টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন বিরাট কোহলি। তুলে রেখেছেন সাদা জার্সি। দেশের হয়ে শুধুমাত্র এক দিনের ম্যাচেই দেখা যাবে তাঁকে। ২০১১ সালের জুনে যে পথচলার শুরু, তা শেষ হল।
২০১১ সালের ২০ জুন কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে সাদা জার্সিতে অভিষেক হয় কোহলির। সে ম্যাচে কেমন পারফরম্যান্স ছিল তাঁর? বিরাটের অভিষেক ম্যাচের সতীর্থরাই বা আজ কী করছেন?
অভিনব মুকুন্দ: জাতীয় দলের হয়ে সাতটি টেস্ট খেলেছেন তামিলনাড়ুর বাঁহাতি ওপেনার। কিংসটনের সেই টেস্টে অবশ্য তেমন রান পাননি তিনি। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১১ এবং ২৫ রান করেছিলেন। আইপিএলে কোহলির সতীর্থ ছিলেন তিনি। এখন আইপিএলে ধারাভাষ্য দিতে দেখা যায় তাঁকে।
মুরলী বিজয়: মুকুন্দের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন তামিলনাড়ুরই ডানহাতি ব্যাটার বিজয়। জাতীয় দলের হয়ে ৬১টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। করেছেন ১৬টি শতরান। বিরাটের অভিষেক ম্যাচে একেবারেই রান পাননি তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ রান করেছিলেন তিনি। দুই ইনিংসেই রবি রামপলের বলে আউট হন বিজয়। ২০২৩ সালে তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
রাহুল দ্রাবিড়: সে দিনের ম্যাচের সেরা। টেস্টে ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার শতরান করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। দুই ইনিংসে ৪০ এবং ১১২ রান করেছিলেন ‘দ্য ওয়াল’। ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ভিভিএস লক্ষ্মণ: দেশের হয়ে ১৩৪টি টেস্ট খেলেছেন লক্ষ্মণ। করেছেন ১৭টি শতরান। দেশকে বহু স্মরণীয় জয় এনে দিলেও বিরাটের অভিষেক ম্যাচে তাঁর ব্যাট কথা বলেনি। প্রথম ইনিংসে ১২ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও রান না করেই আউট হন তিনি। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ডানহাতি হায়দরাবাদি ব্যাটার।
বিরাট কোহলি: সদ্য শেষ হয়েছে তাঁর সোনালি টেস্ট কেরিয়ার। বহু রেকর্ডের অধিকারী বিরাট কিন্তু অভিষেক ম্যাচে সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। দুই ইনিংসে ৪ এবং ১৫ রান করে এডওয়ার্ডসের বলে আউট হন তিনি।
সুরেশ রায়না: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেশের অন্যতম সফল ক্রিকেটার হলেও টেস্টে সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটার। দেশের হয়ে মাত্র ১৮টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। তবে সে দিনের ম্যাচে ভাল ব্যাট করেছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৮২ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে একটি উইকেটও নেন তিনি। ২০২০ সালের ১৫ অগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: তাঁর নেতৃত্বেই টেস্ট কেরিয়ার শুরু করেন বিরাট। তবে সে দিনের ম্যাচে তেমন রান করতে পারেননি তিনি। প্রথম ইনিংসে কোনও রান না করলেও পরের ইনিংসে ১৬ রান করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনও আইপিএল খেলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’।
হরভজন সিংহ: টেস্টে ভারতের হয়ে ৪১৭টি উইকেট নেওয়া হরভজন সে দিন জ্বলে উঠেছিলেন ব্যাটে-বলে। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে ৭০ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলেন ভাজ্জি। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে পঞ্জাবের এই অফস্পিনার এখন রাজ্যসভায় আম আদমি পার্টির সাংসদ।
প্রবীণ কুমার: বিরাটের অভিষেক টেস্টের অন্যতম সেরা বোলার। দুই ইনিংসেই তিনটি করে উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। দেশের হয়ে মাত্র ছ’টি টেস্ট খেলেছেন প্রবীণ। ২০১৮ সালে তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
অমিত মিশ্র: দুই ইনিংস মিলিয়ে চারটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ২৮ রানের ইনিংসও খেলেন ভারতের এই লেগস্পিনার। দেশের হয়ে ২২টি টেস্ট খেলেছেন অমিত। নিয়েছেন ৭৬টি উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন তিনি।
ইশান্ত শর্মা: দুই ইনিংস মিলিয়ে ছ’উইকেট নিয়েছিলেন ইশান্ত শর্মাও। দেশের হয়ে শতাধিক টেস্ট খেলেছেন তিনি। এখনও আইপিএল খেলে চলেছেন এই ডানহাতি পেসার।