আপনি কি বলিউড সিনেমার খুব বড় ফ্যান? তাহলে বলিউডের ছবিগুলি যে লোকেশনে শুটিং হয়, সেখানে বেড়াতে যেতে পারেন। শুধু বেড়াতে যাওয়াই নয়, বিয়েবাড়ি ভাড়া নেওয়া যায়, থাকাও যায় বেশ কিছু শুটিং লোকেশনে। যেমন থ্রি ইডিয়টসে লাদাখের প্যাংগং লেক।
দ্য ওবেরয়েজের উদয়ভিলা প্রাসাদ: দীপিকা-রণবীরের ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ছবির শুটিং হয়েছে এখানে। রাজকীয় প্রাসাদে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা চমৎকার বললে কম বলা হবে।
‘রং দে বসন্তি’ ছবির ‘মস্তি কি পাঠশালা’ গানের কথা মনে পড়ে। রাজস্থানের নাহারগড় দুর্গে শুটিং হয়েছিল ছবির দৃশ্যটি। পরবর্তীতে রামলীলা ও পদ্মাবতেরও কয়েকটি দৃশ্যের শুটিং হয়েছে এখানে। নাহাড়গড় দুর্গের ‘রয়্যাল স্টে’ মিস করবেন না!
হিমাচল প্রদেশের নাগার কাসল একটা অসাধারণ জায়গা। এখানেই ‘জব উই মেট’-এ করিনা কপূরের ‘ইয়ে ইশক হ্যায়’ গানটির শুটিং হয়েছিল। ঐতিহ্যবাহী এই জায়গাটিতে পর্যটকদের ঢল আরও বেড়েছে সিনেমা মুক্তির পর। বলিউডের আরও বেশ কয়েকটি ছবিরও শুটিং হয়েছে এই জায়গায়।
রাজস্থানের চোমু দুর্গে শুটিং হয়েছিল বোল বচ্চনের। শুটিং হয়েছে ‘ভুলভুলাইয়া’ ছবিরও।পর্যটকরা কিন্তু এখানেও থাকতে পারেন, ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’এর জন্যও জায়গাটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়।
‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ ছবির শুটিং হয়েছিল বিকানেরের লালগড় প্রাসাদে।‘দম দম মস্ত হ্যায়’ গানটির কথা মনে পড়তেই পারে ঐতিহাসিক এই স্থানে বেড়াতে গেলে। আর থাকতেও পারেন অবশ্যই।
রাজস্থানের অ্যাম্বার দুর্গে শুটিং হয়েছিল সোনম কপূর ও ফাওয়াদ খান অভিনীত ‘খুবসুরত’ ছবির। পর্যটকদের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয় এই দুর্গটি। এই দুর্গেও রয়েছে ‘রয়্যাল স্টে’-র ব্যবস্থা।‘বাজিরাও মস্তানি’ ছাড়াও মধুবালা, দিলীপ কুমারের ‘মুঘল-এ-আজম’ ছবির ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা ক্যয়া’ গানটির খানিকটা শুটিংও এখানে শিসমহলে হয়েছে।
শিমলার উডভিলে প্যালেস হোটেল: শুধু করিনা কপূরের ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্যই নয়, ব্ল্যাক, রাজু চাচা, স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার, মুকাদ্দর কা সিকন্দর ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ছবির শুটিং হয়েছে এখানে। শুধু বেড়াতে এসে থাকাই নয়, চাইলে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-ও করা যায়।