Trump on H-1B Visa

মার্কিন মুলুকে প্রতিভাবান আর দক্ষ কর্মী নেই, স্বীকার করে ‘লোভনীয়’ এইচ-১বি ভিসায় ফের ডোনাল্ড-ডিগবাজি! স্বস্তিতে ভারত?

এইচ-১বি ভিসা ইস্যুতে ফের ‘ইউ টার্ন’ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকায় প্রতিভাবান ও দক্ষ কর্মীর অভাব আছে বলে ‘ফক্স নিউজ়’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এর জেরে তাঁর ভোটব্যাঙ্কে ধস নামতে পারে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:২০
Share:
০১ ২০

ফের এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ডিগবাজি। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সম্পূর্ণ উল্টো সুরে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, আমেরিকাবাসী ‘প্রতিভাবান নয়’ বলেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। তাঁর ওই মন্তব্যের পর বেজায় স্বস্তিতে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্র। অন্য দিকে এই ইস্যুতে নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির কর্মী-সমর্থকদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সমাজমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে বইছে ট্রোলিং-ঝড়। সেখানে ‘ট্রাম্প অলওয়‌েজ় চিকেন্‌স নেক’ কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে। আগামী দিনে তাঁর জনপ্রিয়তায় আরও ভাটা পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

০২ ২০

চলতি বছরের ১১ নভেম্বর ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেন মার্কিন গণমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-এর সঞ্চালিকা লরা ইনগ্রাহাম। তাঁর চোখা প্রশ্নের মুখে পড়ে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে হঠাৎ করেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘‘আমাদের এখানে দক্ষ কর্মীর যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। আপাতত প্রতিভাবানদের আমদানি করা ছাড়া দ্বিতীয় রাস্তা নেই। আপনি বেকারদের সংখ্যা বাড়িয়ে একটা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা খোলার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না।’’ সাক্ষাৎকারে তাঁর ওই মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।

Advertisement
০৩ ২০

লরার একটি প্রশ্নে মার্কিন প্রদেশ জর্জিয়ার উদাহরণ দেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে ওখানে অভিযান চালানো হয়। ফলে বেআইনি ভাবে ঢুকে পড়া দক্ষিণ কোরিয়ার (পড়ুন রিপাবলিক অফ কোরিয়া বা আরওকে) বাসিন্দাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁরা ব্যাটারি তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এটা বানানো বেশ জটিল এবং বিপজ্জনক। যখন-তখন বিস্ফোরণ হতে পারে। প্রচুর সমস্যা রয়েছে। ফলে ওরা চলে যাওয়ায় দক্ষ কর্মীর অভাবে ভুগছে জর্জিয়া। এই কাজ আমাদের শিখতে হবে।’’

০৪ ২০

সম্প্রতি গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা হুন্ডাইয়ের একটি কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে কয়েকশো অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে জর্জিয়া প্রশাসন। ধৃতদের সিংহভাগই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছিলেন। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও সেখানে থেকে চাকরি করছিলেন তাঁরা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ওই ঘটনার মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই ‘ফক্স নিউজ়’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প। ফলে ফের যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া রাজনীতিতে খবরের শিরোনামে এসেছে অভিবাসী সমস্যা।

০৫ ২০

সাক্ষাৎকার চলাকালীন পাল্টা যুক্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিদ্ধ করেন লরা। বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভার অভাব নেই। তা ছাড়া বিদেশি কর্মীরা একের পর এক শিল্পক্ষেত্র দখল করে ফেললে মজুরি হ্রাস পাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকবে।’’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি আপনার সঙ্গে সহমত। কিন্তু হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করে যে উদ্যোগপতি এখানে কারখানা খুলছেন, তাঁকে আপনি অদক্ষ-বেকার মার্কিনদের চাকরি দিতে বলতে পারবেন না। তাঁরা সে ভাবে কাজ করতে আগ্রহী হবেন না।’’

০৬ ২০

গত বছরের নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম বড় ইস্যু ছিল অভিবাসী সমস্যা। ওই সময় বিদেশিদের জন্যই স্থানীয় আমেরিকাবাসী চাকরি বা কাজ পাচ্ছেন না বলে প্রচারে ঝড় তোলেন ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, ক্ষমতায় আসার পর একটা সময়ে এইচ-১বি ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। পরে অবশ্য এই নিয়ে একটি নতুন নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে একলাফে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায় ওই ‘লোভনীয়’ নথির খরচ।

০৭ ২০

ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসা সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন জানিয়ে দেয়, সংশ্লিষ্ট নথিটির জন্য আগামী দিনে মার্কিন সংস্থাগুলিকে বছরে দিতে হবে এক লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় সেটা প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা। ফলে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ আমেরিকার কোম্পানিগুলির কাছে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্টের কড়া সমালোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের শিল্পপতি ইলন মাস্ক।

০৮ ২০

গত ২৩ সেপ্টেম্বর আবার এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আরও একটি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারি করে আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জানিয়েছে, প্রচলিত লটারির পরিবর্তে এখন থেকে নতুন পদ্ধতিতে বিদেশি কর্মীদের বাছাই করে ভিসা দেবে মার্কিন প্রশাসন। আপাতত ভিসা সংক্রান্ত নিয়মকানুন সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে। উপরমহলের সবুজসঙ্কেত মিললেই চালু হবে নয়া নিয়ম।

০৯ ২০

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের যুক্তি, নতুন নিয়ম চালু হলে এইচ-১বি ভিসার টোপ দিয়ে উচ্চ দক্ষতা এবং উচ্চ বেতনের বিদেশি কর্মীদের আমেরিকায় নিয়ে আসতে পারবে বিভিন্ন সংস্থা। শুধু তা-ই নয়, এর ফলে সুবিধা হবে নিয়োগকারী সংস্থাগুলিরও। কারণ, এর ফলে সব বেতনস্তরে এইচ-১বি ভিসাধারী কর্মীদের নিয়োগ করতে পারবে তারা।

১০ ২০

নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, কর্মীদের নির্ধারিত বেতনস্তরের ভিত্তিতে ভিসা দেওয়ার জন্য বাছাই করা হবে। চারটি বেতনকাঠামোর মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে থাকা কর্মীরা, অর্থাৎ যাঁদের বার্ষিক বেতন ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৫২৮ মার্কিন ডলার বা তার বেশি, তাঁরা চার বার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। সর্বনিম্ন স্তরে থাকা কর্মীরা সেই সুযোগ পাবেন কেবলমাত্র এক বার। অর্থাৎ, উচ্চ বেতনের অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। অন্য দিকে, সদ্য স্নাতক হওয়া কিংবা নবাগত কর্মীরা সুযোগ পাবেন কম।

১১ ২০

আমেরিকার এইচ-১বি এক ধরনের অ-অভিবাসী ভিসা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা সাময়িক ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে সেখানকার সংস্থার হয়ে কাজ করতে পারেন। প্রাথমিক ভাবে এইচ-১বি ভিসার মেয়াদ থাকে তিন বছর। সর্বোচ্চ ছ’বছর পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করা যায়। এই সময়ের মধ্যে আমেরিকার গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন কর্মীরা।

১২ ২০

গ্রিন কার্ড বা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী ভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়ে গেলে এইচ-১বি ভিসার মেয়াদ ইচ্ছামতো বৃদ্ধি করা যায়। মার্কিন সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এইচ-১বি ভিসার সর্বাধিক সুবিধা পান ভারতীয়রা। গত বছর এ দেশের পড়ুয়া ও দক্ষ কর্মীদের ৭১ শতাংশ আবেদন মঞ্জুর করে আমেরিকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন। সেখান থেকে ১১.৭ শতাংশ ভিসার আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিল আমেরিকা।

১৩ ২০

এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বদলের নেপথ্যে দু’টি কারণ খুঁজে পেয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁর নীতির জন্য সর্বাধিক সমস্যায় পড়েন ভারতীয়রা। ফলে এ দেশের যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন, সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দল রিপাবলিকান পার্টির বিরুদ্ধে ভোট দেন তাঁরা। দ্বিতীয়ত, দক্ষ কর্মী নিয়োগের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্পপতিদের একাংশও তাঁর ওই নীতিকে একেবারেই পছন্দ করেননি।

১৪ ২০

অন্য দিকে ট্রাম্পের ভিসা নীতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি মেধাবী কর্মীদের নিজেদের দেশে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চিন। আর তাই ১ অক্টোবর থেকে ‘কে ভিসা’ চালু করছে বেজিং। গত অগস্টেই অবশ্য এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

১৫ ২০

বেজিঙের ‘কে ভিসা’র জন্য আবেদনের পদ্ধতি অনেকটা আমেরিকার এইচ-১বি ভিসার মতোই। বিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে মেধাবীরা, যাঁরা চিন বা বিশ্বের যে কোনও প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই এই ভিসার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। শিক্ষকতা কিংবা গবেষণামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও এর মাধ্যমে ড্রাগনভূমিতে পা রাখতে পারবেন।

১৬ ২০

প্রায় একই সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে কানাডাকে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে মুখ খোলেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তিনি বলেন, ‘‘নতুন নিয়মের জাঁতাকলে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসা পাবেন না। কিন্তু, এঁরা প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত এবং দক্ষ কর্মী। ফলে আমাদের সামনে থাকছে এঁদের ঘরে নিয়ে আসার বড় সুযোগ। সেটা অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।’’ এর পরই সরাসরি প্রতিভাবান বিদেশিদের ঘরে আসার আহ্বান জানায় অটোয়া।

১৭ ২০

বিদেশি প্রতিভার খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। সূত্রের খবর, এর জন্য একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে তাঁর সরকার। সংশ্লিষ্ট বাহিনীটির সদস্যদের দুনিয়ার সেরা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের খুঁজে বার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সমস্যা মেটাতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে জার্মানি এবং রাশিয়া। ফলে ট্রাম্পের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল।

১৮ ২০

তবে ‘ফক্স নিউজ়’-এর ওই সাক্ষাৎকারের পর ট্রাম্পকে নিশানা করে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট দেন ফ্লোরিডার রিপাবলিকান নেতা অ্যান্টনি সাবাতিনি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘এটা প্রেসিডেন্টের পাগলামো। ওঁর জন্য আমরা মধ্যবর্তী (মিড টার্ম) নির্বাচনে হেরে যাব। এর আগে প্রশাসনকে কখনও এতটা খারাপ ভাবে ভেঙে পড়তে দেখিনি। বার বার নীতি বদলে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।’’ এ ছাড়া ‘ট্রাম্প আমেরিকাবাসীকে ঘৃণা করেন’ বলে নিউ ইয়র্ক পোস্টে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

১৯ ২০

ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ বা মাগা নীতির সমর্থকদের তাঁর ‘অন্ধ ভক্ত’ বলা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট সাক্ষাৎকারটির পর তাঁরাও বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক মার্কিন গণমাধ্যম। এইচ-১বি ভিসার পাশাপাশি ছ’লক্ষ চিনা শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানানোর ইঙ্গিত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এতে আরও তীব্র হয়েছে বিতর্কের ঝড়।

২০ ২০

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য আসা চিনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এই নিয়ে লরা প্রশ্ন তুললে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আপনি কি মনে করেন ফরাসিরা ভাল? আমি কিন্তু নিশ্চিত নই।’’ বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আগামী দিনে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতকে দর কষাকষির জায়গা করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement