Sir Creek Dispute

ভূস্বর্গ ছেড়ে নজরে কচ্ছের রণ, লবণাক্ত খাঁড়িতে লোভের হাত বাড়াচ্ছে ইসলামাবাদ, গুজরাত সীমান্তে এ বার ভারত-পাক যুদ্ধ?

জম্মু-কাশ্মীর থেকে সরে এসে এ বার গুজরাতের কচ্ছের রণের দিকে হাত বাড়ানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান? স্যর ক্রিক খাঁড়িকে কেন্দ্র করে সীমান্ত বিবাদের নেপথ্যে রয়েছে ইসলামাবাদের কোন অভিসন্ধি?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৪২
Share:
০১ ২০

জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি এ বার গুজরাত সীমান্ত। পশ্চিম ভারতের আরও একটি জায়গার দিকে নজর দিচ্ছে পাকিস্তান। সেই লক্ষ্যে ওই এলাকায় সেনা সমাবেশও শুরু করেছে ইসলামাবাদ। বিষয়টি নজরে আসতেই রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ মার খাওয়ার পরও কেন এই দুঃসাহস? গুজরাতের কর্দমাক্ত জমিতে লুকিয়ে আছে কোন ‘রাজ ঐশ্বর্য’? ফের এক বার পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর যুদ্ধের আশঙ্কা তীব্র হতেই এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে তরজা।

০২ ২০

গুজরাতের কচ্ছ এলাকার স্যর ক্রিক। ৯৬ কিলোমিটার লম্বা জনবসতিহীন ওই খাঁড়ির উল্টো দিকে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ। সংশ্লিষ্ট জলাভূমিটির নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তাই নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। দুঁদে কূটনীতিকদের একাংশ এই সমস্যাকে কাশ্মীরের চেয়েও কঠিন বলে মনে করেন। নয়াদিল্লির কাছে স্যর ক্রিকের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির অনেক জটিল হিসাব। সেই কারণেই ইসলামাবাদকে খোলাখুলি হুমকি দিতে রাজনাথ বাধ্য হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
০৩ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, স্বাধীনতার ৭৮ বছর পর হঠাৎ করে পাকিস্তানের স্যর ক্রিকের দিকে নজর পড়ার নেপথ্যে রয়েছে মূলত অর্থনৈতিক কারণ। অনেকেরই ধারণা, এই এলাকায় মজুত আছে খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বিপুল ভান্ডার। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকাটি হাতে এলে আরব সাগরের দিকে কলেবরে বৃদ্ধি পাবে ইসলামাবাদের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ইইজ়েড (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জ়োন)। ফলে সেখানকার সামুদ্রিক সম্পদ একচেটিয়া ভাবে ব্যবহার করতে পারবে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশ।

০৪ ২০

দ্বিতীয়ত, স্যর ক্রিক গুজরাতের কচ্ছ এলাকার লবণাক্ত রণ জলাভূমিতে অবস্থিত। এখানকার ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের অন্যতম হল নদী ও সমুদ্রের জলের জোয়ার-ভাটা। জায়গাটিকে কচ্ছের ‘প্রবেশদ্বার’ বললেও অত্যুক্তি হবে না। সাবেক সেনাকর্তাদের কথায়, স্যর ক্রিক হাতে পেলে কচ্ছের একাংশকে নিয়ন্ত্রণ করবে পাক সেনা, যা ভারতের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা হবে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, পশ্চিম ভারতের ওই এলাকায় রয়েছে একাধিক লবণ কারখানা। এ দেশের ঘরোয়া চাহিদার এক তৃতীয়াংশ লবণ সরবরাহ করে কচ্ছের রণ।

০৫ ২০

এ ছাড়া চিংড়ি চাষ থেকে শুরু করে পর্যটনের মতো বিষয় জড়িয়ে আছে গুজরাতের কচ্ছ এলাকাটির সঙ্গে। স্যর ক্রিকের সামরিক গুরুত্বও নেহাত কম নয়। আরব সাগর লাগোয়া ওই খাঁড়িটি থেকে পাকিস্তানের আর্থিক রাজধানী করাচির বিন কাশেম সমুদ্রবন্দরের দূরত্ব মেরেকেটে ২০০ কিলোমিটার। সিন্ধ প্রদেশের এই শহরটি যে ইসলামাবাদের সমুদ্রবাণিজ্যের প্রায় পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে তা বলাই বাহুল্য।

০৬ ২০

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় গুজরাত ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলেও এর আন্তর্জাতিক সীমান্ত নির্ধারণ করা যায়নি। ফলে গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকে স্যর ক্রিকের সমুদ্রসীমাকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লির সঙ্গে ইসলামাবাদের বিবাদ চরম ওঠে। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে গোটা কচ্ছের রণ এলাকাটিকেই সিন্ধ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে বসে পাকিস্তান। ওই বছর ৯ এপ্রিল সেখানে সামরিক অভিযান পাঠান রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা। এর পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন ডেজ়ার্ট হক’।

০৭ ২০

১৯৬৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কচ্ছের রণের বেশ কিছুটা ভিতরে ঢুকে এসে ভারতীয় সেনার একাধিক পোস্ট দখল করে পাক ফৌজ। এর দু’মাসের মাথায় (পড়ুন ৫ অগস্ট) আচমকা কাশ্মীর আক্রমণ করে বসে ইসলামাবাদ। ওই সময় দু’টি ভাগে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন রাওয়ালপিন্ডির জেনারেলরা। একটি হল, ‘অপারেশন জিব্রাল্টার’। অপরটির নাম ‘অপারেশন গ্র্যান্ড স্লাম’। কিন্তু, এতে ফল হয় হিতে বিপরীত। পাল্টা প্রত্যাঘাত শানিয়ে শিয়ালকোটের দখল নেয় ভারতীয় সেনা। নয়াদিল্লির বাহিনী পৌঁছোয় লাহৌরের একেবারে দরজায়।

০৮ ২০

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি যুদ্ধবিরতির ডাক দেন তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট তথা সেনাশাসক ফিল্ড মার্শাল আয়ুব খান। ফলে দখল নেওয়া এলাকা থেকে পিছু হটতে হয় ইসলামাবাদকে। সে বারের সংঘর্ষে দুই প্রতিবেশীর মানচিত্রের কোনও বদল হয়নি। সংঘাত বন্ধ হওয়ার পর কচ্ছের রণ এলাকার সীমান্ত বিবাদের নিষ্পত্তি করতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল। সালটা ছিল ১৯৬৮।

০৯ ২০

আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালও স্যর ক্রিকের সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে পারেনি। এ ব্যাপারে সহজ সমাধানের জন্য থালওয়েগ তত্ত্বকে সামনে আনে তারা। তাতে বলা হয়, স্যর ক্রিকের মোহনা থেকে স্যর ক্রিকের চূড়া পর্যন্ত পূর্ব থেকে পশ্চিম টার্মিনাস অবধি চিহ্নিত একটি কাল্পনিক রেখার উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। কিন্তু, এই যুক্তি মানতে রাজি নয় পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি, থালওয়েগ তত্ত্ব নদীর থেকে প্রযোজ্য। নিরন্তর জোয়ার-ভাটায় থাকা কচ্ছের রণের মতো এলাকার জন্য নয়।

১০ ২০

শুধু তা-ই নয়, স্যর ক্রিককে হাতিয়ে নিতে ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রস্তাবকে সামনে আনে পাকিস্তান। কিন্তু পরে দেখা যায় সেখানেও থালওয়েগ নীতিকে সামনে রেখে তৎকালীন বম্বে প্রেসিডেন্সি এবং সিন্ধ প্রদেশের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করেছিল ইংরেজ সরকার। যুক্তিতে হেরে গিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ১৯২৫ সালের একটি মানচিত্রকে তুলে ধরে পরিস্থিতি জটিল করে ইসলামাবাদ। আলোচনায় কোনও সমাধানসূত্র বার না হওয়ায় স্যর ক্রিকের দখলদারি নয়াদিল্লির হাতে রাখতে বাধ্য হয় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল।

১১ ২০

১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর দীর্ঘ দিন স্যর ক্রিক নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি পাক সরকার। ২০১৯ সালে নতুন করে বিবাদের সূত্রপাত করেন ইসলামাবাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই বছর হঠাৎ করেই দেশের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেন তিনি। সেখানে স্যর ক্রিকের পাশাপাশি গুজরাতের জুনাগড়কেও পাকিস্তানের অংশ বলে দাবি করে বসেন ইমরান। নয়াদিল্লি এর তীব্র প্রতিবাদ জানালে দু’তরফে চড়তে শুরু করে পারদ।

১২ ২০

ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন মানচিত্র প্রকাশের পর থেকেই স্যর ক্রিক সংলগ্ন এলাকায় সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় ক্রিক ব্যাটেলিয়ান নামের একটি বিশেষ বাহিনীকে মোতায়েন রেখেছেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা। পাশাপাশি, আরব সাগরের দিকে টহলদারি বাড়িয়েছে ইসলামাবাদের রণতরী। এ ছাড়া সিন্ধ প্রদেশের দিক দিয়ে স্যর ক্রিককে ঘিরতে একাধিক পোস্ট তৈরি করছে পাক ফৌজ। সেখানে রেডার স্টেশন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং নজরদারি বিমানের আনাগোনা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে।

১৩ ২০

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলার সময় করাচি বন্দর থেকে রওনা হয়ে জলপথে ভারতে ঢোকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনার পর স্যর ক্রিক ও আরব সাগরের দিকে টহলদারি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় নয়াদিল্লি। এ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) দাবি, তার পরও অনুপ্রবেশের চেষ্টার কসুর করছে না ইসলামাবাদ। স্যর ক্রিক দিয়ে ঢুকতে মূলত জেলেনৌকা ব্যবহার করে তারা। গত তিন-চার বছরে অনেক জেলেনৌকাই আটক করেছে বিএসএফ।

১৪ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ আবার মনে করেন, ভূস্বর্গের দিক থেকে নজর ঘোরাতে স্যর ক্রিককে নিশানা করছে পাকিস্তান। এ বছরের এপ্রিলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ‘সিন্ধু জলচুক্তি’ স্থগিত করে ভারত। ইসলামাবাদের আশঙ্কা, এতে তীব্র জলসঙ্কটের মুখে পড়বে গোটা দেশ। আর তাই এই ইস্যুতে একাধিক বার নয়াদিল্লিকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন সেখানকার বর্তমান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির।

১৫ ২০

ভারতের অর্থনীতিতে গুজরাতের ভূমিকা অপরিসীম। এ দেশের ধনী রাজ্যগুলির নিরিখে সব সময় উপরের দিকে থেকেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জন্মভূমি। সেখানকার জামনগরে রয়েছে ধনকুবের শিল্পপতি তথা রিলায়্যান্সকর্তা মুকেশ অম্বানীর খনিজ তেল পরিশোধন কেন্দ্র। কয়েক মাস আগে প্রকাশ্যে তাঁর নাম নিয়ে নয়াদিল্লিকে হুমকি দেন ফিল্ড মার্শাল মুনির। আর সাবেক সেনাকর্তাদের কেউ কেউ মনে করেন, জামনগরের ওই তেল শোধনাগারকে নিশানা করার পরিকল্পনা রয়েছে পাক সেনাপ্রধানের।

১৬ ২০

এই পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে নেই ভারতও। যে কোনও পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ক্রমাগত সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলেছে নয়াদিল্লি। গত ২ অগস্ট গুজরাতের ভুজে ভারতীয় সেনার ‘শস্ত্র পুজো’ কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনও আগ্রাসনের জবাব‌ে এমন প্রত্যাঘাত হবে, যার অভিঘাতে ইতিহাস এবং ভূগোল উভয়ই বদলে যাবে।’’ এর পরই ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।

১৭ ২০

সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে হুঁশিয়ারির সুরে রাজনাথ বলেন, ‘‘ইসলামাবাদ যেন ভুলে না যায় করাচি যাওয়ার রাস্তা স্যর ক্রিক হয়ে গিয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে করাচি বন্দরে হামলা চালায় ভারতীয় নৌসেনা। সেই আক্রমণে ধ্বংস হয় পাকিস্তানের একাধিক রণতরী। এর পাশাপাশি একের পর এক তেলের ট্যাঙ্কার উড়িয়ে দিয়ে গোটা করাচি বন্দরকে একরকম পুড়িয়ে খাক করে এ দেশের জলযোদ্ধারা।

১৮ ২০

১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের বছরে স্যর ক্রিক এলাকাতেই অনুপ্রবেশকারী পাক নজরদারি বিমানকে ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ইসলামাবাদের ১৬ জন সৈনিক। তার পর অবশ্য আর কোনও দুঃসাহসিক অভিযানের চেষ্টা করেননি রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা। বর্তমানে বিএসএফের বিশেষ ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে কচ্ছের ওই জলাজমিতে।

১৯ ২০

২০০১ সালে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে সেনা অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে পঠানভূমিতে বাহিনী নিয়ে যায় আমেরিকা। এর জন্য করাচির বিন কাশেম বন্দরটিকে যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করেছিল তারা। এ বছরের সেপ্টেম্বরে ফের এক বার হিন্দুকুশের কোলের দেশটিতে সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানকার বাগরাম বিমানঘাঁটি কাবুলের তালিবান শাসকদের থেকে ফেরত চেয়েছেন তিনি।

২০ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের অনুমান, দ্বিতীয় বারের জন্য আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সেনা অভিযান শুরু করলে ফের এক বার করাচি বন্দর তাঁদের জন্য খুলে দেবে পাকিস্তান। কিন্তু স্যর ক্রিক বিবাদকে কেন্দ্র করে করাচির নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটা কখনওই করতে পারবে না ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৯ অক্টোবর ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির। নিজেদের স্বার্থেই কি নয়াদিল্লিকে সাহায্য করবে তারা? উঠছে সেই প্রশ্নও।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement