যখন শাহরুখ থুড়ি রইসের এলাকায় চোরাই কারবারের বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতার প্রতিবাদ মিছিল বের হয়, তখন রইস <br> সেই মিছিলের উপর হামলা চালায়। গোলমাল থামাতে পুলিশ এসে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। কিন্তু রইসকে লক্ষ্য করে সেই কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া <br> হলেও দিব্যি তার মধ্যে দিয়ে সুস্থ শরীরে বেড়িয়ে আসেন খোদ নায়ক। সেই সময় তাঁর চোখে চশমাও ছিল না।
‘রইস’ সিনেমার সময়কাল ছিল ১৯৮০। একটি সিনে দেখা যায় শাহরুখের পিছনের দেওয়ালে <br> ‘নিটেক্স’ কোম্পানির বিজ্ঞাপন। যদিও এই গেঞ্জি কোম্পানি এসেছিল ১৯৯৫ সালে।
ছবির শেষ ভাগে দেখা যায় বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য রইস নিজের চশমা দিয়ে একজনকে খুন করে। <br> আবার তার পরের দৃশ্যেই দেখা যায় সেই একই চশমা পরে রয়েছে রইস।
একটি সিনে দেখা যায় শাহরুখ তাঁর পিছন দিকে থাকা এক ব্যক্তিকে গুলি করে মারছেন। ব্যক্তিটি একটি কাচ দেওয়া জানলার <br> সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎই তাঁর চারপাশের পরিবেশ বদলে যায়। পরের দৃশ্যে দেখা যায়, <br> কাচ দেওয়া জানলার পরিবর্তে অন্য একটি সেট চলে এসেছে সেখানে।
‘উড়ি উড়ি যায়’ গানের শুরুটা মনে আছে? ছাই রঙা সালোয়ার কামিজ পরে আছেন মাহিরা খান। নায়কের সঙ্গে রোম্যান্সের সেই <br> মুহূর্তে প্রথম দৃশ্যে মাহিরাকে ওড়না ছাড়া দেখা যায়। আবার পরের সিনেই দেখা যায় ওড়না পরে রয়েছেন নায়িকা।
সিনেমার সময়কালটা বারবারই গুলিয়েছেন পরিচালক। ছবির একটি দৃশ্যে দেখা যায় একটি বিশেষ কোম্পানির মাদকের বোতল <br> সারি দিয়ে রাখা হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে যা গুড়িয়ে দিয়েছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। কিন্তু মজার বিষয় হল, যে কোম্পানির <br> মাদকের বোতল দেখানো হয়েছে ওই দৃশ্যে সেই কোম্পানি এসেছে ১৯৯৫ সালে। ‘রইস’ ছবির প্রেক্ষাপট কিন্তু ১৯৮০।