India-Greece vs Turkey

ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে কাঁপছে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’! পাক-প্রেমীকে সাজা দিতে গ্রিক ‘তলোয়ারে’ ধার দিচ্ছে দিল্লি?

: ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন পাকিস্তানকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করার জের। এ বার তুরস্ককে সাজা দিতে তাদের ‘চিরশত্রু’ গ্রিকদের হাতে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দেওয়ার নাকি পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি। সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা চুক্তির কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও এই খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আঙ্কারা থেকে ইস্তানবুলে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ০৭:৫৫
Share:
০১ ২১

ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে কাঁপছে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’। নয়াদিল্লির ‘মাস্টারস্ট্রোকে’ এজ়িয়ান সাগর হাতছাড়া হওয়ার রয়েছে প্রবল আশঙ্কা। আর তাই ‘চিরশত্রু’ গ্রিকদের হাতে ‘হিন্দিস্তান’-এর মারণাস্ত্র আসার আগেই হইচই বাঁধিয়ে দিয়েছে সেখানকার গণমাধ্যম। ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন পাকিস্তানকে সাহায্য করার খেসারত দেবে এককালের অটোমান শাসকেরা? কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কূটনৈতিক চালের সেই ব্যাখ্যাই খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

০২ ২১

দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ তুরস্কে হঠাৎ করেই ছড়িয়েছে ভারত এবং গ্রিসের মধ্যে হতে চলা প্রতিরক্ষা চুক্তি সংক্রান্ত খবর। আঙ্কারার গণমাধ্যমগুলির দাবি, নয়াদিল্লির থেকে ভূমি থেকে আক্রমণকারী দূরপাল্লার ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র বা এলআর-এলএসিএম (লং রেঞ্জ-ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ় মিসাইল) কিনতে চলেছে আথেন্স। এজ়িয়ান সাগর সংলগ্ন এলাকায় সেগুলিকে মোতায়েন করবে গ্রিক ফৌজ।

Advertisement
০৩ ২১

তুরস্কের কাছে অবশ্য ভারতের পরিচয় ‘হিন্দিস্তান’। নয়াদিল্লিকে এই নামেই বরাবর সম্বোধন করে এসেছে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’। সেখানকার সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, খুব দ্রুত হাজার কিলোমিটারের বেশি পাল্লার এলআর-এলএসিএম গ্রিক বাহিনীকে সরবরাহ করবে ভারত। একবার ওই মারণাস্ত্র হাতে পেলে রাজধানী আঙ্কারা-সহ একাধিক শহরে নিশানা করতে পারবে আথেন্স। আর ঠিক সেই কারণেই যুদ্ধের আশঙ্কায় আতঙ্কে কাঁপছে এশিয়া মাইনরের তুর্কিভূমি।

০৪ ২১

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ভারত ও গ্রিসের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক সমঝোতা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে কথাবার্তা বেশ কিছু দূর এগিয়েছে। তার মধ্যেই আথেন্সের গণমাধ্যমগুলি দাবি করে বসে, নয়াদিল্লির থেকে এলআর-এলএসিএম হাতে পেতে চলেছে গ্রিক ফৌজ। সেই খবরগুলিকে উদ্ধৃত করে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে একাধিক তুর্কি সংবাদমাধ্যম। এর প্রতিটিতেই নয়াদিল্লির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রকে নিয়ে রয়েছে চাপা আতঙ্ক।

০৫ ২১

গত বছরের নভেম্বরে এলআর-এলএসিএমের সফল পরী‌ক্ষা করে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও (ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন)। টার্বোফ্যান ইঞ্জিন পরিচালিত ওই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ছিল ১,৫০০ কিলোমিটার। মূলত রেডার স্টেশন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) এবং কৌশলগত সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস করতে এর নকশা তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

০৬ ২১

ডিআরডিওর তৈরি এ-হেন এলআর-এলএসিএম প্রচলিত এবং পারমাণবিক— দু’ধরনের বিস্ফোরক বহনেই সক্ষম। এর গতিবেগ ‘সাবসনিক’। অর্থাৎ, প্রায় শব্দের গতিতে ছুটতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। বর্তমানে এর উৎপাদনকারী দু’টি সংস্থা হল হায়দরাবাদের ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড এবং বেঙ্গালুরুর ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড।

০৭ ২১

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অন্তত ৩০টি যুদ্ধজাহাজে সংশ্লিষ্ট দূরপাল্লার ভূমি থেকে আক্রমণকারী ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এ ছাড়া উপকূলবর্তী একাধিক কৌশলগত সামরিক ছাউনিতে বহুল মাত্রায় এটিকে রাখা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এলআর-এলএসিএমের একটি উন্নত সংস্করণ তৈরিতে মন দিয়েছেন ডিআরডিওর প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী। চলতি বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের গোড়ার দিকে তার পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

০৮ ২১

কয়েক বছর আগে আথেন্সে হওয়া সামরিক সরঞ্জামের প্রদর্শনীতে ডিআরডিও এবং দু’টি দেশীয় সংস্থার তৈরি দূরপাল্লার ভূমি থেকে আক্রমণকারী ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রথম বার দেখেই পছন্দ করে ফেলেন গ্রিক জেনারেলেরা। তুরস্কের গণমাধ্যমগুলির দাবি, তখন থেকেই দুই দেশের মধ্যে এই হাতিয়ারের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে শুরু হয় কথাবার্তা। আর তাতে একবারের জন্যেও ‘না’ বলেনি নয়াদিল্লি।

০৯ ২১

এর পাশাপাশি, গ্রিকেরা ভারতের থেকে ৩০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ব্রহ্মস’ সুপারসনিক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আঙ্কারার কিছু গণমাধ্যম। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই হাতিয়ারটির তিনটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। অর্থাৎ যুদ্ধজাহাজ, লড়াকু জেট এবং ভূমিতে বসানো লঞ্চার দিয়ে ‘ব্রহ্মস’ ছুড়ে যে কোনও সামরিক কাঠামোকে নিশানা করতে পারে বাহিনী। শব্দের আড়াই থেকে তিন গুণ গতিতে ছোটা সংশ্লিষ্ট ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রটিকে যে কোনও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই চিহ্নিত করতে পারে না, তার নজির পাকিস্তান ‘যুদ্ধ’ দিয়েছে ভারতীয় সেনা।

১০ ২১

‘ইউরোপের রুগ্ন দেশ’টির সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, গত মে মাসে চার দিন ধরে চলা ভারত-পাক সংঘাতের দিকে কড়া নজর ছিল গ্রিক জেনারেলদের। সংঘর্ষবিরতির পর নয়াদিল্লি ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করে বসে ইসলামাবাদ। আর তাতেই একরকম উড়ে যায় পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির রাজধানী সংলগ্ন নুর খান বায়ুসেনা ঘাঁটি। সেই গোয়েন্দা তথ্য হাতে পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রটি নিয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহী হয়েছে আথেন্স।

১১ ২১

এ ব্যাপারে প্রমাণ দিতে বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যমের উদাহরণ দিয়েছে আঙ্কারার একাধিক নিউজ় পোর্টাল। তাদের দাবি, এ দেশের সংবাদ প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে একটি অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে গ্রিক রণতরী থেকে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তুর্কি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করতে দেখা গিয়েছে। আর সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রটি আথেন্সের হাতে পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’।

১২ ২১

চলতি বছরের ২৮ জুন গ্রিস সফরে যান ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিংহ। আথেন্স বায়ুসেনার পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সময় কাটান তাঁদের রাফাল লড়াকু জেটের বহরে। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই গ্রিকদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে নয়াদিল্লি। ফলে অচিরেই দুই দেশের বাহিনীকে যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে দেখা যেতে পারে। তবে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিংহের সফরে কোনও মারণাস্ত্র সংক্রান্ত প্রতিরক্ষা চুক্তির চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

১৩ ২১

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, গ্রিকদের শেষ পর্যন্ত দূরপাল্লার ভূমি থেকে আক্রমণকারী ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করতে সক্ষম হলে অস্ত্র ব্যবসায় বিরাট সাফল্য পাবে ভারত। সে ক্ষেত্রে ইউরোপের বাজারে প্রথম বার পা রাখবে নয়াদিল্লি। দ্বিতীয়ত, মার্কিন শক্তিজোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন’ বা নেটো-র (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) সদস্যপদ রয়েছে আথেন্সের। এই গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি সাধারণত আমেরিকার থেকে অস্ত্র কিনে থাকে। সেখানে গ্রিস ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করলে নয়াদিল্লির হাতিয়ারের চাহিদা দুনিয়া জুড়ে যে বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

১৪ ২১

তবে আথেন্সকে ‘ব্রহ্মস’ বিক্রির ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু জটিলতা। এ ব্যাপারে রাশিয়ার অনুমতি প্রয়োজন। বর্তমানে মস্কোর তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ ব্যবহার করে তুর্কি ফৌজ। আর সেই কারণে আঙ্কারার শত্রু দেশের কাছে ‘ব্রহ্মস’ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অনীহা দেখাতে পারে ক্রেমলিন। যুদ্ধের সময়ে সুপারসনিক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রটি তুরস্কের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে উড়িয়ে দিলে মুখ পুড়বে রাশিয়ার। পাশাপাশি, বেরিয়ে পড়বে মস্কোর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর। গত তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে তা কখনওই চাইবে না ক্রেমলিন।

১৫ ২১

তবে এর উল্টো যুক্তিও রয়েছে। গ্রিসের মতো তুরস্কও নেটোভুক্ত দেশ। দীর্ঘ দিন ধরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপের এই শক্তিজোটে ভাঙন ধরাতে চাইছে রাশিয়া। কিন্তু চেষ্টা করেও তাতে সাফল্য পায়নি মস্কো। উল্টে ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে নেটোর আক্রমণের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে গ্রিকেরা ‘ব্রহ্মস’ হাতে পেলে রাতারাতি বদলে যাবে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার ভূ-রাজনীতি। সে ক্ষেত্রে আথেন্স এবং আঙ্কারার মধ্যে যুদ্ধ তরান্বিত হতে পারে। দুই নেটোভুক্ত দেশ রণাঙ্গনে মুখোমুখি হলে শক্তিজোটটিতে যে ভাঙন ধরবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

১৬ ২১

‘ব্রহ্মস’ বিক্রির ব্যাপারে রাশিয়ার এ-হেন চিন্তাভাবনা কিন্তু নতুন নয়। ২০১৬ সালে সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রটি হাতে পেতে ভারতের সঙ্গে ৩৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের একটি চুক্তি করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপিন্স। ২০২৩ সালে কার্যকর হয় ওই চুক্তি। ম্যানিলার সঙ্গে চিনের সীমান্ত সংঘাত রয়েছে। অন্য দিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আর্থিক দিক থেকে অনেক বেশি বেজিঙের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে মস্কো। তা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কোনও রকম বাধা দেয়নি ক্রেমলিন।

১৭ ২১

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ফিলিপিন্সকে ‘ব্রহ্মস’ বিক্রির নেপথ্যে দু’টি কারণ কাজ করেছে রাশিয়ার। প্রথমত, চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলেও ঐতিহাসিক ভাবে ড্রাগনভূমির সঙ্গে মস্কোর সীমান্ত সংঘাত রয়েছে। পূর্ব ইউরোপের দেশটির ভ্লাদিভস্তক-সহ একাধিক এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে বেজিং। দ্বিতীয়ত, এর মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকার ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রে নিজের প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়েছে ক্রেমলিন।

১৮ ২১

স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে থেকেছে তুরস্ক। গত ২২ এপ্রিল উপত্যকার পহেলগাঁওয়ে ইসলামাবাদ মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় পর্যটক-সহ ২৪ জনের মৃত্যু হলে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয় যুদ্ধ পরিস্থিতি। ওই সময়ে তড়িঘড়ি রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের কাছে হাতিয়ার পৌঁছে দিতে উদ্যোগী ছিল আঙ্কারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তুরস্কের থেকে বিপুল সংখ্যায় ড্রোন হাতে পায় পাক সেনা।

১৯ ২১

এর পর মে মাসে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর বা পিওজেকের (পাকিস্তান অকুপায়েড জম্মু-কাশ্মীর) সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে ভারতীয় বাহিনী উড়িয়ে দিলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ওই অভিযানের নাম রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। তখনই এ দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলিকে ধ্বংস করতে তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করেছিল ইসলামাবাদের ফৌজ। যদিও সেগুলিকে শূন্যে ধ্বংস করতে সক্ষম হয় নয়াদিল্লি।

২০ ২১

সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বলতে গিয়ে এ ব্যাপারে বিস্ফোরক তথ্য দেন ভারতীয় সেনার ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের লড়াই একটা সীমান্তে চলছিল। কিন্তু, বাস্তবে তিন দেশের সঙ্গে লড়ছিলাম আমরা। পাকিস্তানের পাশে ছিল তুরস্ক ও চিন।’’ সংঘাত থামতেই অবশ্য আঙ্কারার সংস্থা সেলেবির নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করে কেন্দ্র। ফলে বিমানবন্দরগুলিতে গ্রাউন্ড অপারেশনের কাজ করতে পারছে না ইস্তানবুলের কোম্পানি।

২১ ২১

গত জুনে তুরস্কের আর এক প্রতিবেশী সাইপ্রাস সফরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের উত্তরের কিছু অংশ দখল করে রেখেছে আঙ্কারা। এই নিয়ে গত কয়েক বছরে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র হয়েছে সংঘাত। গ্রিসের পাশাপাশি সাইপ্রাসকেও নয়াদিল্লি হাতিয়ার বিক্রি করতে পারে বলে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। কেন্দ্রের এই ‘ইটের বদলে পাটকেল’ কূটনীতি কতটা কাজে আসে সেটাই এখন দেখার।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement