Trump’s Tariff Criticizing

হাতির গায়ে ইঁদুরের ঘুষি! ভারতের উপর শুল্ক চাপানোয় মোদীর চিন সফরের মধ্যেই ট্রাম্পকে খোঁচা মার্কিন অর্থনীতিবিদের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে এ বার তোপ দাগলেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড উল্ফ। ভারতের সঙ্গে আর্থিক সংঘাতকে নিজের পায়ে কুড়ুল মারার শামিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৩
Share:
০১ ১৯

এ যেন ইঁদুর হয়ে হাতিকে ঘুষি মারার শামিল! ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধকে ঠিক এই ভাষাতেই বিঁধলেন আমেরিকার বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড উল্‌ফ। গোটা ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ‘নিজের পায়ে কুড়ুল মারছে’ বলে সুর চড়িয়েছেন তিনি। বলা বাহুল্য, রিচার্ডের কড়া সমালোচনায় ট্রাম্পের অস্বস্তি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও নিজের অবস্থানে এখনও অনড় রয়েছেন ট্রাম্প।

০২ ১৯

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ‘রাশিয়া টুডে’কে দেওয়া পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের শুল্কসংঘাত নিয়ে মুখ খোলেন অর্থনীতিবিদ উল্‌ফ। বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে বিশ্বের সর্বাধিক কঠিন ব্যক্তির মতো আচরণ করছে আমেরিকা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী দুনিয়ার সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ হল ভারত। এই অবস্থায় ওদের কী করতে হবে, সেই নির্দেশ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র! দেখে মনে হচ্ছে, একটা ইঁদুর মুষ্টি পাকিয়ে হাতিকে আঘাত করছে।’’

Advertisement
০৩ ১৯

এর পাশাপাশি ‘ব্রিকস’ সংগঠন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন রিচার্ড। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার বাজার যদি ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে ওরা পণ্য রফতানি করতে অন্যত্র যাবে। এতে শক্তিশালী হবে ব্রিকস গোষ্ঠী। ঠিক যেমনটা রাশিয়া করেছে। মস্কো এখন তাদের জ্বালানি অন্যত্র বিক্রি করছে। নয়াদিল্লিও সেটাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে অন্য দেশে, বিশেষ করে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির বাজারে পণ্য পাঠাবে। ফলে পশ্চিমের বিকল্প হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে ব্রিকস।’’

০৪ ১৯

২০০৯ সালে জন্ম হওয়া ‘ব্রিকস’ সংগঠনে রয়েছে মোট ১০টি দেশ। সেগুলি হল ব্রাজ়িল, রাশিয়া, ভারত, চিন, সাউথ আফ্রিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিম ইউরোপের আর্থিক আধিপত্যের বিকল্প খুঁজে বার করাই এই গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য। বর্তমানে মার্কিন মুদ্রা ডলারের একাধিপত্যকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ‘ব্রিকস’। আর তাই নয়াদিল্লির সঙ্গে ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের সিদ্ধান্তকে নিজের পায়ে কুড়ুল মারার শামিল বলে উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবিদ রিচার্ড।

০৫ ১৯

পশ্চিমি দুনিয়ার একটি নিজস্ব অর্থনৈতিক জোট রয়েছে, নাম গ্রুপ অফ সেভেন বা জি-৭। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, কানাডা এবং জাপান। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও (ইইউ) এর ভিতরে রাখা হয়েছে। একটা সময়ে রাশিয়াকে নিয়ে জি-৮ তৈরি করে পশ্চিমি বিশ্ব। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের থেকে ক্রাইমিয়া ছিনিয়ে নেয় মস্কো। তার পরই সংশ্লিষ্ট সংগঠনটির থেকে বহিষ্কৃত হয় ক্রেমলিন।

০৬ ১৯

‘রাশিয়া টুডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদ রিচার্ড। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি) ৩৫ শতাংশ আসে ভারত, রাশিয়া, চিন ও অন্যান্য ‘ব্রিকস’ দেশ থেকে। সেখানে জি-৭ রাষ্ট্রগুলির জিডিপি ২৮ শতাংশে নেমে গিয়েছে। এই অবস্থায় নয়াদিল্লির সঙ্গে শুল্ক নিয়ে লড়াই করা মূর্খামি।’’

০৭ ১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বরাবরই ‘ব্রিকস’কে ছোট গোষ্ঠী বলে অবজ্ঞা করে এসেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংশ্লিষ্ট সংগঠনটি ‘দ্রুত বিলুপ্ত হবে’ এবং ‘মারা গিয়েছে’ বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। পাশাপাশি, ‘ব্রিকস’ভুক্ত দেশগুলি যদি ডলারের বিকল্প কোনও মুদ্রা চালু করে তা হলে তাদের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন তিনি।

০৮ ১৯

‘ব্রিকস’ নিয়ে ট্রাম্পের এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অর্থনীতিবিদ উল্‌ফ। আর তাই এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। পডকাস্টে তাঁর নাম করে রিচার্ড বলেন, ‘‘আপনি যেটা করছেন, তাকে হট হাউস ফ্যাশন বলা যেতে পারে। পশ্চিমি বিশ্বের তুলনায় আরও বৃহত্তর, সমন্বিত এবং সফল অর্থনৈতিক বিকল্প হিসাবে গড়ে উঠছে ব্রিকস। আমরা সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটা দেখতে চলেছি।’’

০৯ ১৯

গত শতাব্দীর ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’-এর সময়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলছিল ভারত। যদিও নয়াদিল্লি কখনওই মস্কোর ব্লকে যোগ দেয়নি। উল্টে ‘জোট নিরপেক্ষ’ আন্দোলন শুরু করেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। ওই সময়েও ভারতের সঙ্গে ‘শত্রুর মতো’ আচরণ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। উল্টে দু’তরফে বজায় ছিল বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান। পডকাস্টে সে কথা স্মরণ করেছেন অর্থনীতিবিদ রিচার্ড।

১০ ১৯

তবে উল্‌ফই প্রথম নন, ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন রাজনীতিবিদ, সাবেক সেনাকর্তা থেকে শুরু করে গুপ্তচরবাহিনীর প্রাক্তন শীর্ষ আধিকারিক, এমনকি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীও। উদাহরণ হিসাবে প্রথমেই বলা যেতে পারে নিকি হ্যালির কথা। গত ২০ অগস্ট ভারত-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘নিউজ়উইক’। সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তাঁরই দল রিপাবিকান পার্টির সদস্য নিকি। বলেন, ‘‘যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে নিতে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা বলা উচিত। কারণ, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে সেটা মেরামত করা কঠিন হবে।’’

১১ ১৯

রিপাবলিকান পার্টির সদস্য নিকি মনে করেন, বিশ্বের দু’টি বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কখনওই বিভেদ থাকতে পারে না। তাঁর কথায়, ‘‘ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতির একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত চিনের পরাজয়। কিন্তু বেজিঙের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। এটা বিপজ্জনক। এতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।’’

১২ ১৯

অন্য দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক নিয়ে ‘পাগলামি’র কড়া সমালোচনা করেছেন আমেরিকার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা এনএসএ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার) জন বোল্টন। ট্রাম্পের প্রথম কার্যকালের মেয়াদে ওই পদে ছিলেন তিনি। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্টন বলেছেন, ‘‘ভারতকে রাশিয়া ও চিনের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা দীর্ঘ দিন ধরে করা হয়েছে। সদ্য সেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সাফল্য পেয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু জল ফের সম্পূর্ণ উল্টো দিকে বইতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এর মূল্য চোকাতে হবে।’’

১৩ ১৯

নিকি ও বোল্টন ছাড়া ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনা করেছেন জনপ্রিয় মার্কিন পপ সঙ্গীতশিল্পী মেরি মেলিবেন। সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) করা পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘আমেরিকার ভারতকে প্রয়োজন। সত্যিকারের একজন বন্ধু হিসাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উচিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলা। আমার বিশ্বাস এতেই যাবতীয় জটিলতা কেটে যাবে।’’

১৪ ১৯

এই পরিস্থিতিতে শুল্ক ইস্যুতে আবার আদালতে বড় ধাক্কা খেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত ২৯ অগস্ট একটি মামলার রায় দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল সার্কিটের আপিল কোর্ট। সেখানে বলা হয়, ট্রাম্প যে ভাবে বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক চাপিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে ওলট-পালট করতে চাইছেন, তা বেআইনি। যদিও তাঁর শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের উপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ওই আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে প্রেসিডেন্টের। সেখানে তাঁর সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলা হলে, শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে আমেরিকাকে।

১৫ ১৯

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে ‘পারস্পরিক শুল্কনীতি’ চালু করেন ট্রাম্প। এর পরই বিষয়টি নিয়ে নিম্ন আদালতে দায়ের হয় মামলা। সেখানে যে রায় দেওয়া হয়েছিল আপিল আদালত তা বহাল রেখেছে। পাশাপাশি বিচারপতিরা পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘‘ট্রাম্প তাঁর জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বহু দেশের উপর বিবিধ রকমের শুল্ক আরোপ করেছেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে তিনি নিজের কর্তৃত্বের সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন।’’

১৬ ১৯

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত ২৭ অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ করে শুল্ক নেওয়া শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন নিয়ম চালু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’কে সাক্ষাৎকার দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। সেখানেই নয়াদিল্লিকে ‘একগুঁয়ে’ বলে তোপ দাগেন তিনি। পাশাপাশি, ইউক্রেন সংঘাতকে ‘মোদীর যুদ্ধ’ বলেও উল্লেখ করেছেন নাভারো।

১৭ ১৯

এপ্রিলে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ চালু করার সময়ে এ দেশের পণ্যে ২৬ শতাংশ কর নেওয়ার ঘোষণা করেন ট্রাম্প। জুলাইয়ে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান তিনি। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের যুক্তি হল, রাশিয়ার থেকে ক্রমাগত খনিজ তেল কিনে চলেছে ভারত। ফলে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পর্যাপ্ত অর্থ হাতে পাচ্ছে মস্কো। তাঁর এই অযৌক্তিক দাবিকে পত্রপাঠ খারিজ করে নয়াদিল্লি। জাতীয় স্বার্থে ক্রেমলিনের তেল আমদানি বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার।

১৮ ১৯

ট্রাম্পের শুল্কনীতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বিকল্প বাজারের সন্ধান শুরু করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। গত ২৯ অগস্ট টোকিয়ো সফরে গিয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার পরেই আগামী এক দশকে এ দেশে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা লগ্নির আশ্বাস দেয় টোকিয়ো। মূলত প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা, প্রতিরক্ষা, সেমিকন্ডাক্টর এবং বুলেট ট্রেনের মতো প্রকল্পগুলিতে ওই অর্থ বিনিয়োগ করবে জাপান।

১৯ ১৯

জাপান সফর সেরে চিনের তিয়েনজিন শহরে ‘সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা’ বা এসসিওর (সাংহাই কো-অপারেটিভ অর্গানাইজ়েশন) বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে মান্দারিনভাষী প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলতে পারেন তিনি। মস্কো ইতিমধ্যেই এ দেশের পণ্যের জন্য বাজার খুলে দেওয়ার ‘মেগা অফার’ দিয়েছে। পাশাপাশি, সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি অব্যাহত রেখেছে ক্রেমলিন।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement