের কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement