Donald Trump on Taiwan

‘টিকটকার’ ট্রাম্পের ইউ টার্ন! বেজিঙের মন পেতে তাইওয়ানকে ‘গাছে তুলে’ ৪০ কোটি ডলারের ‘মই’ কেড়ে নিচ্ছে আমেরিকা

সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘টিকটক’ কিনতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঠিক তার আগে তাইওয়ানের ৪০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য স্থগিত করেছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:২৩
Share:
০১ ১৮

যখন-তখন ১৮০ ডিগ্রি বেঁকে ইউ টার্ন নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অদ্ভুতুড়ে সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হচ্ছে ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে। সেই তালিকায় এ বার যুক্ত হল ‘রিপাবলিক অফ চায়না’-র (আরওসি) নাম। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্রকে তাইওয়ান হিসাবে চেনে গোটা দুনিয়া। একটা সময়ে ‘আগ্রাসী’ চিনকে আটকাতে তাদের বিপুল সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু, হঠাৎ করেই সেই প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট।

০২ ১৮

চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তাইওয়ানকে অস্ত্র সহায়তা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন গণমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’। সেখানে বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ৪০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ট্রাম্পের নির্দেশে এই প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করেছে ওয়াশিংটন। সংশ্লিষ্ট স্থগিতাদেশ কত দিনের জন্য, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ওই সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জ়িনপিঙের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।

Advertisement
০৩ ১৮

‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের তরফে তাইপের ফৌজকে বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার এবং সামরিক ড্রোন সরবরাহ করার কথা ছিল। আপাতত দ্বীপরাষ্ট্রের বাহিনীর সেটা হাতে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এই মুহূর্তে চিনের ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ নৌসেনা হামলা চালালে, তাদের আটকানো যে সাবেক ফরমোজ়ার সরকার ও সেনার পক্ষে কঠিন হবে, তা বলাই বাহুল্য। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার নিরাপত্তার চিত্র বদলাতে পারে, বলছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

০৪ ১৮

২০১৭-’২১ সাল পর্যন্ত প্রথম বার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাইওয়ানের নিরাপত্তার ব্যাপারে যথেষ্ট দরাজ ছিলেন ট্রাম্প। ওই সময়সীমার মধ্যে হাজার কোটি ডলারের বেশি হাতিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রকে বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৯০ সালের পর এই পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়েও এই ধারা অব্যাহত ছিল। ২০২২ সালে তাইওয়ান এবং ইউক্রেনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন পার্লামেন্ট ‘কংগ্রেস’। ঠিক হয় প্রতি বছর এই দুই দেশকে ১০০ কোটি ডলারের হাতিয়ার মজুতের অনুমতি দেবে ওয়াশিংটন।

০৫ ১৮

কিন্তু, এ বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই তাইওয়ান নীতিতে বদল আনেন ট্রাম্প। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটিকে কোটি কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সাহায্য দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, সাবেক ফরমোজ়ায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পুরোপুরি ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে রাখার ব্যাপারে প্রবল আপত্তি রয়েছে তাঁর। এই অবস্থায় আমেরিকার অস্ত্র সরবরাহ বজায় রাখতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে আরওসি। ২০৩০ সালের মধ্যে তা দেশের ‘মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন’ বা জিডিপির পাঁচ শতাংশে গিয়ে পৌঁছোবে বলে জানা গিয়েছে।

০৬ ১৮

ট্রাম্প সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ দিতেই এই নিয়ে বিবৃতি দেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং। তাঁর কথায়, ‘‘যুদ্ধ এড়াতে এবং শান্তি রক্ষায় আমাদের অবশ্যই সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি, সামাজিক স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করাও জরুরি।’’ বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে পশ্চিমি দেশগুলির মধ্যে থেকে অন্য কোনও ‘বন্ধু’ খুঁজে নিতে পারে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্র। পাশাপাশি, জাপানের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

০৭ ১৮

বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাইওয়ান প্রশ্নে ট্রাম্পের ইউ টার্ন নেওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাত কমাতে চাইছেন তিনি। পাশাপাশি, বেজিঙের সমাজমাধ্যম ‘টিকটক’ কিনে নেওয়ার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। আমজনতার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জনপ্রিয় করার ব্যাপারে এর অবদান অনস্বীকার্য। আগামী অক্টোবরে এই নিয়ে ট্রাম্প-শি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৬ সালে ড্রাগনভূমিতে যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট।

০৮ ১৮

গত এপ্রিলে চিনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন ট্রাম্প। তার প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং শেয়ার বাজারের উপরে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মন্দা এবং মুদ্রাস্ফীতির জোড়া ধাক্কার মুখে পড়তে পারে আমেরিকা। আর তাই চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট একরকম মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত জুনে দু’তরফে সমঝোতা হলেও জটিলতা পুরোপুরি কাটেনি।

০৯ ১৮

এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ান ইস্যুতে ট্রাম্পের নীতির ব্যাখ্যা দিয়েছেন গবেষণা সংস্থা ‘ক্রাইসিস গ্রুপ’-এর উত্তর-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ফেলো উইলিয়াম ইয়ং। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন। প্রেসিডেন্ট শি-র মন পেতে তাইপেতে সামরিক সাহায্য স্থগিত করেছেন তিনি। চিনের সঙ্গে ‘টিকটক’ চুক্তি হয়ে গেলে ধীরে ধীরে দ্বীপরাষ্ট্রে হাতিয়ার পাঠানো শুরু করবে তাঁর সরকার।’’

১০ ১৮

‘ফাউন্ডেশন ফর দ্য ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিজ়’-এর সিনিয়র ফেলো ক্রেগ সিঙ্গেলটন এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা ‘রয়টার্স’কে বলেছেন, ‘‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শত্রু হল চিন। তাইওয়ান পুরোপুরি বেজিঙের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে এই অঞ্চলে বন্ধ হতে পারে মার্কিন পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল। আর তাই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির দিক থেকে ওয়াশিংটনের পুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে রাখা অসম্ভব।’’

১১ ১৮

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ আবার মনে করেন, জাতীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যবসাকে সব সময় বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ট্রাম্প। আর তাই তাইওয়ানকে সামরিক সাহায্য দেওয়ার চেয়ে অস্ত্র বিক্রি করতে বেশি আগ্রহী তিনি। ইজ়রায়েলকে বাদ দিলে বিশ্বের কোনও দেশকেই এই সুবিধা আর দিতে চাইছেন না যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট।

১২ ১৮

অন্য দিকে চিনা ‘আগ্রাসন’ ঠেকাতে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তাইওয়ান। সেই লক্ষ্যে রণতরী ধ্বংসকারী একটি ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ওই দ্বীপরাষ্ট্র। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তা প্রথমবার প্রকাশ্যে আনে তারা। হাতিয়ারটির পোশাকি নাম ‘বারাকুডা-৫০০’। কিছু দিনের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রে একটি প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে যে সংশ্লিষ্ট ‘ব্রহ্মাস্ত্র’টিকে স্বমহিমায় দেখতে পাওয়া যাবে, তা বলাই বাহুল্য। হাতিয়ারটির পাল্লা এবং মারণক্ষমতা সংক্রান্ত তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আনেনি সাবেক ফরমোজ়া দ্বীপ।

১৩ ১৮

সংবাদসংস্থা ‘রয়টার্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরিতে হাত রয়েছে তাইপে অ্যারোস্পেস এবং ‘ন্যাশনাল চুং-শান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজ়ি’ বা এনসিএসআইএসটির। দ্বিতীয় সংস্থাটি পুরোপুরি ভাবে দ্বীপরাষ্ট্রের ফৌজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ‘বারাকুডা-৫০০’র নকশা নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা স্টার্টআপ ‘আন্দুরিল ইন্ডাস্ট্রিজ়’।

১৪ ১৮

গত জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। ওই সময়েই ওয়াশিংটনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সাবেক ফরমোজ়া দ্বীপের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা যে একাধিক হাতিয়ার তৈরি করবেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যদিও মাত্র তিন মাসের মধ্যে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বানানো ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র তাইপে সামনে আনতে পারবে, তা কেউ ভাবেনি। ফলে এই ঘটনার অন্য তাৎপর্য রয়েছে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

১৫ ১৮

তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু, তা সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে রক্ষা করার এক রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। শুধু তা-ই নয়, তাইপে ফৌজের আমদানি করা হাতিয়ারের সিংহভাগ আসে আমেরিকা থেকে। এ ছাড়া সামরিক সরঞ্জামও মূলত ওয়াশিংটনের থেকে কিনে থাকে সাবেক ফরমোজ়া দ্বীপ।

১৬ ১৮

‘বারাকুডা-৫০০’কে প্রথম বার প্রকাশ্যে আনার পর গণমাধ্যমে মুখ খোলে এনসিএসআইএসটি। সংস্থার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘চিনকে আক্রমণ করতে হলে রণতরীতে হামলা করা ছাড়া দ্বিতীয় রাস্তা নেই। আমাদের ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র সেগুলিকে অনায়াসে ডোবাতে সক্ষম। যুদ্ধজাহাজের দলগত আক্রমণ প্রতিহত করার কথা মাথায় রেখে এর নকশা তৈরি করা হয়েছে।’’

১৭ ১৮

১৯৪৯ সালে ‘চিনা কমিউনিস্ট পার্টি’ বা সিপিসির (কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না) কিংবদন্তি চেয়ারম্যান মাও জ়ে দঙের নেতৃত্বে বেজিঙে প্রতিষ্ঠিত হয় সমাজতান্ত্রিক সরকার। লম্বা সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটান তিনি। ওই সময় জাতীয়তাবাদীদের একাংশ চিয়াং কাই শেকের নেতৃত্বে মূল চিনা ভূখণ্ড থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেন ফরমোজ়া দ্বীপে। পরে সেখানে গণতান্ত্রিক কাঠামোতে সরকার গঠন করেন তাঁরা। আর তাই সংশ্লিষ্ট দ্বীপটিকে আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে মানতে নারাজ ড্রাগন।

১৮ ১৮

তাইওয়ানকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে বেজিং। বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, ২০৩০ সালের মধ্যে সামরিক অভিযান চালিয়ে ওই দ্বীপ দখল করার পরিকল্পনা রয়েছে ড্রাগন প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের। তাই ঘন ঘন সাবেক ফরমোজ়াকে রণতরী দিয়ে ঘিরে সামরিক মহড়া চালাতে দেখা যাচ্ছে পিএলএর নৌবাহিনীকে। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে তাইপে। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের জেরে আমেরিকার ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকেরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement